মৌলভীবাজারের তিনটি উপজেলা বন্যা কবলিত ত্রাণ পৌছায়নি দুইটি উপজেলায়
মৌলভীবাজার প্রতিনিধি: মৌলভীবাজার জেলার তিনটি উপজেলায় তিনদিনের টানা বর্ষনে ও পাহাড়ী ঢলে মনু নদীর বাঁধ ভেঙ্গে ১৫টি ইউনিয়নের ৭৪টি গ্রাম বন্যার পানিতে প্লাবিত হয়েছে। এতে পানিবন্দী হয়ে পড়েছে প্রায় ৮ হাজার পরিবার। এর মধ্যে কমলগঞ্জের পুরো উপজেলা বন্যা কবলিত হয়ে পড়েছে। সরেজমিনে গিয়ে দেখা যায়, গতকাল রাতে কমলগঞ্জের পৌরসভার ১নং ওয়ার্ডের করিমপুর ও উপজেলার মুন্সীবাজার ইউনিয়নের সুরানন্দপুর, কেওয়ালিঘাট, রহিমপুর ইউনিয়নের লক্ষ্মীপুর, গোপাল নগর, কুলাউড়া উপজেলার টিলাগাঁও ইউনিয়নের গন্ডারগর, শরিফপুর ইউনিয়নের তেলিবিল, চাতলাপুরে ভাঙন দেখা দিয়েছে। এছাড়া কয়েকটি এলাকায় প্রতিরক্ষা বাঁধ সংকীর্ণ হয়ে পড়েছে। যার ফলে আশ্রয়গ্রাম, ইছবপুর, বালিয়া, চক সালন, তাজপুর, সন্ডাবাজ, মিয়ার পাড়া, মাতাবপুর, মাদানগর, চক রইণচাপ, হাসিমপুর, বাড়ইগাঁও ও মন্দিরাসহ কয়েকটি এলাকায় বাঁধ ঝুঁকিপূর্ণ হয়ে পড়েছে। উপজেলার সাধনপুর, কাউকাপন, বাশউরী ও নোয়াগাঁও এলাকায় বাঁধের নিচ চুইয়ে ও কোনে কোনো স্থানে বাঁধের উপর দিয়ে পানি প্রবেশ করে প্রায় তিনশ’ পরিবার পানিবন্দি হয়ে পড়েছে। রাজনগর উপজেলার কামারচাক ইউনিয়নের ভোলানগর দিয়ে মনু নদীর বাঁধ ভেঙ্গে যায়। রাতের আঁধারে হঠাৎ করে বাঁধ গুলো ভেঙ্গে যাওয়ায় মানুষ দিশাহারা হয়ে পড়ে। বাঁধের পাশের মানুষ গুলো তাদের মালপত্র ও গৃহপালিত পগু গুলো সরিয়ে ফেলার কোনো সুযোগ পায়নি। বন্যার তুরে ভেসে গেছে তাদের ঘরের শেষ সম্ভলটুকু। রমজান মাসে তাদের ভোগন্তি আরো বেড়ে যায়। কমলগঞ্জ উপজেলার নির্বাহী কর্মকর্তা মোহাম্মদ মাহমুদুল হক বলেন, আমরা এখনো কোনো ত্রাণ বিতরণ করিনি। জেলা প্রশাসককে জানানো হয়েছে। আগামি কাল ত্রাণ বিতরণ করা হবে। কমলগঞ্জ পৌর সভার একটি ওয়ার্ড সহ পুরো উপজেলাই বন্যা কবলিত হয়ে পড়েছে। কুলাউড়া উপজেলার নির্বাহী কর্মকর্তা চৌধুরী মোহাম্মদ গোলাম রাব্বী বলেন, উপজেলা পরিষদের পক্ষ থেকে আড়াই লাখ টাকার শুকনো খাবার বন্যার্থদের দেওয়া হয়েছে। আগামিকাল জেলা প্রশাসকের তহবিল থেকে ৫০ মেট্টিক টন চাল ও নগদ ৫০ হাজার টাকা বন্যার্থদের মধ্যে বিতরণ করা হবে। রাজনগর উপজেলার নির্বাহী কর্মকর্তা ফেরদৌসী আক্তার বলেন, আমরা এখনো কোনো ত্রাণ বন্যার্থদের দিতে পারিনি। জেলা প্রশাসককে জানানো হয়েছে। আগামিকাল জেলা প্রশাসকের তহবিল থেকে ত্রাণ বিতরণ করা হবে।