কুলাউড়া চিকিৎসার অভাবে মোমিন ছড়া চা-বাগানে শিশু ও নারী দুই জনের মৃত্যু
এ.কে.অলক মৌলভীবাজার:
মৌলভীবাজার জেলার শেষ প্রান্তে কুলাউড়া উপজেলার ভাটেরা এলাকার মোমিন ছড়া চা-বাগানে ১০ দিন ধরে চা-শ্রমিকদের ধর্মঘট চলছে। বাগান হাসপাতালে অসুস্থ চা-শ্রমিক আক্কেল মিয়া (৩৫) চিকিৎসার ঘটনাকে কেন্দ্র করে অচল অবস্থা বিরাজ করছে এ চা- বাগানে। বাগান হাসপাতালের অপ্রতুলতা ও চিকিৎসার অভাবে নারী শ্রমিক শ্রীমতি সাওতাল-(৩৫) মারা যান। গতকাল মঙ্গলবার সকালে বাগানের শ্রমিক সবুজ কর্মকারের ৯ বছরের শিশু অনিমা কর্মকার মারা যায়। বাগান পঞ্চায়েত সভাপতি কার্তিক নায়েক ও প্রত্যক্ষদর্শি সুত্রে জানা গেছে গত ১২ মার্চ চা-শ্রমিক আক্কেল মিয়া অসুস্থ হয়ে বাগানের হাসপাতালে গেলে চিকিৎসা দানে অদক্ষ রাবার বাগানের ম্যানেজার রহুল পারভেজ চিকিৎসা দেন আক্কল এ চিকিৎসা মেনে না নিয়ে সু-চিকিৎসার দাবী জানালে বাগানের ঠিকাদার প্রভাবশালী দলা মিয়ার মদদপুষ্ট বাহিনী তাকে নির্যাতন করে। এক পর্যায়ে হাসপাতাল থেকে অন্যান্য রোগিকেও তারা বের করে দেয়। এ সময় চা- শ্রমিকরা এ ঘটনার প্রতিবাদ করলে দলা মিয়া ঠিকাদারের লোকজনের সাথে শ্রমিকদের ধস্তাধস্তি হয়। গর্ভবতী নারী শ্রমিকসহ ১৭জন শ্রমিক আহত হন। আহতদের বিভিন্ন হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। মৃত শ্রীমতি সাওতালের স্বামী সুবল সাওতাল বলেন বাগানের রেওয়াজ অনুযায়ী ট্রাকে রোগি বহন করা হয়। গন্ডগোলের কারনে বাগান হাসপাতাল ওই দিন বন্ধ ছিল। ট্রাক দিয়ে বহন করে শ্রীমতিকে নিয়ে যেতে যেতে তার অবস্থার অবনতি ঘটে। সে ৬ দিন হাসপাতালের বেডে থেকে ৬ দিন পর মারা যায়। ট্রাক দিয়ে রোগি বহনে দেরী হওয়ায় অনেক সময় এ ভাবে অনেক রোগির প্রাণ যায়। গতকাল মঙ্গলবার সকালে সবুজ কর্মকারের ৯ বছরের শিশু অনিমা কর্মকার মারা যায়। গতকাল বিকেলে শ্রমিকরা তাদের ৬ দফা দাবী নিয়ে মিছিল মিটিং করেছে। তাদের দাবী মানা না হলে ধর্মঘট অব্যাহত থাকবে। এ ব্যাপারে বাগান ম্যানেজারের সাথে মোবাইল ফোনে বারবার যোগাযোগের চেষ্টা করলে তিনি ফোন ধরেননি। এ ব্যাপারে ফেঞ্চুগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা বলেন এটা তেমন বড় ঘটনা নয় শ্রমিকরা নানা অজুহাত দেখিয়ে ধর্মঘট করছে। দু’জনের মৃত্যুর ঘটনা তিনি জানেননি।