মাদকের বিরুদ্ধে কার্যকর ভূমিকা নেয়া থেকে বিরত থাকলে তার ব্যবস্থা নেয়া হবে / চাকরি থাকবে না
মাদক ব্যবসায়ীদের সঙ্গে অধিদপ্তরের কেউ জড়িতের প্রমাণ পাওয়া গেলে তাকে চাকরি থেকে অপসারণ করা হবে এ হুঁশিয়ারি দিয়েছেন মাদক দ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদপ্তরের মহাপরিচালক জামাল উদ্দীন আহমেদ।
তিনি বলেন, অধিদপ্তরের কেউ মাদকের বিরুদ্ধে কার্যকর ভূমিকা নেয়া থেকে বিরত থাকলে তার ব্যবস্থা নেয়া হবে।
বৃহস্পতিবার দুপুরে অধিদপ্তরে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে তিনি এসব কথা বলেন।
জামাল উদ্দীন বলেন, মাদক ব্যবসায়ী ও সেবনকারীদের বিরুদ্ধে শিগগিরি কঠোর আইন প্রণয়ন করা হবে।
টেকনাফ এলাকাকে একটি নতুন জোন করে কাজ করবে মাদক দ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদপ্তর— এছাড়া মিয়ানমার থেকে যাতে ইয়াবা দেশে ঢুকতে না পারে সেজন্য একটি টাস্কফোর্সও গঠন করা হয়েছে জানান তিনি।
এক মার্চ থেকে তথ্য অভিযান শুরু উপলক্ষে সংবাদ সম্মেলনের আয়োজন করে মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদপ্তর।
সংবাদ সম্মেলনে অধিদপ্তরের মহাপরিচালক জানান, ২০১৭সালে ৩৯ হাজার ৫৮৫টি অভিযানে ১২৬৫১জন মাদক অপরাধীকে গ্রেপ্তার করে ১১৬১২টি মামলা দায়ের করা হয়েছে।
তিনি বলেন, মাদকদ্রব্য যাতে ছড়িয়ে পরতে না পারে সেজন্য আইন আরো শক্তিশালী ও কঠোর করা হচ্ছে।
মিয়ানমার থেকে কোনোভাবেই যাতে ইয়াবা বাংলাদেশে ঢুকতে না পারে সেজন্য একটি টাস্কফোর্স কাজ করছে বলেও জানান তিনি। টেকনাফকে একটি আলাদা জোনেও ভাগ করা হবে।
তিনি আরো বলেন, মাদক ব্যবসায়ীদের সঙ্গে অধিদপ্তরের কেউ জড়িত থাকলে কঠোর ব্যবস্থার হুঁশিয়ারি দিয়ে তিনি বলেন, মাদক নিয়ন্ত্রণে সচেষ্ট রয়েছে সরকার তবে জন সম্পৃক্ততা আরো বেশি জরুরি।
তিনি আরো বলেন রাজধানীর বারগুলোতে লাইসেন্সের নিয়মের বাইরে কিছু বিক্রি করলে সেগুলো বন্ধ করে দেয়া হবে।