গাংনীতে বঙ্গবন্ধুর স্বদেশ প্রত্যাবর্তন দিবসে পৌর মেয়র আশরাফুল ইসলামের বিরুদ্ধে ব্যাপক সমালোচনা
মেহেরপুরঃ মেহেরপুরের গাংনী উপজেলা যুবলীগ আয়োজিত যথাযোগ্য মর্যাদায় জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের স্বদেশ প্রত্যাবর্তন দিবস পালন করেছে। দিবসটি উপলক্ষে উপজেলা যুবলীগ বর্ণাঢ্য র্যলী ও আলোচনা সভা করেছে। উপজেলা যুবলীগের সাধারণ সম্পাদক শফি কামাল পলাশের সঞ্চালনায় ও উপজেলা যুবলীগের সভাপতি মোশাররফ হোসেন এর সভাপতিত্বে আলোচনা সভায় বক্তব্য রাখেন, উপজেলা যুবলীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক জেলা পরিষদের সদস্য বিশিষ্ট ব্যাবসায়ী মজিরুল ইসলাম, এমপি মকবুল হোসেন এর একান্ত সহকারি জেলা ছাত্র লীগের সহ সভাপতি সাহিদুজ্জামান শিপু,যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক আমজাদ হোসেন, জেলা যুবলীগের সাবেক সহ-সভাপতি আল ফারুক, উপজেলা যুবলীগের দপ্তর সম্পাদক আঃ আলিম, পৌর যুবলীগের সভাপতি আশরাফ উদ্দিন বাবু, পৌর যুবলীগের সহ-সভাপতি আশিকুর রহমান আকাশ, সাধারণ সম্পাদক রাহিবুল ইসলাম, সাংগঠনিক সম্পাদক জিয়াউল হক জিয়া, দপ্তর সম্পাদক জুবায়ের হোসেন উজ্জল, মানব বিষয়ক সম্পাদক মিলন হোসেন,উপজেলা ছাত্রলীগের সভাপতি তৌহিদুল ইসলাম, পৌর ছাত্রলীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক জিবন আহম্মেদ, রাইপুর ইউনিয়নের সাধারন সম্পাদক রবিউল ইসলাম, যুবলীগ নেতা আনোয়ার পাশা, তেতুল বাড়িয়া ইউনিয়ন যুবলীগের সাধারণ সম্পাদক মখলেছুর রহমান সহ উপজেলা, পৌর ও প্রত্যেক ইউনিয়নের যুবলীগের নেতা কর্মী বৃন্দ।
আলোচনা সভায় উপজেলা যুবলীগের সভাপতি মোশাররফ হোসেন বলেন, আপনারা উপজেলা যুবলীগকে নিয়ে কোন রকম বিভ্রান্তি সৃষ্টি করবেন না। বিগত দিনে একটি চক্র নিজেদের উপজেলা যুবলীগের আহবায়ক কমিটির নেতা দাবি করে যে বিভ্রান্তি সৃষ্টি করেছিলো তা ছিলো পুরোপুরি ভুয়া। কেন্দ্রী কমিটির বরাত দিয়ে বলেন আমাদের যে উপজেলা যুবলীগ রয়েছে এই যুবলীগের মাধ্যমে আগামী এক মাসের মধ্যে উপজেলা যুবলীগের আহবায়ক কমিটি গঠন করতে হবে এবং নিয়মতান্ত্রিক ভাবে সুষ্ঠ ভাবে নতুন কমিটি করতে হবে। আলোচানা সভায় বক্তারা মেয়র আশরাফুল ইসলাম এর বিরুদ্ধে ব্যাপক সমালোচনা করে বলেন, আপনি নিজে একজন জাল কর্মকান্ডের লোক আপনি সবকিছুই করেন ঔ ভাবে। আপনি মেয়র হওয়ার পর থেকে পরের জমি দখল করে বেড়ান। পৌর সভা নিয়োগ বানিজ্য করেন। পৌর মেয়র আশরাফুল ইসলামের উপজেলা যুবলীগের আহবায়ক হওয়ার বিষয়ে বক্তারা বলেন, আপনি আগে আওয়ামী লীগে যোগ দেন অথবা যুবলীগ বা ছাত্রলীগে তার পর নিজেকে আওয়ামী লীগের একজন নেতা হবেন কিনা ভাববেন। এক্ষেত্রে বক্তারা কারণ হিসেবে পৌর মেয়র আশরাফুল ইসলামের উদ্দেশ্যে বলেন, আপনার চাচা গাংনী উপজেলা বিএনপি’র সভাপতি, আপনার ছোট ভাই ছাত্র শিবির সংগঠনের সভাপতি। তাই আপনার মতো লোক আওয়ামী লীগে অনুপ্রবেশ করে আওয়ামী লীগকে বিভ্রান্তি করার চেষ্টা করবেন না। আপনার সকল চেষ্টা ব্যার্থ হবে। বক্তারা আরো বলেন, করমদি গ্রাম থেকে বিএনপির লোক নিয়ে এসে উপজেলা শহরে আওয়ামী লীগ যুবলীগের ব্যানারে মিছিল মির্টি করবেন আর এখানকার আওয়ামী লীগ যুবলীগ আপনার এ তামাশা দেখবে এটা ভাববেন না। বক্তারা শেখ মুজিবুর রহমানের বক্তব্যর একটি অংশ তুলে ধরে বলেন, ”দলের ভিতর শত্রুবাহিনি ঢুকবে, অত্মকলহ সৃষ্টি করবে।” তাই আমরা ৭১ এর ঘাতক সম্পর্কে যেমন সচেতন তেমন আপনার মতো দলে অনুপ্রবেশকারি সম্পর্কে সচেতন আছি। অতএব আপনি আমাদের আওয়ামী লীগ যুবলীগ ও এর অঙ্গ সংগঠনকে বিভ্রান্তিতে ফেলতে পারবেন না। বক্তারা আগামীতে আওয়ামী লীগের যে প্রার্থী নৌকার টিকিট নিয়ে আসবে তার পক্ষে কাজ করার অঙ্গিকার ব্যাক্ত করে নেতা কর্মীদের উদ্দেশ্যে বলেন, জননেত্রী শেক হাসিনার উন্নয়নের ধারাকে অব্যাহক রাখতে ও জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের সোনার বাংলা গড়ে তুলতে আবারো নৌকার প্রার্থীকে বিজয়ী করে দেশের উন্নয়নকে আরো বেগবান করার আহবান জানান।
পরে পৌরসভার ৬ নং ওয়ার্ডের বিএনপির কিছু নেতা কর্মীরা যুবলীগের নেতা কর্মীদের হাতে হাত রেখে যুবলীগে যোগদান করেন।
