সুপ্রিম কোর্টের ক্ষমতা কমেনি বরং বেড়েছে: আইনমন্ত্রী
অধস্তন আদালতের বিচারকদের শৃঙ্খলাবিধির গেজেট প্রকাশের কারণে সুপ্রিম কোর্টের ক্ষমতা কমেনি বরং বেড়েছে বলে মন্তব্য করেছেন আইনমন্ত্রী আনিসুল হক।
মঙ্গলবার দুপুরে সচিবালয়ে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে তিনি এ মন্তব্য করেন।
এ সময় তিনি সাংবাদিকদের আরো বলেন, প্রকাশিত গেজেটে বলা হয়েছে, উপযুক্ত কর্তৃপক্ষ অর্থাৎ রাষ্ট্রপতি ও মন্ত্রণালয়ের প্রস্তাব ও সুপ্রিম কোর্টের পরামর্শ অভিন্ন না হলে সেক্ষেত্রে সুপ্রিম কোর্টের পরামর্শ প্রাধ্যান্য পাবে।
গতকাল অধস্তন আদালতের বিচারকদের শৃঙ্খলাবিধির গেজেট প্রকাশ করা হয়।
আচরণবিধির সমালোচকদের উদ্দেশে আনিসুল হক বলেন, তাদের যে পরিকল্পনা ছিল তা নষ্ট হয়ে গেছে। এখন খড়কুটো ধরে সমালোচনা করছেন। তাদের বলব গঠনমূলক সমালোচনা করুন।
তিনি বলেন, ১৯৭৫ সাল থেকে ১৯৯৬ সাল পর্যন্ত সংবিধান নিয়ে অনেক ফুটবল খেলা হয়েছে। আর কোনো খেলা খেলতে দেয়া হবে না। সংবিধানের ১১৬ অনুচ্ছেদ অনুযায়ী বিচারকদের শৃঙ্খলাবিধি করা হয়েছে। বিচার বিভাগ ও বেসামরিক প্রশাসনের আচরণবিধির মধ্যে আকাশ-পাতাল পার্থক্য হলে সেটা কারও কাছে গ্রহণযোগ্যতা পাবে না।
প্রধান বিচারপতির পদ শূন্যতা নিয়ে এক প্রশ্নের জবাবে আইনমন্ত্রী বলেন, এখন পর্যন্ত তারা সংবিধানের বাইরে গিয়ে কিছু করেননি।
মামলার বিবরণ:
বিত ১৯৯৯ সালের ২ ডিসেম্বর সুপ্রিম কোর্টের আপিল বিভাগ সরকারের নির্বাহী বিভাগ থেকে বিচার বিভাগকে পৃথক করা সংক্রান্ত মাসদার হোসেন বনাম সরকার মামলার যুগান্তকারী রায় ঘোষণা করেন। রায়ে আপিল বিভাগ বিসিএস (বিচার) ক্যাডারকে সংবিধান পরিপন্থী ও বাতিল ঘোষণা করে। একই সঙ্গে জুডিসিয়াল সার্ভিসকে স্বতন্ত্র সার্ভিস ঘোষণা করে বিচার বিভাগকে নির্বাহী বিভাগ থেকে আলাদা করার জন্য সরকারকে ১২ দফা নির্দেশ দেয় সর্বোচ্চ আদালত।
এরই ধারাবাহিকতায় ২০০৭ সালের ১ নভেম্বর নির্বাহী বিভাগ থেকে আলাদা হয়ে বিচার বিভাগের কার্যক্রম শুরু হয়। তবে আপিল বিভাগের রায়ের আলোকে অধস্তন আদালতের জন্য পৃথক শৃঙ্খলা ও আচরণ বিধিমালা প্রণয়নের কথা হয়। এ নিয়েই সরকার ও বিচার বিভাগের মধ্যে টানাপড়েন চলে দীর্ঘ দিন।