মালিকদের দ্বন্দ্বে লালমনিরহাটসহ উওরের ১১ জেলার সাথে ঢাকার বাস চলাচল বন্ধ
লালমনিরহাট প্রতিনিধি
বগুড়া ও ঢাকার পরিবহন মালিকদের দ্বন্দ্বের কারণে লালমনিরহাটসহ উওরের ১১ জেলার সাথে ঢাকার বাস চলাচল বন্ধ হয়ে গেছে। গত বুধবার সকাল থেকে রাজধানীর সাথে উওর আঞ্চলের বাস যোগযোগ বন্ধ হয়ে যায়। ফলে এতে করে চরম ভোগান্তিতে পড়েছেন ঢাকাগামী যাত্রীরা।
লালমনিরহাট থেকে ঢাকাগামী বাস কাউন্টারগুলোতে খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, গত মঙ্গলবার রাতে আকস্মিক ঘোষণায় অনির্দিষ্টকালের জন্য বাস চলাচল বন্ধ করা হয়। এ কারণে বুধবার সকালে জেলার সব বাস কাউন্টারে যাত্রীরা এসে ফেরত গিয়েছেন।
ঢাকা যাওয়ার উদ্দেশে নাবিল এন্টারপ্রাইজ এর কাউন্টারে আসা শরিফুল ইসলাম নামে এক যাত্রী জানান, বাস চলাচল বন্ধ এটা জানতাম না। বৃহস্পতিবার ঢাকায় আমার একটা পরিক্ষা আছে। কাউন্টারে এসে জানলাম বাস বন্ধ। রাতেও গাড়ি চলবে কি না তাও জানা যায়নি। কিন্তু কি ভাবে যাব বুঝতে পারছি না।
লালমনিরহাট মোটর মালিক সমিতি’র কার্যকারী সদস্য ও জেলা পরিষদের সদস্য সাইফুল ইসলাম বলেন, বগুড়া ও ঢাকার পরিবহন মালিকদের দ্বন্দ্বে বাস চলাচল বন্ধ থাকায় আমরা নিরুপায়। বগুড়া ছাড়া আমাদের ঢাকাগামী অন্য কোনও রুট নেই। এ কারণে আমরা বাধ্য হয়ে বাস চলাচল বন্ধ রেখেছি। এতে লালমনিরহাটসহ উওরের ১১ জেলার যাত্রীরা ভোগান্তিতে পড়েছে।
সংশ্লিষ্ট সূত্র জানায়, বগুড়ার শাহ্ ফতেহ আলী পরিবহনের কিছু শীতাতপ নিয়ন্ত্রিত কোচ বগুড়া থেকে ঢাকার মহাখালী রুটে চলাচল করে। অন্যদিকে, ঢাকার পরিবহন মালিকদেরও বেশ কয়েকটি শীতাতপ নিয়ন্ত্রিত কোচ ঢাকা থেকে রংপুর পর্যন্ত চলাচল করে। সব মিলিয়ে অর্ধশত বাস চলাচল করে। সম্প্রতি ঢাকার পরিবহন মালিকদের পক্ষ থেকে ব্যবসায়িক ক্ষতির অজুহাতে বগুড়ার শাহ্ ফতেহ্ আলী পরিবহনের শীতাতপ নিয়ন্ত্রিত বাসগুলো ঢাকা-বগুড়া রুটে না চালানোর জন্য অনুরোধ করা হয়। কিন্তু বগুড়ার মালিকপক্ষ সেই অনুরোধ প্রত্যাখ্যান করলে ঢাকার পরিবহন মালিকরা অসন্তুষ্ট হন। সোমবার বিকালে ঢাকার পরিবহন মালিকরা মহাখালী বাস টার্মিনালে শাহ্ ফতেহ্ আলী পরিবহনের টিকিট কাউন্টার বন্ধ করে দেন। এরপর তারা ঢাকার গাবতলীতেও শাহ্ ফতেহ আলী পরিবহনের কাউন্টার বন্ধ করে দেন। এতে ওই পরিবহনের বাসগুলো ঢাকায় আটকে পড়ে। এ খবর বগুড়ায় পৌঁছার পর বগুড়ার পরিবহন মালিক প্রমিকরা তাৎক্ষণিকভাবে বগুড়া থেকে ঢাকাগামী সব কোচ পরবর্তী নির্দেশ না দেওয়া পর্যন্ত বন্ধ রাখার সিদ্ধান্ত নেন।