নড়াইলে প্রশিক্ষণ প্রাপ্ত চিকিৎসকের অভাবে ৮ শত সাপের বিষ প্রতিশোধক নষ্ট হয়ে গেছে
নিজেস্ব প্রতিবেদক
নড়াইলে সাপে কাটা রোগীদের জন্য সরকারি ভাবে সাপের বিষ প্রতিশোধক ঔষুধ সরবরাহ থাকলেও প্রশিক্ষণ প্রাপ্ত চিকিৎসকের অভাবে সাপে কাটা রোগীরা চিকিৎসা সেবা পাচ্ছেন না। ইতিমধ্যে ব্যবহারের অভাবে ৮ শত সাপের বিষ প্রতিশোক মেয়াদাত্তীর্ণ হয়ে নষ্ট হয়ে গেছে বলে হাসপাতাল সুত্রে জানা গেছে। শুধু তাই নয় সাপে কাটা রোগীরা হাসপাতালে আসলে হাসপাতালের জরুরি বিভাগে কর্তব্যরত অনেক চিকিৎসকরাও জানেন না হাসপাতালে সাপের বিষ প্রতিশোধক সরবরাহ আছে কি না। গত দুই বছরে জেলার বিভিন্ন স্থানে কমপক্ষে ৫০ জনকে সাপে কামড়ালেও এদের মধ্যে চিকিৎসার অভাবে অন্তত ২০ জনের মৃত্যু হয়েছে বলে বিভিন্ন সুত্রে জানা গেছে। অথচ ২০১৩ সাল থেকে ২০১৭ সালের চলতি মাস পর্যন্ত হাসপাতালের ষ্টোররুমে পড়ে থাকে কয়েক শত বিষ প্রতিশোধক। যার মেয়াদ শেষ হয়েছে চলতি বছরের জুন মাসে।
নড়াইল সড়র হাসপাতালের ষ্টোর কিপার মোঃ গোলাম রহমান জানিয়েছেন, ‘২০১৩ সালের ২৩ সেপ্টেম্বর সর্ব প্রথম নড়াইলে ৩ শত পিচ সর্প বিষ প্রতিশোধক আসে। ২০১৪ সালের ২২ এপ্রিল আসে ৩ শত পিচ, ২০১৫ সালের ২৩ জুলাই আসে ১ শত পিচ, ২০১৬ সালের জুন মাসে আসে ১শত পিচ। সর্ব মোট গত ৫ বছরে ৮ শত পিচ সর্প বিষ প্রতিশোধক আসে। এ সকল প্রতিশোধক ব্যবহার না হওয়ায় গত ২০১৬ সালের ৯ নভেম্বর ৪৬০ পিচ এর মেয়াদ উত্তীর্ণ হওয়ায় নষ্ট করে দেওয়া হয়। বাকি ৩২০ পিচ মেয়াদাত্তীর্ণ সর্প প্রতিশোধক ফেরৎ নেওয়ার জন্য ঢাকার সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষদের কছে ২০১৬ সালের ২৪ অক্টোবর এবং ২০১৭ সালের ১৭ মার্চ ২টি চিঠি পাঠানো হয়েছে’।
সম্প্রতি সাপের দংশনে মৃত পরিবারের সদস্য ও বিভিন্ন সুত্রে জেলার বিভন্ন এলাকায় সাপে কাটা রোগীরা হাসপাতালে এসে চিকিৎসা না পেয়ে সনাতন পদ্ধতিতে স্থানীয় কবিরাজের কাছে চিকিৎসা নিতে গিয়ে মৃত্যু বরণ করছেন সাপে কাটা রোগীরা। গত ১০ আগস্ট জেলার লোহাগড়া উপজেলার নোয়াগ্রাম ইউপি’র শুলটিয়া গ্রামের রবিন গাছির মেয়ে সুর্বনা গাছি (১৩) নামে এক স্কুলছাত্রীর সাপের কামড়ে মৃত্যু হয়েছে। ১৫ সেপ্টেম্বর নড়াইল মাইজপাড়া ইউনিয়নের সদরের বলরামপুর গ্রামে সাপের কামড়ে নূসরাত (১২) নামে ৩য় শ্রেণির এক স্কুল ছাত্রীর মৃত্যু হয়েছে। ২৪ সেপ্টেম্বর সাপের কামড়ে জেলার লোহাগড়া উপজেলার মিঠাপুর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক খন্দকার আব্দুর রাজ্জাকের (৫৯) মৃত্যু হয়েছে। এ সকল রোগীরা প্রথমে নড়াইলের হাসপাতালে চিকিৎসা নিতে আসে। হাসপাতালে চিকিৎসা না পেয়ে এরা সকলেই মারা যায়। নিহতদের পরিবার সূত্রে দাবি করা হয়েছে, হাসপাতালে আসলে নড়াইলে সাপের বিষের প্রতিশোধক নেই জানিয়ে তাদেরকে যশোর বা খুলনায়