গাংনীর ধানখোলা ইউপি সদস্য কামরুলের দুর্নীতিতে এলাকার মানুষ অতিষ্ঠ
মেহেরপুর প্রতিনিধিঃ তিনি সকল কাজের কাজি তবে সে কাজে তার লাভ থাকতেই হবে। তার লাভ না থাকলে তিনি বাদে অন্যরা সব পাজি হয়ে যান। এমনই বহুল পরিচিত এক ইউপি সদস্য কামরুল ইসলাম। মেহেরপুরের গাংনী উপজেলার ধানখোলা ইউনিয়নের ৪ নং ওয়ার্ড এর মেম্বর। তিনি চিৎলা গ্রামের উমর আলির ছেলে। মেম্বর নির্বাচিত হওয়ার আগে থেকে কামরুল ইসলাম একটি বীমা কোম্পানীর সাথে জড়িত রয়েছেন। পরে তিনি ধানখোলা ইউপি’র ৪ নং ওয়ার্ড মেম্বর নির্বাচিত হন। মেম্বর নির্বাচিত হওয়ার আগে তিনি খুব একটা দুর্নীতি করতেন না নির্বাচিত হওয়ার পর থেকে তিনি দুর্নীতি করা শুরু করেন। মেম্বর কামরুল ইসলাম বয়স্ক, বিধবা সহ মাতৃকালিন ভাতা’র টাকা প্রদানের নামে অনেকের কাছে ঘুষ দাবি করেছেন। ঘুষ না দিলে মেম্বর কামরুল ইসলাম সরকারি ভাতা পাওয়ার যোগ্য ব্যাক্তিকে এর সুবিধা থেকে বঞ্চিত করেন বলে এলাকার একাধিক সুত্রে জানা গেছে। শুধু তাই নয় সম্প্রতি দুস্থ গরীব মানুষদের জন্য সরকারি বরাদ্দকৃত টিউবওয়েল দিতে গিয়েও তিনি ২ হাজার টাকা করে নিয়েছেন বলে নাম প্রকাশ না করার শর্তে জানিয়েছেন। অবশ্য এ অভিযোগ মেম্বর কামরুল ইসলাম অস্বীকার করে বলেন আমার কাছে মাত্র ২টি টিউবয়েল বরাদ্দ দিয়েছে গরীবদের দেওয়ার জন্য এর জন্য কারোর কাছে টাকা দাবি করা হয়নি তবে টিউবওয়েল বসানোর জন্য দেড়শ’ খানা ইটের কথা বলা হয়েছে। এদিকে মেম্বর কামরুল এ প্রতিবেদককে দু’টো টিউবয়েল বরাদ্দর কথা বললেও অন্য এক প্রতিবেদককে তিনি ৩টি টিউবওয়েলের কথা স্বীকার করেন তবে এ পর্যন্ত চারটি টিউবওয়েলের কথা জানা যায়। ধানখোলা ইউপি সুত্রে জানা যায়, ৪ নং ওয়ার্ডে ৪টি টিউবওয়েল বরাদ্দ করা হয়েছে তবে টিউবওয়েল বসানোর সম্পূর্ণ খরচ সরকারের এখান থেকে কারোর কাছ থেকে টাকা নেওয়া যাবে না। শুধু টাকায় নয় তিনি টিউবওয়েল বসানোর কংক্রিট করার জন্য দুস্থদের কাছ থেকে আরো দেড়শ থেকে দু’শ ইট ক্রয় করার কথাও বলেন যা সরকারি নিয়ম বহির্ভুত বলে জানা যায়। মেম্বর কামরুল ইসলামের ফিরিস্তি এখানেই শেষ নয়। সম্প্রতি চিৎলা গ্রামের দঃ পাড়ার উম্মত আলি ভেটুলের ছেলে আরিফ একই জেলার মুজিবনগর উপজেলার ভবের পাড়া এক মেয়েকে বিয়ের প্রলোভনে তার বাড়িতে নিয়ে আসে এবং ৭ দিন রাখার পর মেম্বর কামরুল ইসলামকে হাত করে কৌশলে অভিভাবকের আপত্তির অজুহাত তুলে সেই মেয়েকে বাবার বাড়ি ফেরত পাঠায়। যদিও মেয়েটি যেতে চাননি তার পরও তাকে সুকৌশলে জোর করে তাকে ফেরত পাঠানো হয়। অবশ্য এক্ষেত্রে মেয়েটির অভিভাবকদের কাছ থেকে লেখাপড়া করে স্বাক্ষর করে তাকে ফেরত দেয়। স্থানীয়রা এ মিমাংসায় সমর্থন না করলেও কাজটি মেম্বর কামরুলের কৌশলে জায়েজ হয়েছে বলে অনেকের ধারণা।
জানতে চাওয়া হলে ভুক্তোভুগি মেয়েটির উপজেলার সাবেক ভাইস চেয়ারম্যান বলেন এমন একটি অভিযোগ আমার কাছে জানানো হয়েছিলো। বিষয়টি সুষ্ঠ বিচার করে দেওয়ার জন্য কিন্তু পরে আর আমার সাথে কেউ যোগাযোগ করেননি। এ বিষয়ে মেম্বর কামরুল ইসলাম বলেন, ছেলে মেয়ে দুজনে পছন্দ করে। পরে বিয়ের জন্য মেয়েটি ছেলের বাড়িতে চলে আসে কিন্তু তাদের বিয়ের বয়স না হওয়ায় মেয়েটিকে তার অভিভাবকের হাতে বুঝিয়ে দেওয়া হয়েছে।