এসএসসির প্রশ্ন ফাঁস: বাংলা পরীক্ষা বাতিলের সিদ্ধান্তে কমিটি গঠন
এবারের এসএসসি পরীক্ষার বাংলা প্রথম ও দ্বিতীয় পত্রের প্রশ্নপত্র ফাঁস হয়েছে কি-না তা খতিয়ে দেখতে ১১ সদস্যের পরীক্ষা মূল্যায়ন কমিটি গঠন করেছে শিক্ষা মন্ত্রণালয়। শিক্ষা মন্ত্রণালয়ে সম্মেলন কক্ষে এক জরুরি বৈঠক শেষে শিক্ষামন্ত্রী নুরুল ইসলাম নাহিদ এ তথ্য জানান।
এছাড়া, যে বা যারা প্রশ্ন ফাঁস করছে তাদের ধরিয়ে দিলে ৫ লাখ টাকা পুরষ্কারের ঘোষণা দিয়েছে শিক্ষা মন্ত্রণালয়।
১ ফেব্রুয়ারি সারাদেশে শুরু হয়েছে এসএসসি ও সমমানের পরীক্ষা। এবার ২০ লাখেরও বেশি শিক্ষার্থী এ পরীক্ষায় অংশ নিচ্ছে। অভিন্ন প্রশ্নপত্রে পরীক্ষা নেয়া হচ্ছে সব বোর্ডে।
আগের কয়েক বছরের অভিজ্ঞতায় এবারো প্রশ্ন ফাঁস নিয়ে শংকায় ছিলেন শিক্ষার্থী-অভিভাবকসহ সংশ্লিষ্ট সবাই। পরীক্ষা শুরুর আগে শিক্ষামন্ত্রী জানান, প্রশ্নপ্রত্র ফাঁসরোধে সব ধরণের ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে। হুঁশিয়ারি দেন প্রশ্নপত্র ফাঁসের প্রমাণ মিললে বাতিল করা হবে পরীক্ষা।
সব ধরণের প্রতিশ্রুতি ও সতর্কতা সত্বেও প্রথমদিনই বাংলা প্রথম পত্রের পরীক্ষার প্রশ্নপত্র ফাঁসের অভিযোগ উঠেছে। যদিও শিক্ষামন্ত্রীসহ সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তারা এই অভিযোগ অস্বীকার করেছেন।
এরপর সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে চ্যালেঞ্জ ছুড়ে বাংলা দ্বিতীয়পত্রের প্রশ্ন ফাঁসের ঘোষণা দেওয়া হয়। বাংলা দ্বিতীয় পত্রের পরীক্ষার আগেই যোগাযোগ মাধ্যমে ফাঁস প্রশ্নপত্র ভাইরাল হয়।
এ পরিস্থিতিতে রোববার শিক্ষামন্ত্রী নুরুল ইসলাম নাহিদের সভাপতিত্বে জাতীয় মনিটরিং ও আইনশৃংখলা সংক্রান্ত কমিটির জরুরি সভা হয়। সংশ্লিষ্ট মন্ত্রণালয়, বিভাগ, আইনশৃংখলা বাহিনী, গোয়েন্দা সংস্থা, বিটিআরসি, ন্যাশনাল টেলিকমিউনিকেশন মনিটরিং সেন্টার ও বিভিন্ন গোয়েন্দা সংস্থার প্রতিনিধিরাও বৈঠকে যোগ দেন।
সভায় ফেইসবুকে আসল বা নকল যাই হোক প্রশ্নপত্র নিয়ে কোন পোষ্ট দেওয়ায় জড়িতদের ধরিয়ে দিলে পাঁচ লাখ টাকা পুরষ্কার দেওয়ার প্রস্তাব তোলেন শিক্ষা সচিব। সভা শেষে শিক্ষা মন্ত্রী সাংবাদিকদের ব্রিফিংয়ে এই পুরষ্কারের ঘোষণা দেন।
এদিকে, বাংলা প্রথম ও দ্বিতীয় পত্রের পরীক্ষার প্রশ্নপত্র ফাঁস হয়েছে কিনা তা যাচাই-বাছাই করে দেখতে পরীক্ষা মূল্যায়ন কমিটি গঠন করেছে শিক্ষা মন্ত্রণালয়। ১১ সদস্যের এই কমিটির প্রধান কারিগরি ও মাদ্রাসা শিক্ষা বিভাগের সচিব্।
মাধ্যমিক ও উচ্চ শিক্ষা বিভাগের একজন কর্মকর্তা এর সদস্য সচিব। এছাড়া ৮টি শিক্ষা বোর্ডের সমন্বিত প্রতিনিধি, মন্ত্রীপরিষদ বিভাগ, জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়, টেলিযোগাযোগ নিয়ন্ত্রক সংস্থা স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় ও পুলিশের প্রতিনিধিরাও রয়েছেন এতে।