প্রতিষ্ঠার ১৮ বছর পরেও এমপিও ভুক্ত হয়নি দিনাজপুরের নবাবগঞ্জের ফতেপুর মাড়াষ দাখিল মাদ্রাসা।
মোঃ জুলহাজুল কবীর নবাবগঞ্জ,দিনাজপুর।
শিক্ষার্থী প্রায় ২৫৫জন,শিক্ষক কর্মচারী ১৮ জন,জেডিসি-জেএসডি'র ফলাফলও সন্তোষজনক। উপবৃত্তির ব্যবস্থা আছে সাধ্যমত,শিক্ষা সামগ্রীসহ বই পুস্তক সরকারই বহন করে আসছে রীতি অনুযায়ী।
অভাবের কারনে অনেক শিক্ষক ইতি মধ্যেই দিন মজুরের কাজ করছেন। মাদ্রাসা প্রতিষ্ঠার দীর্ঘ সময় অপেক্ষা করে বিল-বেতন পাওয়ার আগেই মারাও গেছেন ২/৩ জন শিক্ষক। সংসারে ছেলে নেই শুধু ২ মেয়ে,জমি জায়গা যেটুকু ছিল বিক্রি করে মাদ্রাসা উন্নয়নের নামে সভাপতির হাতে দিয়ে আজ এত বছর অর্ধাহারে অনাহারে দিন চলছে সুপার মমিনুর ইসলামের। মাদ্রাসায় নিয়োগ পেয়ে মনে হয়েছিল তার মাধ্যমে অনেক অস্বচ্ছল পরিবারে শিক্ষার আলো জ্বলবে। কিন্তু দীর্ঘ ১৮ বছর পর আর ধৈর্য সহ্য হচ্ছেনা জানালেন,ফতেপুর মাড়াষ দাখিল মাদ্রাসার হতভাগা সুপার পদবীপ্রাপ্ত মোঃ মমিনুর ইসলাম।
মাদ্রাসার সভাপতি নজরুল ইসলাম, বাড়ী ফতেপুর মাড়াষ গ্রামে। তিনি মাদ্রাসা মাঠে আম গাছ আর মরিচের চারায় মাদ্রাসার পিয়ন শরিফুল ইসলামকে নিয়ে পানি দিচ্ছেন। তিনি জানালেন,২০০০ইং সালে মাদ্রাসা প্রতিষ্ঠা করে রেজিঃ হয় ২০০৬ সালে,রেজিঃ নং ১৭৯/০৬। শিক্ষক কর্মচারী নিয়োগ দেওয়া হয়,মাদ্রাসার বিভিন্ন কাজের জন্য ডোনেশন বাবদ সকল শিক্ষক কর্মচারীর কাছে সাধ্য অনুযায়ী কিছু কিছু করে টাকাও নেওয়া হয়। ঢাকায় যাতায়াত ও মাদ্রাসা নির্মানে অনেক টাকা ব্যয় হয়ে এখন সকলের খেয়ে না খেয়ে দিন চলছে কোনো রকমে। তার পরও থেমে নেই মাদ্রাসার শিক্ষা কার্যক্রম,চলছে সরকারী নিয়ম মতোই। ১৮বছরে কত সরকার বদল হলো, এমপি বদল হলো আমাদের ভাগ্য বদল হলোনা। সবাই শুধু আশ্বাস দেয়, কাজ হয়না।
মাদ্রাসার দপ্তরী পদে নিয়োগ পাওয়া শরিফুল ইসলাম জানায়, ভাই অনেকেই মাদ্রাসায় আসে, অনেক সাংবাদিক ভাইয়েরা আসে আমাদের কষ্টের কথা কেউ পত্রিকায় লেখেনা। নবাবগঞ্জ উপজেলা ছাত্রলীগের সভাপতি শাহীনুর ইসলাম জানালেন,আমি বিষয়টি এমপি সাহেবকে ভালো ভাবে জানাব, তাছাড়া ঐ এলাকার দায়িত্বে সায়েম সবুজ ভাই আছেন, আমি তাঁর সাথেও এব্যাপারে কথা বলব। এমপিও বঞ্চিত মাদ্রাসার শিক্ষার্থী অভিভাবক ও মাদ্রাসার উন্নয়নকামী জনগণ আশা করছেন, এমপি শিবলী সাদিকের সু-নজর পড়লে ১৮ জন শিক্ষক কর্মচারীর মুখে হাসি ফুটবে।