বুড়িচংয়ের কাঠালিয়ায় গোমতী চরে বালু সন্ত্রাসীদের কবলে দিশেহারা কৃষকরা
মাহফুুুুজ বাবু:
কুমিল্লা বুড়িচং উপজেলার ময়নামতি কাঠালিয়া এলাকায় স্থানীয় প্রভাবশালী বালু সন্ত্রাস রামনগর এলাকার শাহিন ও শাহ-আলমের দৌরাত্ম্যে কাঠালিয়া চড়ের কৃষকরা দিশাহারা। বিলিন হচ্ছে ফসলী জমি। রবিবার সকাল ১০টায় স্থানীয় জনগন ও কৃষকরা প্রতিবাদ করে ড্রেজার বন্ধ করতে বলায় উত্তজনার সৃষ্টি হয় নদীর দু'পাড়ের গ্রামবাসীর মধ্যে। ঘটনাস্থল পরিদর্শন করে উত্তেজিত দুপক্ষ কে শান্ত করে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণ করেন বুড়িচং থানা পুলিশের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মনোজ কুমার দে।
স্থানীয় কৃষকদের অভিযোগের ভিতিতে জানা যায় মুলত উপজেলার মিরপুর, গোবিন্দপুর ও কংশনগর এই প্রধান তিনটি বালুঘাট ইজারা দেয়া হয়। খুচরা ভাবে ইজারা নিয়ে রামনগর এলাকার প্রভাবশালী বালু সন্ত্রাসী হিসেবে পরিচিত জনৈক শাহিন ও শাহ আলম সিন্ডিকেট অবৈধ ভাবে ১২ইঞ্চি বিশাল ড্রেজার মেশিন বসিয়ে চড়ের বালু উত্তলোন করছে। এর ফলে চরের কয়েকশত একর ফসলী জমি নদী গর্ভে বিলিন হতে চলেছে। আর এই বালু বোঝাই ট্রলি গাড়ী ও ট্রাক্টর চলাচলে ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে নদীর বেড়ীবাঁধ ও সড়ক ।
কাঠালিয়া চড়ের স্থানীয় কৃষকদের একজন মনা মিয়া, সুরুজ আলী রহিম সহ কয়েকজন অভিযোগ করে আরো বলেন, "নদী চরের ফসলী জমী চাষ করে আমাদের সংসার চলে। এখন এই বালু উত্তলোনকারী প্রভাবশালী মহল যে ভাবে চরের ফসলী জমির মাটি ও বালু কেটে নিচ্ছে তাতে আমরা চাষ বাস করে খেতে পারবো না। ফসলী জমির মাটি কাটতে নিষেধ করায় তারা হুমকি ধমকি দিয়ে উল্টো মারতে আসে। আমরা বিষয়টি স্থানীয় ইউ পি চেয়ারম্যান লালন হায়দার কে অবহিত করলে তিনিও ফসলি জমির মাটি কাটতে নিষেধ করেন ড্রেজার মালিক ও ইজারাদারদের। এতে তারা আরো ক্ষিপ্ত হয়ে কৃষকদের মারার হুমকি দিয়ে বালু উত্তলন অব্যাহত রাখে। রবিবার সকালে চড়ের কৃষকরা একত্রিত হয়ে ড্রেজার বন্ধ করে দিলে ইজারাদার সিন্ডিকেট ও তাদের সন্ত্রাসী বাহিনী কৃষকদের উপর হামলা চালতে উদ্যত হয়। এতে দুই পক্ষের মধ্যে উত্তেজনার সৃষ্টি হয়।
এবিষয়ে জানতে চেয়ে একাধীকবার চেষ্টা করেও বালু উত্তলোনকারী ইজারাদার কাউকে পাওয়া যায় নি।
পরে খবর পেয়ে বুড়িচং থানা পুলিশের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মনোজ কুমার দে ও দেবপুর ফাঁড়ী পুলিশের একটি টিম ঘটনাস্থলে উপস্থিত হয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনেন।