কাপাসিয়ায় খাস জমি প্রভাবশালীর দখলে
কাপাসিয়া(গাজীপুর)প্রতিনিধিঃ
কাপাসিয়ায় উপজেলার আড়ালিয়া বাজারের খাস জমিতে অবৈধ ঘর নির্মাণ কাজ শুরু করেছে স্থানীয় এক প্রভাবশালী নেতা। বন্দোবস্ত ছাড়া ওই খাস জমি বেদখল বিষয়ে একই গ্রামের রশিদের ছেলে সেলিম মিয়া বাদী হয়ে গত ১ মার্চ উপজেলা সহকারি কমিশনার ভূমি’র কাছে একটি লিখিত অভিযোগ দায়ের করেন।
অভিযোগ সূত্রে জানা যায়, উপজেলার টোক ইউনিয়নের আড়ালিয়া মৌজাস্থিত আড়ালিয়া ১ নং খতিয়ানভুক্ত জমিতে সরকারি বিধি বিধান না মেনে একই গ্রামের বাতেন এর ছেলে মনিরুজ্জামান মনির(৩৭)গাঁয়ের জোরে ঘর নির্মাণ কাজ শুরু করে। বৈধ কোনো কাগজপত্র নেই এবং এই জমিতে ঘর নির্মাণ কাজ করার কোনো বন্দোবস্ত নেই। গত প্রায় বিশ বছর ধরে স্থানীয় রমিজ উদ্দিন নামক এক হতদরিদ্র জমিটিতে একটি ক্ষুদ্র ব্যবসা দিয়ে দিনাতিপাত করছিলো।
রমিজ উদ্দিন জানান, আমি ২২ বছর ধরে বাজারের এই জমিতে মাইক ব্যবসা করছি। গত বৃহস্পতিবার সকালে মনির আমাকে আমার স্ত্রীকে মারধর করে। আমাকে হুমকি দেয়। মেরে ফেলার চেষ্টা করে। আমার স্ত্রী আনোয়ারা বেগম (৪৮)বর্তমানে কাপাসিয়া উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি আছে।
আড়ালিয়া গ্রামের কৃষক বিল্লাল হোসেন বলেন, এখানে খাস জমিতে ঘর নির্মাণ করা হচ্ছে। জমিটাতে রমিজ উদ্দিন নামক এক ভূমিহীন কয়েকযুগ ধরে ভোগ দখলে ছিলো। আড়ালিয়া গ্রামের সাবেক ইউপি সদস্য মোনতাজ উদ্দীন জানান, এখানে খাস জমি আছে। খাস জমিতে ইটের নির্মাণ কাজ চলছে। আড়ালিয়া গ্রামের ইউপি সদস্য দুলাল মিয়া বলেন, সরকারি জমিতে স্থাপনা নির্মাণ করছে। স্থাপনা নির্মাণের আগে বাজার কমিটি বা আমাদের সাথে এ বিষয়ে কোনো আলোচনা করেনি।
অবৈধ ঘর নির্মাণকারী অভিযুক্ত মনিরুজ্জামান মনির বলেন, আমার নিজ জমিতে আমি ঘর নির্মাণ করছি। এতে কারো কোনো সমস্যা হওয়ার কথা নয়। ইউনিয়ন ভূমি অফিসের নিষেধাজ্ঞার বিষয়ে তিনি কিছু জানেন না বলে অস্বীকার করেন।
টোক নয়নবাজার ইউনিয়ন ভূমি অফিস সহকারি কর্মকতা আকতারুজ্জামান বলেন, ঘর নির্মাণ কাজ শুরু হয়েছে এমন বিষয় জানার পর অফিস স্টাফ মতিউর রহমানকে সরেজমিনে পরিদর্শনে পাঠানো হয়েছে।
কাপাসিয়া থানার উপ পুলিশ পরিদর্শক (এস আই) মো. শাহজাহান মিয়া বলেন, খাস জমিতে ঘর নির্মাণ কাজ বিষয়ে অভিযোগ পেয়েছি। উপজেলা সহকারি কমিশনার (ভূমি) নাজমুস সাকিব বলেন, অভিযোগ পেয়েছি, তদন্ত সাপেক্ষে বিধি মোতাবেক ব্যবস্থা গ্রহন করা হবে।