লালমনিরহাটে অত্যাধুনিক থানা ভবন উদ্ধোধনের অপেক্ষায়
আসাদুজ্জামান সাজু, লালমনিরহাট :
পুলিশ বিভাগকে আধুনিকরণের অংশ হিসাবে সারা দেশে অত্যাধুনিক পুলিশ ভবন নিমার্ণের উদ্যোগ নিয়েছে সরকার। সেই উদ্যোগের অংশ হিসাবে লালমনিরহাটের হাতীবান্ধায় ৬ কোটি টাকা ব্যয়ে নির্মাণাধীন অত্যাধুনিক থানা পুলিশ ভবন এখন উদ্ধোধনের অপেক্ষায়। আগামী ১৯ নভেম্বর স্বরাষ্ট্র মন্ত্রী মো. আসাদুজ্জামান খান কামাল এ ভবনের উদ্ধোধন করবেন বলে জানিয়েছেন স্থানীয় সংসদ সদস্য মোতাহার হোসেন।
পুলিশ ও গণপূর্ত বিভাগ সুত্রে জানা গেছে, সারা দেশে পুলিশ বিভাগের ১০১ টি জরাজীর্ণ থানা ভবন টাইপ প্লানে নির্মাণের উদ্যোগে একটি প্রকল্প হাতে নেয় সরকার। স্বারাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে অর্থায়নে এ প্রকল্পটি বাস্তবায়নের দায়িত্ব পায় গণপূর্ত বিভাগ। ওই প্রকল্পের আওতায় লালমনিরহাটের হাতীবান্ধায় ৬ কেটি ৮ লক্ষ ৫৮ হাজার টাকা ব্যায়ে নির্মাণ হয়েছে ৪ তলা বিশিষ্ট্য অত্যাধুনিক একটি থানা ভবন। ওই ভবনে রয়েছে, পুরুষ, নারী, শিশু ও কিশোরের জন্য পৃথক পৃথক উন্নত মানের ৪ টি হাজত খানা, প্রাথমিক চিকিৎসা কেন্দ্র, ডিএসবি, এসআই, এএসআইদের জন্য পৃথক পৃথক অফিস। নারী ও পুরুষ পুলিশ সদস্যদের জন্য পৃথক পৃথক উন্নত মানের ২ টি ব্যারাক, কনফারেন্স রুম, অত্যাধুনিক নিরাপদ অস্ত্রঘর, অধুনিক সার্ভিস ডেলিভারী রুম ও অভ্যর্থনা কেন্দ্র।
সুত্র মতে, হাতীবান্ধা থানা ভবনটি নিমার্ণের জন্য ২০১৪ সালের ২৯ মার্চ ভিত্তি প্রস্থর স্থাপন করেন প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত সংসদীয় কমিটি’র সভাপতি বীর মুক্তিযোদ্ধা মোতাহার হোসেন এমপি। স্বারাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে অর্থায়নে গণপূর্ত বিভাগের আওতায় ৩ বছর ৮ মাসে এ ভবন নির্মাণ কাজ ইতোমধ্যে শেষ করেছেন মেসার্স হাকিম ট্রেডার্স নামে স্থানীয় একটি ঠিকাদারী প্রতিষ্ঠান।
এ ভবন নির্মাণ কাজের দেখ-ভালের দায়িত্বপ্রাপ্ত লালমনিরহাট গর্ণপূর্ত বিভাগের উপ-সহকারী প্রকৌশলী কামাল হোসেন জানান, সকল নিয়ম নীতি মেনে নির্ধারিত সময়ের মধ্যেই হাতীবান্ধা থানা ভবন নির্মাণ হয়েছে। এখন এ ভবনটিকে যে কোনো সময় পুলিশ বিভাগের কাছে হস্তান্তর করবেন লালমনিরহাট গর্ণপূর্ত বিভাগ ।
হাতীবান্ধা থানার অফিসার ইনচার্জ শামীম হাসান সরদার জানান, দীর্ঘদিন ধরে হাতীবান্ধায় জরাজীর্ণ থানা ভবনে কাজ করে আসছে পুলিশ বিভাগ। ওই ভবনে বৃষ্টির সময় মাথায় ছাতা দিয়ে কাজ করতে হয় পুলিশ সদস্যদের। ফলে অনেক প্রয়োজনীয় কাগজপত্রাদি নষ্ট হয়ে যায়। এ ছাড়া একটি হাজত খানা থাকায় নারী, শিশু ও কিশোর আসামীদের নিয়ে বিপাকে পড়তে হয়। এ ভবন নির্মাণের মধ্য দিয়ে এসব সমস্যার সমাধান হয়ে গেছে।
লালমনিরহাট পুলিশ সুপার এসএম রশিদুল হক জানান, অনেক এলাকায় জরাজীর্ণ ভবনে কাজ করে পুলিশ বিভাগ। ভবন না থাকায় পুলিশ বিভাগের অনেক কাজে সমস্যা হচ্ছে। হাতীবান্ধা থানা ভবনটি নিমার্ণ হওয়ায় পুলিশ বিভাগে কাজের গতি বাড়বে।