শায়েস্তাগঞ্জে সুতাং নদী ভরাট করে এক শ্রেণীর দখলদাররা গড়ে তুলছে অবৈধ স্থাপনা
রামেন্দ্র কিশোর মিত্র (হবিগঞ্জ) প্রতিনিধি : দখলদারদের কবলে পড়েছে হবিগঞ্জে জেলার শায়েস্তাগঞ্জ উপজেলার সুতাং নদী। এছাড়া অবৈধভাবে পাড়সহ নদী দখল করে স্থাপনা গড়ে তোলার প্রতিযোগিতার কারণে প্রতিনিয়ত সংকুচিত হচ্ছে এক সময়ের খরস্রোতা এই নদীর স্রোতধারা।এ অবস্থায় সমান্য বৃষ্টিতে নদীর আশপাশের বিস্তীর্ণ এলাকা পানিতে নিমজ্জিত হয়ে ভয়াবহ জলাবদ্ধার সৃষ্টি হচ্ছে।ফলে চরম ভোগান্তিতে পড়ছে জনসাধারণ।ড্রেজিং না করার কারণে ও ক্রমশ নাব্যতা হ্রাস পাচ্ছে।পাশাপাশি নদী ভরাট হয়ে যাওয়ার সুযোগকে কাজে লাগিয়ে এক শ্রেণির ভূমিদস্যু নদীর জায়গা জুড়ে গড়ে তুলছে নানা স্থাপনা।পরিবেশবিদদের আশঙ্কা দখল প্রতিরোধে এখনই ব্যবস্থা না নিলে বিলীন হয়ে যাওয়া নদীগুলোর মতো এই সুতাং নদীরও কারণ পরিণতি হবে। ইতিমধ্যে শায়েস্তাগঞ্জ উপজেলার ৭নং নূরপুর ইউনিয়নে অবস্থিত সুতাং নদীর তীরের ভূমির অধিকাংশ স্থান অবৈধ দখলদারদের কবলে চলে গেছে।এছাড়া পলি মাঠি পড়ে নদী ভরাট হচ্ছে। ফলে নদীর গভীরতাও দিন দিন হ্রাস পাচ্ছে।জানা যায়, বিভিন্ন সময় অবৈধ দখলদারদের চিহ্নিত করা হলেও তাদের বিরুদ্ধে কার্যকর কোন ব্যবস্থা গ্রহণ করা হয়নি।সরজমিনে দেখা যায়, সুতাং বাজার সংলগ্ন সুতাং নদীর তীরের ভূমির অধিকাংশ দখল হয়ে গেছে।এতে পরিবেশ ধ্বংসের পাশাপাশি কমে যাচ্ছে মৎস্য সম্পদ।ব্যাহত হচ্ছে নৌ-চলাচল।স্থানীয় লোকজন জানান, সুতাং নদী সংলগ্ন এলাকার কিছু প্রভাবশালী ব্যক্তি অর্থের জোড়ে নদী ভরাটের মাধ্যমে দখল করে অবৈধ স্থাপনা গড়ে তুলে রমরমা ব্যবসা চালিয়ে যাচ্ছে। প্রতিকারে সংশ্লিষ্টদের অধিক নজরদারী এবং নদীর পাশে গড়ে ওঠা অবৈধ স্থাপনা উচ্ছেদ করে নদীর সীমানা পুনরুদ্ধার করা জরুরী বলে মনে করছেন সচেতন মহল।দখলের বিষয়ে স্থানীয় ইউপি চেয়ারম্যান আওয়ামীলীগ নেতা মো:মুখলিছ মিয়া বলেন, আমিও চাই সুতাং নদী দখল মুক্ত হউক।এবং নদীর পাশে গড়ে ওঠা অবৈধ স্থাপনা উচ্ছেদ হউক।