LatestsNews
# টঙ্গীতে বঙ্গবন্ধুর ৪৮ তম শাহাদাৎ বার্ষিকী পালিত।# বাংলাদেশের ব্যাপারে যুক্তরাষ্ট্রের নাক গলানো বেমানান -- ওয়ার্কাস পার্টি# বাংলাদেশের ব্যাপারে যুক্তরাষ্ট্রের নাক গলানো বেমানান-- ওয়ার্কার্স পার্টি# পূবাইল সাংবাদিক ক্লাবের সাথে নবনিযুক্ত ওসি'র শুভেচ্ছা বিনিময় # টঙ্গীতে গাঁজাসহ মাদক কারবারি গ্রেফতার# টঙ্গীতে ছাত্রদলের বিক্ষোভ মিছিল। # টঙ্গীতে হেরোইনসহ ৩ মাদক কারবারি গ্রেফতার# টঙ্গীতে চাঁদা না পেয়ে ব্যবসায়ীকে কুপিয়ে জখম # গাজীপুরে ফেনসিডিল ও ইনজেকশনসহ ২ মাদক ব্যবসায়ী গ্রেপ্তার# গাজীপুরে ইয়াবাসহ ৪ মাদক কারবারি গ্রেফতার।# গাজীপুরে সাংবাদিককে হত্যার ষড়যন্ত্র; ছাত্রদল নেতার অডিও ক্লিপ ভাইরাল। # টঙ্গীতে আই এম সি এইচ ডায়াগনোস্টিকস্ এন্ড কনসালটেশন সেন্টারের শুভ উদ্বোধন। # টঙ্গীতে বিদেশি মদসহ ৭ জন গ্রেপ্তার # টঙ্গীতে যমুনা গ্রুপের প্রতিষ্ঠাতা চেয়ারম্যানের মৃত্যুবার্ষিকী উপলক্ষে দোয়া মাহফিল# টঙ্গীতে বাসের ধাক্কায় কলেজ ছাত্রের মৃত্যু# বাংলাদেশ রেজিস্ট্রেশন এমপ্লয়ীজ এসোসিয়েশন ভোলা জেলা শাখার নব নির্বাচিত সভাপতি নাহিদা পারভীন# টঙ্গীতে আওয়ামী লীগের ৭৪তম প্রতিষ্ঠা বার্ষিকী পালিত# গাজীপুরে আওয়ামী লীগ নেতার সংবাদ সম্মেলন # পূবাইলে সাংবাদিক ক্লাবের উদ্দ্যোগে নাদিম হত্যার প্রতিবাদে মানববন্ধন# টঙ্গীতে ১১ কেজি গাঁজাসহ গ্রেফতার ২
আজ শুক্রবার| ১৯ এপ্রিল ২০২৪
সদ্যপ্রাপ্ত সংবাদ
# মানুষের কথা মানুষের জন্য-এই শ্লোগানে বাংলাদেশে আমরা প্রতিষ্ঠা করতে চাই (তথ্য,প্রযুক্তি ও বিনোদন ভিওিক ) পূর্ণাঙ্গ IP TV ( CHANNEL 4) - google play store হতে Apps ডাউনলোড করে মুক্তি যুদ্ধের চেতনায় জাতি গঠনে আমাদের আগ্রজাতরায় সামিল হতে পারেন আপনিও ।# আপনার এলাকায় ঘটে যাওয়া যে কোন সংবাদ নিয়ম কিংবা অনিয়মের তথ্য জানিয়ে আমাদের সহযোগিতা করতে পারেন । আমারা আমাদের প্রচার যোগ্য মাধ্যমে আপনার পাঠানো সংবাদের সত্যতা যাচাই করে যথাযথ নিয়মে সংবাদ প্রচার করতে সর্বাত্মক চেষ্টা করে থাকি আমাদের প্রচারিত সংবাদ দেখতে লগইন করতে পারেন www.channel4bd.com এ (4 Media Limited, অফিস : হিরন টাওয়ার,২০/১-বি, সাতাইশ,শরিফ মার্কেট, টঙ্গী,গাজীপুর ১৭১২। রিপোর্টিং : 01911073607, বিজ্ঞাপন :01715467283। ই-মেইল 4tv.4news@gmail.com)# মানুষের কথা মানুষের-জন্য এই শ্লোগানে বাংলাদেশে আমরাই প্রতিষ্ঠা করতে চাই সংবাদ ভিত্তিক পূর্ণাঙ্গ IP TV CHANNEL 4 - google play store App ডাউনলোড করে মুক্তি যুদ্ধের চেতনায় জাতি গঠনে আমাদের আগ্রজাতরায় সামিল হতে পারেন আপনিও ।

শেখ হাসিনাকে হত্যাচেষ্টা: ১১ জনের ২০ বছরের কারাদণ্ড, খালাস ১



প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে হত্যাচেষ্টার মামলায় রোববার ১১ জনকে ২০ বছর করে কারাদণ্ড ও একজনকে খালাস দিয়েছে আদালত।

রোববার পুরান ঢাকার নাজিমউদ্দিন রোডে ও ঢাকা মহানগর আদালতে ঢাকার চতুর্থ অতিরিক্ত মহানগর দায়রা জজ মো. জাহিদুল কবির এ রায় ঘোষণা করেন।

হুমায়ুন কবির ওরফে কবির নামে একজনকে খালাস দিয়েছে আদালত।

এ মামলায় ফ্রিডম পার্টির নেতা-কর্মীদের বিরুদ্ধে দুটি মামলার করা হয়।

গত ১৬ অক্টোবর ঢাকার চতুর্থ অতিরিক্ত মহানগর দায়রা জজ মো. জাহিদুল কবির রাষ্ট্র ও আসামি পক্ষের যুক্তিতর্ক শেষে রায়ের জন্য ২৯ অক্টোবর দিন ঠিক করে।

ঢাকা মহানগর দায়রা জজ আদালতে রাষ্ট্রপক্ষের প্রধান কৌঁসুলি আবদুল্লাহ আবু এ তথ্য নিশ্চিত করেন।

নাজিমউদ্দিন রোডের বিশেষ এজলাসে হত্যা চেষ্টা মামলার রায় দেন বিচারক। আর বিকেলে জনসন রোডে মহানগর দায়রা জজ আদালত ভবনের দ্বিতীয় তলার এজলাস থেকে আসবে বিস্ফোরক মামলার রায়।

উল্লেখ, ১৯৮৯ সালের ১০ আগস্ট মধ্যরাতে আওয়ামী লীগ সভানেত্রীর ধানমণ্ডি ৩২ নম্বরের বাড়িতে গুলি ও বোমা ছোড়া হয় তখন শেখ হাসিনা ওই বাড়িতে অবস্থান করছিলেন।

তদন্তে বেরিয়ে আসে বঙ্গবন্ধুর খুনিদের নেতৃত্বে গঠিত দল ফ্রিডম পার্টির নেতা-কর্মীরা শেখ হাসিনাকে হত্যা করতে ওই হামলা চালিয়েছিল।

ওই ঘটনায় বঙ্গবন্ধু ভবনের (বর্তমানে জাদুঘর) নিরাপত্তার দায়িত্বে থাকা পুলিশ কনস্টেবল জহিরুল ইসলাম প্রথমে একটি মামলা করেন।

এজাহারে বলা হয়, ফ্রিডম পার্টির সদস্য কাজল ও কবিরের নেতৃত্বে ১০-১২ জনের একটি দল অতর্কিত গুলিবর্ষণ ও বোমা হামলা করে এবং হামলাকারীরা ‘কর্নেল ফারুক-রশিদ জিন্দাবাদ’ বলে স্লোগান দিতে দিতে পালিয়ে যায়।

১৯৮৯ সালের ৮ ডিসেম্বর পুলিশ চূড়ান্ত প্রতিবেদনে উল্লেখ করা হয় অভিযোগের প্রমাণ তারা তদন্তে পায়নি

মামলার সময়টা ছিল এইচ এম এরশাদের আমল।

মহানগর দায়রা জজ আদালতের অতিরিক্ত পিপি সাইফুল ইসলাম হেলাল বলেন, বিগত ১৯৯৬ সালে আওয়ামী লীগ সরকার ক্ষমতায় আসার পর ২ সেপ্টেম্বর মামলাটি পুনরুজ্জীবিত হয়।

তদন্ত শেষে ১৯৯৭ সালের ২০ ফেব্রুয়ারি সিআইডির তৎকালীন সহকারী পুলিশ সুপার মো. খালেক উজ্জামান আদালতে হত্যা চেষ্টা ও বিস্ফোরক আইনে দুটি অভিযোগপত্র দাখিল করেন।

ওই মামলায় ফ্রিডম পার্টির নেতা ও বঙ্গবন্ধুর খুনি সৈয়দ ফারুক রহমান, আবদুর রশীদ ও বজলুল হুদাসহ ১৬ জনকে আসামি করা হয়।

গত ২০০১ সালে আওয়ামী লীগ ক্ষমতা হারানোর পর মামলটি আবার নিশ্চল হয়ে পড়ে। শেখ হাসিনার দল পুনরায় ক্ষমতায় যাওয়ার পর ২০০৯ সালের ৫ জুলাই আসামিদের বিরুদ্ধে অভিযোগ গঠন করে বিচার শুরু হয়। সাক্ষ্যগ্রহণ শুরু হয় ২৭ আগস্ট।

দ্রুত নিষ্পত্তির জন্য মামলাটি ঢাকার দ্রুত বিচার ট্রাইব্যুনালে পাঠানো হলেও সাক্ষীদের হাজির করতে বিলম্ব এবং আসামিদের জবানবন্দি গ্রহণকারী ম্যাজিস্ট্রেটকে না পাওয়ায় বিচারকাজ ঝুলে থাকে।

দ্রুত বিচার ট্রাইব্যুনালের বিচারের সময়সীমা পেরিয়ে গেলে মামলার নথি ঢাকার চতুর্থ অতিরিক্ত মহানগর দায়রা জজ আদালতে পাঠানো হয়। তিনজন বিচারকের হাত ঘুরে ঢাকার চতুর্থ অতিরিক্ত মহানগর দায়রা জজ মো. জাহিদুল কবির দুই মামলার বিচার শেষ করে রায়ের তারিখ রাখে।

রাষ্ট্রপক্ষের প্রধান কৌঁসুলি বলেন, সকালে নাজিমউদ্দিন রোডের বিশেষ এজলাসে হত্যা চেষ্টা মামলার রায় দেন বিচারক। আর বিকালে জনসন রোডে মহানগর দায়রা জজ আদালত ভবনের দ্বিতীয় তলার এজলাস থেকে আসবে বিস্ফোরক মামলার রায়।

মামলার অভিযোগপত্রে সাবেক সেনা কর্মকর্তা সৈয়দ ফারুক রহমান ও মেজর বজলুল হুদার নাম থাকলেও বঙ্গবন্ধু হত্যা মামলার রায়ে ২০১০ সালের ২৭ জানুয়ারি তাদের ফাঁসি কার্যকর হওয়ায় এ দুই মামলা থেকে তাদের বাদ দেয়া হয়।

আর রেজাউল ইসলাম খান ফারুক ও লিয়াকত হোসেন কালা নামের দুই আসামির মৃত্যু হওয়ায় তাদের নামও বাদ দেয়া হয়।

বাকি আসামিদের মধ্যে বঙ্গবন্ধু হত্যা মামলার মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্ত আসামি অবসরপ্রাপ্ত লেফটেন্যান্ট কর্নেল খন্দকার আবদুর রশীদ কানাডায় পালিয়ে আছেন। মো. জাফর আহম্মদ ও হুমায়ুন কবির ওরফে হুমায়ুনও পলাতক।

মিজানুর রহমান, শাজাহান বালু, গাজী ইমাম হোসেন, খন্দকার আমিরুল ইসলাম কাজল ও হুমায়ুন কবির ওরফে কবীর জামিনে আছেন। আর গোলাম সারোয়ার ওরফে মামুন, ফ্রিডম সোহেল, সৈয়দ নাজমুল মাকসুদ মুরাদ ও জর্জ মিয়া আছেন কারাগারে।

এদের মধ্যে সৈয়দ নাজমুল মাকসুদ মুরাদ যুক্তরাষ্ট্রে পালিয়ে গিয়ে ফ্রিডম পার্টির কর্মী হিসাবে রাজনৈতিক আশ্রয় নিয়েছিলেন। পরে ইন্টারপোলের মাধ্যমে ২০১৪ সালের ২০ মার্চ আটলান্টা থেকে তাকে বাংলাদেশে ফিরিয়ে এনে বিচারের মুখোমুখি করা হয়।

এ মামলায় বিচারকাজ চলে মোট ৬৬ কার্যদিবস। রাষ্ট্রপক্ষে মোট ১২ জনের সাক্ষ্য শোনে আদালত। আসামিপক্ষে কেউ সাক্ষ্য দেননি।

আসামিপক্ষে এ এস এম গোলাম ফাত্তাহ ও এম এম ফারুক এ মামলায় শুনানিতে অংশ নেন।

আওয়ামী লীগের নেতারা বলেন, পঁচাত্তরে বঙ্গবন্ধু হত্যাকাণ্ডের পর শেখ হাসিনাকে হত্যার উদ্দেশ্যে বিভিন্ন সময় মোট ১৯ বার চেষ্টা চালানো হয়েছে।

গোপালগঞ্জের কোটালীপাড়ায় বোমা পুঁতে হামলার মামলার রায় এ বছরেই হয়েছে। গত আগস্টে দেয়া এই রায়ে ১০ আসামির মৃত্যুদণ্ড হয়।

২০০৪ সালের ২১ আগস্ট গ্রেনেড হামলার আলোচিত মামলাটির বিচারও শেষ পর্যায়ে রয়েছে।


1