রাজশাহীতে বৃষ্টি-বিদ্যুতে দুর্ভোগ
নিজস্ব প্রতিবেদক : নি¤্নচাপের প্রভাবে সকাল থেকেই মেঘলা আবহাওয়া ছিলো রাজশাহী অঞ্চলে। বেলা বাড়ার সাঙ্গে সঙ্গে কালো মেঘে ঢেকে যায় রাজশাহী অঞ্চলের আকাশ। বেলা ১১ টার পর থেকে শুরু হয় গুড়িগড়ি বৃষ্টিপাত। শুরুতে হালকা থাকলেও পরে তার বৃদ্ধি পায়। এতে স্বাভাবিক জীবনযাত্রায় নেমে আসে ছন্দ-পতন। পূর্ব প্রস্তুতি ছাড়ায় যারা সকালে বাইরে বেরিয়েছিলেন বৃষ্টির কারনে তাদের দুর্ভোগে পড়তে হয়। শেষ পর্যন্ত দিনভর বৃষ্টির ছোয়া ছিলো শনিবার রাজশাহী অঞ্চলের আকাকে। রাজশাহী আবহাওয়া অধিদফতরের তথ্যানুযায়ী এদিন বৃষ্টিপাত রেকর্ড করা হয় ১৮ মিলিমিটার।
একদিকে বৃষ্টিপাত এরমধ্যে রাজশাহীতে বাগড়া বাধায় বিদ্যুত। সবকিছু ঠিকঠাক থাকলেও বেলা তিনটার দিকে হঠাৎ করে বিদ্যুৎ বিচ্ছিন্ন হয়ে পড়ে রাজশাহী জেলা জুড়ে। এরপর প্রায় ৫ ঘণ্টা পর মিলে আলোর দেখা। বিদ্যুতের ভোগান্তিতে চরম বেকায়দায় পড়েন রাজশাহীর মানুষ। রাজশাহী নগরী ও জেলাও কোথাও বিদ্যুৎ ছিলো না এ সময়।
অগ্রহায়নের শেষভাগে প্রকৃতিতে যখন হালকা শীতের প্রলেপ ঠিক তখনই গুড়ি গুড়ি বৃষ্টি। আর বিকেল থেকে বিদ্যুৎ বিপর্যয় দেখা যায় রাজশাহীতে। এই দুইয়ে মিলে চরম দুর্ভোাগের শিকার হন রাজশাহীর মানুষ। অন্ধকারের চাদরে ঢেকে যায় পুরো নগরী। রাত সাড় ৭টার দিক থেকে বিদ্যুৎ পরিস্থিতি স্বাভাবিক হত শুরু করে। রাজশাহীতেও চলছে গুড়ি গুড়ি বৃষ্টি। সকালের দিকে হালকা বৃষ্টি, পরে বেলা সাড়ে ১২টার দিকেও বৃষ্টি হয়।
রাজশাহী আবহাওয়া অফিসের উচ্চ পর্যবেক্ষক দেবল কুমার মৈত্র জানান, শনিবার সকাল থেকে রাত ৮টা পর্যন্ত রাজশাহীতে বৃষ্টিপাত রেকর্ড করা হয়েছে ১৮ মিলিমিটার। শনিবার রাজশাহীর সর্বোচ্চ তাপমাত্রা ছিলো ২৩ দশমিক ৬ সেলসিয়াস, সর্বনি¤্ন তাপমাত্রা ছিল ১৮ দশমিক ৪ সেলসিয়াস।
রাজশাহীর আবহাওয়া অফিসের তথ্য অনুযায়ি, বঙ্গোপসাগরে গভীর নি¤্নচাপের প্রভাবে রাজশাহীতে হালকা গুড়ি গুড়ি বৃষ্টি হয়েছে। অগ্রহায়ণের শেষ দিকের এ বৃষ্টি হতে পারে শীতের আগামনী বার্তাও। যদিও শুক্রবার দেশের দক্ষিণাঞ্চলের কয়েকটি স্থানে গুড়ি গুড়ি বৃষ্টির সঙ্গে শীত জেকে বসার খবরও পাওয়া গেছে।
সকালের গুড়ি গুড়ি বৃষ্টিতে নগর জীবনে তেমন প্রভাব পরেনি। তবে দুপুরের পর বিরামহীন বৃষ্টিতে নগরবাসী অসস্তিতে পরে। কর্মজীবী মানুষরা বেশি বিপাকে পড়ে। বিকেলে অনেককে কাকভেজা হয়ে বাড়ি ফিরতে হয়েছে। নগরীর উপশহর এলাকার আহম্মেদ হোসেন জানান, সকাল মেঘলা আকাশ দেখে তিনি অফিসে গিয়েছিলেন। কিন্তু ফেরার সময় রীতিমত কাকভেঁজা হয়ে বাড়ি ফিরতে হয়েছে।
তিনি আরো জানান, বৃষ্টির পরে শহরে যানবাহনের সংখ্যা কমে যায়। রিকশা ভাড়া দ্বিগুণ বেড়ে গেছে। সাহেববাজার থেকে উপশহর ১৫ টাকা ভাড়া হলেও তাকে ৩৫ টাকা রিকশা ভাড়া দিয়ে বাড়ি ফিরতে হয়। এদিকে বিরামহীন বৃষ্টি শুরু হওয়ার পর থেকে বিদ্যুতের সমস্যায় পড়ে রাজশাহী। সন্ধ্যার পর এ সমস্যা আরো প্রকট হয়ে উঠে। সারা রাজশাহী অন্ধকারের চাদরে ঢেকে যায়।
রাজশাহী বিদ্যুৎ অফিস জানায়, বৃষ্টি শুরুর পর থেকে কাটাখালি গ্রিডে বিদ্যুৎ সমস্যা দেখে দেয়। এ কারণে বিদ্যুতের সমস্যা দেখা যায়। সন্ধ্যা থেকে রাত সাড়ে ৭টা পর্যন্ত পুরো নগরী অন্ধকারে ঢেকে ছিলো। এরপরে পরিস্থিতি কিছুটা স্বাভাবিক হতে থাকে।