রাণীনগরে সরকারি রাস্তার জায়গা বিএনপি সমর্থককারীর দখলে চলছে ভবন নির্মাণ কর্তৃপক্ষ নিরব
রাণীনগর (নওগাঁ) প্রতিনিধি: নওগাঁর রাণীনগর উপজেলা সদরের বিজয়ের মোড়ের পশ্চিম দিকে সড়ক ও জনপদ বিভাগের আওতাধিন রাণীনগর-আবাদপুকুর মহাসড়কের পাশে ও খাদ্য গুদামের সাবেক রাস্তার সরকারি জায়গা দখল করে ৫তালা ভবন নির্মাণ করার অভিযোগ উঠেছে এক বিএনপি সমর্থকারীর বিরুদ্ধে। অপর দিকে বিএনপি সমর্থককারী সরকারি জায়গা অবৈধ ভাবে দখল করে ৫তলা ভবন নির্মাণ কাজ করার বিষয়টি কর্তৃপক্ষ যেনেও এক মাস পেড়িয়ে গেলেও রহস্যজনক কারনে নিরব ভূমিকা পালন করায় জনমনে প্রশ্ন উঠেছে। যেন দেখার কেউ নেই।
জানা গেছে, বিএনপি সমর্থককারী অর্থের জোরে কর্তৃপক্ষকে বৃদ্ধাঙ্গুলি দেখিয়ে কৌশলে জবর-দখল করে সরকারি জায়গায় এই ৫ভবন নির্মাণের কাজ করা হচ্ছে বলে স্থানীয়দের অভিযোগ। সরকারি নিয়ম অনুসারে যে কোন সরকারি রাস্তার উভয় দিকে ২০ফিট করে বাদ দিয়ে যে কোন ভবন নির্মাণ করার বিধান রয়েছে। কিন্তু সড়ক ও জনপদ বিভাগের আওতাধিন রাণীনগর-আবাদপুকুর মহাসড়কের পাশে ও খাদ্য গুদামের সাবেক রাস্তার জায়গা বিএনপি সমর্থককারী ও ব্যবসায়ী দখল করে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের অনুমতি ছাড়াই স্থানীয় প্রভাবশালী মহলকে ম্যানেজ করে অবৈধ ভাবে রাস্তার ২০ফিট জায়গা ছেড়ে না দিয়ে ৫তলা ভবন নির্মাণ কাজ চালিয়ে যাচ্ছে এক মাস ধরে।
নামপ্রকাশে অনিচ্ছুক স্থানীয় অনেকেই অভিযোগ করে বলেন, হয়তো সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষকে ম্যানেজ করে নিয়েছে প্রভাবশালী ভবন নির্মান কারী। রাণীনগর সদরের বিজয়ের মোড়ের কীটনাশক ব্যবসায়ী ও বিএনপি সমর্ধককারী মন্টু সেপাই ও তার ভাইদের বিরুদ্ধে অবৈধ ভাবে এই ভবন নির্মাণ করার অভিযোগ উঠেছে। ভবিষ্যতে এই মহাসড়কের উভয় পাশে বর্ধিত কাজ করার সময় এই ভবনটি বাধার সৃষ্টি করবে বলে স্থানীয়দের অভিযোগ। তাও নজরে পড়ছেনা কর্তৃপক্ষের। অপর দিকে সরকারি জায়গা অবৈধ ভাবে দখল করে ৫তলা ভবন নির্মাণ কাজ করার বিষয়ে কর্তৃপক্ষ জানতে পেড়েও রহস্যজনক কারনে এখনো কোন ব্যবস্থা গ্রহন করেনি।
এবিষয়ে ভবন নির্মাণকারী মো: মন্টু সিপাই বলেন, আমি কোন সরকারি রাস্তার জায়গা দখল করিনি। আমার ক্রয়কৃত জায়গাতে আমি ভবন নির্মাণের কাজ করেছি। এতে যদি কারো সমস্যা মনে হয় তাহলে তারা জমি মেপে দেখতে পারেন।
এবিষয়ে রাণীনগর উপজেলা প্রকৌশলী মো: সাইদুর রহমান মিঞা জানান, রাণীনগর-আবাদপুকুর মহাসড়কটি এখন সড়ক ও জনপদ বিভাগের আওতায়। তাই এই বিষয়টি খতিয়ে দেখার দায়িত্ব আমার নয়।
এব্যাপারে নওগাঁ সড়ক ও জনপদ বিভাগের নির্বাহী প্রকৌশলী মো: হামিদুর রহমান জানান, আমার এ বিষয়ে কোন কিছু জানা নেই তবে বিষয়টি খতিয়ে দেখা হবে। তিনি আরো জানান, ভবনটি আমার সড়কের জায়গায় আসে তাহলে তা ভেঙ্গে ফেলা হবে।