সারাদেশে শৈত্যপ্রবাহ অব্যাহত
সারাদেশের ওপর দিয়ে বয়ে যাচ্ছে মৃদু থেকে মাঝারি শৈত্যপ্রবাহ। আবহাওয়ার পূর্বাভাসে বলা হয়েছে, এই শৈত্যপ্রবাহ চলবে আরও কয়েকদিন। এছাড়া এ মাসেই আরো দু-তিনটি শৈত্যপ্রবাহ হতে পারে।
হিমালয়ের পদদেশে বিপর্যস্ত হয়ে পড়েছে উত্তরের জনজীবন। বেশ কিছু অঞ্চলে দেখা দিয়েছে কোল্ড ডায়রিয়া। শীতে সবচেয়ে বেশী ভোগান্তিতে পড়েছেন নিম্ন আয়ের মানুষ। পৌষের দ্বিতীয়ার্ধে এসে জেঁকে বসেছে শীত। ঢাকায় রাতের তাপমাত্রা কমছে বেশ কিছুটা। দিনের তাপমাত্রাও হ্রাস পেয়েছে।
আবহাওয়া অফিসের সূত্র মতে, টাঙ্গাইল, ফরিদপুর, নেত্রকোনা, শ্রীমঙ্গল ও বরিশাল অঞ্চলসহ রংপুর, রাজশাহী ও খুলনা বিভাগের ওপর দিয়ে হালকা থেকে মাঝারি ধরনের শৈত্য প্রবাহ বয়ে যাচ্ছে, চলতি এ শৈত্য প্রবাহ অব্যাহত থাকতে পারে।
বৃহস্পতিবার রাতে ঢাকায় সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ছিল ১০ দশমিক ৫ ডিগ্রি সেলসিয়াস। দেশের সর্বনিম্ন তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয় চুয়াডাঙ্গায় ৬ দশমিক ৫ ডিগ্রি সেলসিয়াস।
আবহাওয়ার পূর্বাভাসে জানানো হয়, এ মাসে দেশের উত্তরাঞ্চল ও মধ্যাঞ্চলে একটি মাঝারি বা তীব্র শৈত্যপ্রবাহ এবং দেশের অন্যত্র ২ থেকে ৩ টি মৃদু বা মাঝারি ধরনের শৈত্যপ্রবাহ বয়ে যেতে পারে। এছাড়া আপস.
এদিকে, হিমালয়ের পাদদেশে অবস্থিত উত্তরের শেষ জেলা পঞ্চগড়ে তীব্র শীতে বিপর্যস্ত হয়ে পড়েছে জনজীবন। ঠান্ডার কারণে মানুষজন বাসা-বাড়ি থেকে বের হতে পারছেন না। ঘন কুয়াশার কারণে দিনের বেলাতেও হেডলাইট জ্বালিয়ে বিভিন্ন যানবাহন ধীর গতিতে চলাচল করছে।
বৈরি আবহাওয়ায় সবচেয়ে বেশি অসুবিধায় পড়েছেন নিম্ন আয়ের মানুষ। হাসপাতাল-ক্লিনিকগুলোতে বেড়েছে ঠান্ডাজনিত রোগীর সংখ্যা । তাদের মধ্যে বৃদ্ধ ও শিশুদের সংখ্যাই বেশি। সরকারি-বেসরকারিভাবে দুস্থদের মাঝে কিছু শীতবস্ত্র বিতরণ করা হলেও তা চাহিদার তুলনায় অপ্রতুল।
উত্তরীয় হিমেল হাওয়ায় উত্তরের জনপদ কুড়িগ্রামের মানুষ পড়েছেন বিপাকে। এ জেলায় দরিদ্র মানুষের সংখ্যা বেশি হওয়ায় গরম কাপড়ের অভাবে কষ্ট পাচ্ছেন তারা।
সবচেয়ে বেশি দুর্ভোগে আছেন গত বন্যায় ঘর-বাড়ি হারানো ক্ষতিগ্রস্তরা। খুব প্রয়োজন ছাড়া ঘর থেকে বের হচ্ছেন না মানুষজন। খড়কুটো জ্বালিয়ে শীত নিবারনের চেষ্টা করছেন অনেকে।