লালমোহন হাসপাতালে জনবল সংকটে রোগীদের চরম দুর্ভোগ।
এম.ইউ মাহিম।জেলা প্রতিনিধি ভোলা :
ভোলার লালমোহন উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে জনবল সংকটে রোগীদের সেবা কার্যক্রম চরমভাবে ব্যাহত হচ্ছে। সরেজমিনে লালমোহন হাসপাতাল গিয়ে এর বাস্তব চিত্র পাওয়া যায়।
হাসপাতালের ইনডোরে চিকিৎসাধীন কয়েকজন রোগীর সাথে কথা বললে তারা জানান, নিয়মিত চিকিৎসাসেবা পেতে তাদের অপেক্ষার প্রহর ঘুনতে হচ্ছে। সঠিক সময়ে ডাক্তার ও নার্সরা আসছেন না।ভুক্তভোগী কয়েকজন রোগী জানান আজ সকালে ডাক্তার ও নার্স এসে শারীরিক অবস্থা দেখার কথা থাকলেও ডাক্তার এসেছেন দুপুর ১২:০০ টায়। বহির্বিভাগে গিয়ে দেখা যায় নারী পুরুষের দীর্ঘ ভিড়। একজন মাত্র ডাক্তার বসে রোগীদের চিকিৎসাসেবা দিচ্ছেন।ধলীগৌরনগর হতে আগত সাগর ও রোকসানা জানান সকাল ৯:০০ টা ডাক্তার দেখানোর জন্য অপেক্ষা করছি।এত সময় বসে থাকতে হবে জানলে আসতাম না।হাসপাতালের রোগীদের সেবাপ্রাপ্তিতে বিঘ্ন ও সার্বিক বিষয় নিয়ে উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যান কর্মকর্তা ডাঃ সন্তোষ কুমারের দৃস্টি আকর্ষন করলে তিনি সত্যতা স্বীকার করে জানান,হাসপাতাল পরিচালনার জন্য সবচেয়ে বড় সমস্যা হল জনবল সংকট।
হাসপাতালে ২১ জন ডাক্তারের পদ থাকলেও আছেন স্বাস্থ্য কর্মকর্তাসহ মাত্র ৬ জন।বাকী পদগুলো খালি রয়েছে।তিনজন মাত্র মেডিকেল অফিসার দিয়ে ইনডোর,আউটডোরে রোগী দেখা হচ্ছে।
ইমারজেন্সীতে সারাদিন রাত রোগী আসে,ওয়ার্ডে ৭০-৭৫ জন রোগী থাকে,বহির্বিভাগে ২০০-২৫০ জন রোগী আসে।
সিনিয়র স্টাফ নার্সের ২০ টি পদ থাকলেও আছে মাত্র ১২ জন।অফিসিয়াল অনেকগুলো পদ খালি রয়েছে।এল,এম,এস এসের পদও খালি রয়েছে। অন্যান্য সেক্টরে জনবল ঘাটতি রয়েছে। এখানে একটি সম্পুর্ন ওটি ও প্যাথলজী ল্যাব থাকা সত্ত্বেও কোন গাইনী ও এনাসথেটিক কনসালটেন্ট ও প্যাথলজিতে টেকনিশিয়ান না থাকার কারনে হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ সিজার ও প্যাথলজী চালু করতে পারছেননা। দরিদ্র সাধারন রোগীদের জন্য ওটি ও প্যাথলজী চালু করা অত্যান্ত প্রয়োজন বলে মনে করেন হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ। সাধারন গরীব রোগীদের ডায়াগনোস্টিক সেন্টারে টেস্ট করাতে,প্রাইভেট ক্লিনিক হাসপাতালে সিজার করাতে অনেক টাকা গুনতে হয়। সেক্ষেত্রে এ হাসপাতালের প্যাথলজী ও ওটি চালু করলে সাধারন গরীব রোগীদের অর্থ সাশ্রয় হত বলে মনে করেন হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ।
এছারা ফিল্ড লেভেলে ৬৫টি পদের মধ্য রয়েছে ১৪ টি পদ খালি রয়েছে।খালি পদগুলোতে পাশ্ববর্তী ইউনিয়নের লোক দিয়ে সেবা কার্যক্রম চালিয়ে যাওয়া অনেক কস্ট হচ্ছে। ডাঃ সন্তোষ কুমার বলেন হাসপাতালটি অনেক সুন্দর।আমাদের বিভিন্ন সেক্টরে যে কার্যক্রম চলছে তা সত্যইপ্রশংসনীয়।
হেলথ সার্ভিস সেক্টরে সারা বাংলাদেশে আমরা ২৪ তম স্থানে আছি।যদি আমরা সিজারিয়ান সেকশন চালু করতে পারতাম তাহলে ঐ পয়েন্ট দিয়ে আমরা সারা বাংলাদেশের মধ্য ৫ এ ঢুকতে পারতাম।
সিজারিয়ান সেকশন চালু ও সকল খালি পদগুলো পুরন করাে কার্যক্রম শুরু করা হলে সারা বাংলাদেশে এ হাসপাতালটি সুচকে ১বা ২ এর মধ্য থাকবে বলে তিনি আশা প্রকাশ করেন। হাসপাতালের জনবল সংকট নিয়ে ভোলা জেলা সিভিল সার্জন ডাঃ যতীন্দ্রনাথকে ফোন করে জানতে চাওয়া হলে তিনি বলেন। দক্ষিনাঞ্চলের এ জেলা ভোলায় কোন চিকিৎসক এসে থাকতে চাননা। পুরো জেলার অন্যান্য উপজেলায় ও চিকিৎসক সংকট রয়েছেআমি উদ্ধর্তন কর্তৃপক্ষকে জানিয়েছি আশা করি ২/১ মাসের মধ্যই অবস্থার উন্নতি হবে