কর্তৃপক্ষের অবহেলায় নবজাতকের মৃত্যু, হাসপাতালে ভাংচুর
নিজস্ব প্রতিবেদক : রাজশাহী ইসলামি ব্যাংক মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল কর্তৃপক্ষের অবহেলায় নবজাতকের মৃত্যু হয়েছে বলে অভিযোগ উঠেছে। এ নিয়ে সোমবার বেলা ১১টার দিকে হাসপাতালের পরিচালকের কক্ষ ঘেরাও করে প্রসুতির সজনরা। এ সময় উত্তেজনা সৃষ্টি হলে পুলিশ গিয়ে তাদের বের করে দেয়। বের হওয়ার সময় তারা হাসপাতালে ভাংচুর জালায়।
ওই প্রসুতির নাম জুলিয়া বেগম। তিনি নগরের আসাম কলোনী এলাকার নাজমুল হাসান টগরের স্ত্রী। জুলিয়া হাসপাতালের ৪০৬ নম্বর ওয়ার্ডের ২ নম্বর বেডে চিকিৎসাধীন রয়েছেন।
জুলিয়ার স্বামী টগর জানান, শনিবার রাত ১২ টার দিকে তার স্ত্রীকে নগরের নওদাপাড়ায় রাজশাহী ইসলামি ব্যাংক মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল ভর্তি করা হয়। হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ জুলিয়াকে চিকিৎসক আবেদা বেগমের তত্বাবধানে দেয়। রাতেই চিকিৎসক পরীক্ষা-নিরীক্ষা করে মা ও সন্তান ভাল আছে বলে জানায়। এর পর ভোর ৬টার দিকে অপারেশনের (সিজার) সময় দেন। কিন্তু তিনি আর হাসপাতালে আসেননি। নয়ঘন্টা পর বিকেল ৩টার দিকে তার স্ত্রীর সিজার করা হয়। সময়মত সিজার না করায় গর্ভে তার সন্তানের মৃত্যু হয় বলে দাবি করেন তিনি।
এ ব্যাপারে মুঠোফোনে যোগাযোগ করার চেষ্টা করে চিকিৎসক আবেদা বেগমকে পাওয়া যায়নি। তবে তার সহকারি সাবিনা বলেন, শাশুড়ির মৃত্যুর খবর পেয়ে ভোরেই ম্যাডাম আবেদা বেগম কুষ্টিয়া চলে যান। সকাল ৮টার দিকে ফোন করে ম্যাডাম বিষয়টি জানান। ম্যাডাম বলেন, আমি দুইদিন কোন রোগি দেখবো না তা কর্তৃপক্ষেকে জানিয়ে দেও। সকাল নয়টার দিকে আমি পরিচালকে বিষয়টি জানিয়ে দিই।
জুলিয়ার চাচা ইমন শেখ জানান, নির্ধারিত চিকিৎসকের অনুপস্থিতিতে আরেকজন চিকিৎসককে দায়িত্ব দেয়ার কথা। কিন্তু হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ সেটি করেননি। তাদের অবহেলায় গর্ভে সন্তান মারা যায়। এ নিয়ে কথা বলতে গেলে পরিচালক মামুনুর রশিদ বলেন এটি একটি দুর্ঘটনা।
এ ব্যাপারে পরিচালক মামুনুর রশিদের সঙ্গে যোগাযোগ করার চেষ্টা করে তিনি কথা বলতে রাজি হননি। তবে শাহমুখদুম থানার ওসি জিল্লুর রহমান বলেন, হাসপাতালের ভিতরে রোগির সজনদের উত্তেজনার খবর পেয়ে সেখানে পুলিশ পাঠানো হয়। পুলিশ গিয়ে উত্তেজিত লোকজনকে হাসপাতাল থেকে বের করে দেয়া হয়। বের হওয়ার সময় গেটের কাছে তারা জানালার কাজ ও টপ ভাংচুর করে। পরে পুলিশ গিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণ করে।