রায়ের সত্যায়িত কপি না পাওয়ার জন্য সরকার দায়ী: বিএনপি
খালেদা জিয়ার রায়ের সার্টিফাইড কপি নিয়ে ইচ্ছাকৃত ধুম্রজাল সৃষ্টি করা হচ্ছে বলে মন্তব্য করে বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেছেন: সরকার আইনকে বেআইনি ভাবে ব্যবহার করছে। রায়ের কপি পেতে বিলম্ব হওয়া আইন লঙ্ঘন, এজন্য সরকার দায়ী।
তিনি বলেন: ক্রিমিনাল কোড অনুযায়ী রায়ের পর ৫ কর্মদিবসের মধ্যে রায়ের সার্টিফাইড কপি পাওয়ার কথা থাকলেও আজ অবধি তা পায়নি বিএনপি। এ কারণে উচ্চ আদালতে বেগম খালেদা জিয়ার জামিন আবেদন করা হচ্ছে না।
শুক্রবার সন্ধ্যায় রাজধানীর গুলশানে বিএনপি চেয়ারপার্সনের রাজনৈতিক কার্যালয়ে আইনজীবীদের সঙ্গে বৈঠক করেন বিএনপির সিনিয়র নেতারা। বৈঠক শেষে বেরিয়ে এসে সরকারের কঠোর সমালোচনা করেন মির্জা ফখরুল।
এসময় বিএনপির মহাসচিব বলেন: আমরা আশা করি, আগামী রোববার রায়ের কপি পাবো এবং ওই দিনই খালেদা জিয়ার জামিনের আবেদন করতে পারবো।
মির্জা ফখরুলের অভিযোগ: রায় দেয়ার পর থেকে তাদের আইনজীবীগণ রায়ের সার্টিফাইড কপি চাচ্ছেন, কিন্তু তা দেওয়া হচ্ছে না। এটি স্পষ্ট আইনের লঙ্ঘন। সরকার আইনের নামে বেআইনি কাজ করছে। আইনকে তারা স্বাভাবিক প্রক্রিয়ায় চলতে দিচ্ছে না। বেগম জিয়ার রায়ের কপি নিয়ে ধুম্রজাল তৈরি করেছে সরকার। সরকার ইচ্ছাকৃতভাবে রায়ের কপি দিতে বিলম্ব করছে। সরকার চায় খালেদা জিয়াকে রাজনীতি এবং নির্বাচন থেকে দূরে রাখতে।
রায়ের সার্টিফাইড কপি পেতে বিলম্ব হওয়ার যৌক্তিক কোন কারণ আছে কিনা, জানতে চাইলে সুপ্রিমকোর্ট আইনজীবী সমিতির সভাপতি এবং বিএনপি চেয়ারপার্সনের উপদেষ্টা এডভোকেট জয়নুল আবেদীন বলেন: এর যৌক্তিক কোন কারণ নেই। ক্রিমিনাল কোড অনুযায়ী রায়ের ৫ কর্মদিবসের মধ্যে তা দিতে হয়। কিন্তু এই কোড লঙ্ঘন করা হয়েছে। রায়ের দিনও আমরা আবেদন করেছিলাম সত্যায়িত কপি দেওয়ার জন্য। বলা হয়েছিল, রোববার দিবে। এরপর বললো, মঙ্গলবার দিবে। এখন আবারও বলা হয়, রোববার দিবে।
রায়ের কপিতে পরিবর্তনের কোন সুযোগ নেই জানিয়ে ব্যারিস্টার মাহবুব উদ্দীন খোকন বলেন: নিম্ন আদালত আইন মন্ত্রণালয়ের অধীন। তাই আমরা দেখছি এতে সরকারের হাত। তবে রায়ের কপিতে আর পরিবর্তন, বা ভাষা পরিবতনেরও সুযোগ নেই। মূলত রায়ের সত্যায়িত কপি দিতে বিলম্ব করে খালেদা জিয়াকে আরো বেশি সময় কারাগারে রাখতে চায় সরকার। সরকার পরিকল্পতিভাবে তাকে কষ্ট দিচ্ছে। কিন্তু এতে সরকারেরই ক্ষতি। বিএনপি চেয়ারপার্সন এক ঘণ্টা বেশি কারাগারে থাকলেও সরকারের ক্ষতি, আওয়ামী লীগের জন্য ক্ষতি।