জয়পুরহাট নওগাঁ ও চাঁপাইনবাবগঞ্জ জেলায় আদিবাসীর ২ হাজার সন্তানদের লেখাপড়া বন্ধ ২৪ টি স্কুলে তালা দিয়েছে সিডিসি
জয়পুরহাট প্রতিনিধিঃ নিরেন দাস।
আমেরিকা বেইজ বেসরকারি উন্নয়ন সংগঠন ‘চার্চ অব দি ন্যাজ্যারিন ইন্টারন্যাশনাল’ এর অভ্যন্তরীণ কর্তৃত্ব প্রতিষ্ঠার জের ধরে জয়পুরহাট, নওগাঁ, চাঁপাইনবাবগঞ্জ জেলায় ২৪ টি সিডিসি’তে তালা লাগিয়ে দিয়েছে সিডিসি সদস্যরা।
এতে প্রায় ২ হাজার আদিবাসী ও দলিত সম্প্রদায়ের সন্তানদের লেখাপড়া বন্ধ হয়ে পড়েছে। অন্যদিকে কর্মকর্তা কর্মচারীদের বিভাজনের ফলে অফিসের তালা ঝুঁলিয়ে দেয়ায় নৈমিত্তক কার্যক্রম বিঘিত্ত হয়ে পড়েছে।
চার্চ অব দি ন্যাজারিন ইন্টারন্যাশনাল নবামের এই সংগঠনটি প্রায় ৩০ বছর ধরে এই এলাকায় কাজ করছে। জয়পুরহাট, নওগাঁ, চাঁপাইনবাবগঞ্জ, সিলেট ও ময়মনসিংহ জেলা নিয়ে নর্থ ওয়েষ্ট সাংগঠনিক জেলা হিসেবে পরিচিত।
যাহার প্রধান দপ্তর নওগাঁ জেলার মহাদেবপুর উপজেলায় অবস্থিত।
সিডিসি সদস্যরা জানিয়েছেন, এই অফিসে দীর্ঘদিন ধরে ডিস্ট্র্রিক্ট সুপারিনটেনডেন্ট (ডিএস) হিসেবে দায়িত্ব পালন করে আসছিলেন রেভারেঞ্জ থমাস দীপক বৈদ্য।
গত ৪ ফেব্রুয়ারি ঢাকায় সংগঠনের ২৫ বছর পূর্তি অনুষ্ঠানে দীপক বৈদ্যকে ডিএস হিসেবে সস্ত্রীক সংবর্ধনাও দেয় হয়।
কিন্তু হঠাৎ করে ভারতের পশ্চিমবঙ্গ এলাকা থেকে ইতিমধ্যে অবসর গ্রহণকারী রেভারেঞ্জ অমিতাভ চ্যাটার্জী নিজেকে ডিএস হিসেবে পরিচয় দিয়ে ই-মেইলে ডিএস-এর দায়িত্বে থাকা দীপক বৈদ্যকে অফিসের যাবতীয় দায়িত্ব রেভারেঞ্জ অমিতাভ চ্যাটার্জী’র অনুকুলে অফিসের অ্যাকাউন্ট্যান্ট অঞ্জনের নিকট বুঝে দেয়ার জন্য নির্দেশ দেন।
এরই মধ্যে অমিতাভ চ্যাটার্জীর যে দুই একজন অনুসারী রয়েছে তারা ডিএস দীপক বৈদ্যকে ঘরে আটক করে রাখে। ফলে নর্থওয়েষ্ট জেলা অফিসে বিশৃঙ্খলার সৃষ্টি হয় অফিসের অধিকাংশ কর্মকর্তা কর্মচারী এবং সিডিসি সদস্যরা প্রবাসী কোন ব্যক্তিকে ডিএস হিসেবে মেনে নিতে অস্বীকার করায় তাঁদের মধ্যে বিরূপ প্রতিক্রিয়া সৃষ্টি হয়। তাঁরা দীপক বৈদ্যকেই ডিএস হিসেবে দেখতে চান বলেও দাবী করেন।
ফলে গত সোমবার দুপুরে নওগাঁর মহাদেবপুরে ১৪ টি, পোরশায় ১ টি, নিয়ামতপুরে ১ টি, সাপাহারে ৩ টি, জয়পুরহাটের পাঁচবিবিতে ৩ টি ও চাঁপাইনবাবগঞ্জ জেলায় ১ টি সহ মোট ২৩ টি সিডিসি’তে স্থানীয় সিডিসি সদস্যরা তালা লাগিয়ে দিয়ে ক্লাস বন্ধ করে দেন। তাঁদের দাবি অবিলম্বে দায়িত্বপালন করে আসা বাংলাদেশের নাগরিক রেভারেঞ্জ থমাস দীপক বৈদ্যকে ডিএস হিসেবে নিশ্চিত করে অফিসের র্কাক্রমকে স্বাভাবিক রাখা হোক বলেন।
নওগাঁর মহাদেবপুর উপজেলা নির্বাহী অফিসার মোঃ মোবারকব হোসেন বলেছেন বিষয় টি আমার জানা ছিল না। এখন জেনেছি এই প্রতিষ্ঠানের স্বাভাবিক কার্যক্রম এবং শিক্ষা কার্যক্রম যাতে বন্ধ না হয় সে ব্যাপারে আমি পদক্ষেপ প্রহন করবেন।