কমলগঞ্জের আদমপুর পোষ্ট অফিসের বেহাল অবস্থা
এ.কে.অলক মৌলভীবাজার: মৌলভীবাজারকম মলগঞ্জ উপজেলার ৭ নং আদমপুর ইউনিয়নের পোষ্ট অফিস ভবনটি নির্মাণের পর থেকে সংস্কার ও পূর্নমেরামত না করায় বর্তমানে পোষ্ট অফিসটি বেহালদশায় পরিণত হয়েছে। ইউনিয়নের বিভিন্ন প্রতিষ্টানের যাবর্তীয় মুল্যবান রেকর্ড পত্রাদি সংরক্ষণ করা হয় ইউনিয়নের প্রধান ডাকঘরে।
স্থানীয়দের অভিযোগ সমান্য বৃষ্টির পানিতে ভবনে টিন চুয়ে পানি পড়ে ভিজে যাচ্ছে মুল্যবান কাগজ রেকর্ড সমূহ। ভবনটি বতর্মানে ব্যবহারের অযোগ্য হয়ে পড়েছে। চিঠিপত্র, টাকা মানি অর্ডার, পার্সেল ডাক বীমাসহ গুরুত্বপূর্ণ ডকুমেন্ট রাখা এবং পাঠানো হত পোষ্ট অফিসের মাধ্যমে। সেই পোষ্ট অফিসের আজ নাজুক অবস্থা।নির্মাণের পর থেকে আজ পর্যন্ত সংস্কার ও পূর্ণমেরামত করা হয়নি। এ কারণে দীর্ঘদিন থেকে ভবনটির টিন চুয়ে বৃষ্টির পানি নিচে পড়ছে, চারদিকের দেয়ালের অবস্থাও খারাপ। এমনকি পোষ্ট অফিসের জানালা ভাঙ্গা এবং অফিসের পিছনের দরজাও নেই। অফিসের একাংশ পাশ্ববর্তী মসজিদের পুকুরের পানির নিচে তলিয়ে গেছে।
স্থানীয়রা আরো জানান, পোষ্ট অফিসের ভিতরের মালামাল নেই, পোষ্ট অফিস মাষ্টার বিভিন্ন জনকে পোষ্ট অফিস ভাড়া দিয়ে থাকেন অনেকের কাছে। প্রথমে দীর্ঘদিন এই অফিসে কোচিং সেন্টার ছিলো তারপর এক মোরগ বিক্রেতার কাছে মোটা অংকের টাকার বিনিময়ে ভাড়া দেন। এই নিয়ে স্থানীয়দের মধ্যে রয়েছে চাপা ক্ষোভ।এ ব্যাপারে প্রশাসনের কোন উদ্যোগ নেই বলেও জানান স্থানীয়রা।
ব্যবসায়ী রহমত আলী সাগর জানান,এক সময় পোষ্ট অফিসের মাধ্যমে চিঠি পত্রাদি আদান-প্রদান করা হত। বর্তমানে পোষ্ট অফিসের চেয়ে কুরিয়ার সার্ভিসের মাধ্যমে অতিদ্রুত টাকা-পয়সা এবং চিঠিপত্রাদি আদান-প্রদান করা যায়। এ কারণে পোষ্ট অফিসের প্রতি মানুষের আগ্রহ কমে গেছে।
পোষ্ট মাষ্টার আব্দুল মুহিত মাহতাবের কাছে জানতে চাইলে তিনি অভিযোগ অস্বিকার করে জানান , দীর্ঘদিন থেকে ছাঁদ চুয়ে পানি পড়ছে ,যার কারণে অনেক কাগজ পত্রাদি সহ অনেক মুল্যবান রেকর্ড নষ্ট হয়ে গেছে। এ নিয়ে বহুবার উদ্ধর্তন কর্তৃপক্ষের নিকট আবেদন কয়া হয়েছে।কিন্তু এখন পর্যন্ত কোন প্রকার ব্যবস্থা গ্রহণ করা হয়নি।
এ ব্যাপারে ৭ নং আদমপুর ইউনিয়ন চেয়ারম্যান মোঃ আবদাল হোসের সাথে কথা হলে তিনি জানান,অভিযোগ খতিয়ে দেখবো এবং যত দূত সম্ভব ব্যবস্থা নিচ্ছি।আশা করি খুব তারাতাড়ি সমাধান হবে।