সুনামগঞ্জের এশিয়ার বৃহত্তর মিছাখালী রাবার ড্রেম হুমকির মুখে
সূনামগঞ্জ প্রতিনিধি
সুনামগঞ্জের বিশ্বম্ভরপুর উপজেলায় র্দীঘ ৪বছর ধরে পুরাতন যাদুকাটা নদীতে অবৈধ ভাবে ড্রেজার দিয়ে বালি উত্তোলন করায় এশিয়ার বৃহত্তর মিছাখালী রাবার ড্রেম,দশটি গ্রাম সহ ২মসজিদ হুমকির মুখে পড়েছে। অব্যাহত ডেজার দিয়ে বালি উত্তোলনের কারনে এতিমধ্যে নদীর পাড়ের প্রায় ২৫টি বাড়ি ও একটি মসজিদ নদীতে বিলিন হয়েছে। মেশিনের শব্দে ছাত্রছাত্রীরা লেখা পাড়া ও রাতে ঘুমাতে পারছে না এলাকাবাসী। অভিযোগ দায়ের করার পরেও অদৃশ্য কারনে সংশ্লিষ্ট প্রশাসন কোন কার্যকর প্রদক্ষেপ না নেওয়ায় প্রতিদিন ড্রেজার মেশিন দিয়ে দিনে ও রাতে অবৈধ ভাবে বালি উত্তোলন করেই যাচ্ছে। ফলে এলাকাবাসীর মাঝে চরম ক্ষোবের সঞ্চার হচ্ছে। এলাকাবাসী জানাযায়,প্রভাবশালী নেতারা ক্ষমতার প্রভাব দেখিয়ে অবৈধ ভাবে ড্রেজার দিয়ে বালি উত্তোলনে করছে উপজেলার দক্ষিন বাদাঘাট ইউনিয়নের পুরাতন যাদুকাটা নদীতে অবৈধ ভাবে বিশ্বম্ভরপুর উপজেলার প্রভাবশালী নেতৃস্থানীয় লোকদের ছত্রছায়ায় জামাম,কামাল মিয়া,দিলার,মনির গং। তারা সহতাদের সহযোগীরা ড্রেজার দিয়ে র্দীঘ দিন ধরে বালি উত্তোলন করছে। ঐ প্রভাবশালীদের অবৈধ ভাবে ড্রেজার দিয়ে বালি উত্তোলন বন্ধের দাবিতে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা সহ বিভিন্ন দপ্তরে লিখিত অভিযোগ করা হয়েছে একাধিক বার। কোন কাজে আসছে না। দীর্ঘ ৪-বছর ধরে ড্রেজার দিয়ে বালি উত্তোলন করায় নদীর গভীরতা বৃদ্ধি পাচ্ছে এতে করে এশিয়ার বৃহত্তর মিছাখালী রাবার ড্রেম,সিরাজপুর,বাগগাও,ওমরপুর,উলশনগড়,মোদের গাওঁ,২টি মসজিদ সহ দশটি গ্রাম হুমকির মুখে পড়েছে। এছাড়াও দিনে-রাত সব সময় ড্রেজার মেশিনের বিকট শব্দের কারনে এলাকার স্কুল কলেজের ছাত্রছাত্রীরা পড়া শুনা করতে সমস্যা হচ্ছে। এই বিষয়ে বার বার ঐসব ড্রেজার মালিকদের মৌখিক ভাবে বলার পড়ে উল্টো বিভিন্ন ভাবে হুমকি প্রদর্শন করে। একাধিক অভিযোগ সূত্রে জানাযায়,এই বিষয়ে গত ২৬শে অক্টোবর ২০১৭ইং উপজেলা চত্তরে মানববন্ধ করেন স্থানীয় এলাকাবাসীসহ একটি এনজিও সংস্থা। মানববন্ধ শেষে বিশ্বম্ভরপুর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তাকে স্মারন লিপি দেওয়া হয় এবং সুনামগঞ্জ ৪আসনের সংসদ সদস্যকে লিখিত অভিযোগ দেওয়া হয়েছে। এছাড়াও গত ০২,১১,১৬ইং তারিখে অভিযোগ দায়ের করেছেন উপজেলার ১,২,৩ নং ওয়ার্ডের সংরক্ষিত আসনের সদস্য আনোয়ারা বেগম। এর পূর্বে ১৭,১০,১৬ইং তারিখে এলাকাবাসীর পক্ষে মোঃ ফরিদ আলম আরেকটি অভিযোগ দায়ের করেন। উপজেলার ১,২,৩নং ওয়ার্ডের সংরক্ষিত আসনের সদস্য আনোয়ারা বেগম বলেন,নদীতে ড্রেজার মেশিন দিয়ে বালু উত্তোলন করায় প্রায় অর্ধশতাধিক বাড়ি ঘর নদীতে বিলিন হয়েছে গেছে। প্রতি রাতেই ড্রেজার চলে কারো নিষেধ মানে না। ফরিদ আলম,আবু বক্কর সহ স্থানীয় বাসীন্দা জানান,লিখিত ভাবে অভিযোগ সংশ্লিষ্ট কতৃপক্ষের কাছে দেবার পরও প্রশাসনের পক্ষ থেকে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা না নেওয়ায় ড্রেজার মেশিন বন্ধ হচ্ছে না ফলে এশিয়ার বৃহত্তর মিছাখালী রাবার ড্রেম,শতাধিক বাড়ি-ঘর ও দুটি মসজিদ এখন হুমকির মুখে রয়েছে। বার বার তাদের নিষেধ করলে তারা উল্টো আমাদের বিভিন্ন মামলায় ফাসিঁয়ে দেবার হুককি দেয়। বিশ্বম্ভরপুর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা সমীর বিশ্বাস জানান,জেলা প্রশাসক বরাবর একটি লিখিত অভিযোগ একজন মহিলা দিয়েছেন আমার মাধ্যমে তা জেলা প্রশাসক স্যারের কাছে পাঠানো হয়েছে। আর এই বিষয়ে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহন করব।