কোটচাঁদপুরে ইভটিজিং এর প্রতিবাদ করায় মেয়ের পিতা হাসপাতালে ভর্তি!
মোঃ নজরুল ইসলাম কোটচাঁদপুর উপজেলা প্রতিনিধি,ঝিনাইদহ
কোটচাঁদপুর উপজেলার বলাবাড়িয়া গ্রামে মেয়েকে ইভটিজিং এর প্রতিবাদ করায় পিতাকে বেধড়ক মারপিঠ করে হাসপাতালে পাঠিয়েছে সন্ত্রাসীরা। ঘটনাটি ঘটেছে কোটচাঁদপুর উপজেলার বলাবাড়িয়া গ্রামে ঈদের দিন বিকালে। এঘটনায় এলাকায় মারামারির সৃষ্টি হলে উভয় পক্ষের তিন জন আহত হয়। তাদেরকে কোটচাঁদপুর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করা হয়েছে।
ঐ এলাকার মজনুর রহমান ও আরিফ হোসেন জানান, ঈদের দিন বিকালে কোটচাঁদপুর উপজেলার বলাবাড়িয়া গ্রামের কাজী পাড়ার আলাউদ্দীনের মেয়ে তৃষা (১১) বাড়ির সামনে দাড়িয়ে ছিল। এ সময় এলাকার কিছু উশৃংখল যুবক মেয়েটিকে ইভটিজিং ও বাজে ইঙ্গিত করে। পরে মেয়েটি তার পিতা আলাউদ্দীনের কাছে বিষয়টি জানালে আলাউদ্দীন ওই সকল ছেলেদের অবিভাবকদের কাছে যায়। এ সময় এলাকার চিহিৃত সন্ত্রাসী পুলিশের দালাল খ্যাত গোলাম হোসেন কাহারের ছেলে মতিয়ার রহমান কালু ও তার বাহিনীর সদস্যরা আলাউদ্দীনের বেধরক মারপিট করে ফেলে রাখে। পরে এলাকাবাসী আলাউদ্দীনকে কোটচাঁদপুর হাসপাতালে ভর্তি করে। আলাউদ্দীন এ বলেন, আমার মেয়ে তৃষা বলাবাড়িয়া প্রাথমিক বিদ্যালয়ে পঞ্চম শ্রেণীতে লেখাপড়া করে। তার বয়স মাত্র ১১ বছর। এই ছোট্ট মেয়েটিকে ঈদের দিন বিকালে ইভটিজিং ও বাজে ইঙ্গিত করে একই গ্রামের কাহার পাড়ার আব্দুল খালেকের ছেলে তোতা, বাহারউদ্দীনের ছেলে সাইদ, ফজলুর রহমানের ছেলে রুবেল, শাহাজাহানের ছেলে জাহিদুল, আরশেদ আলীর ছেলে নয়ন, রেজেক আলীর ছেলে উজ্বলসহ ৮/১০ জন। এই ছেলেরা প্রায়ই তার মেয়েকে উত্ত্যক্ত করে আসছে। আমি প্রতিবাদ করায় মতিয়ার রহমান কালু ও তার সন্ত্রাসী বাহিনী আমাকে মারপিঠ করেছে। এ ঘটনায় পরপরই এলাকাবাসী কাহার পাড়ার উপর ক্ষোভে ফেটে পড়ে। রক্তক্ষয়ী সংঘর্ষের আশংকা সৃষ্টি হলে ওই এলাকার ইউপি চেয়ারম্যান মিজানুর রহমান খান ও পুলিশের হস্তক্ষেপে কিছুটা শান্ত হয়। এরই মধ্যে কাহার পাড়ার বাদল (৩২) ও বাহার আলী (৫০) এলাকাবাসীর গণ পিটুনিতে আহত হয়। বর্তমানে এলাকায় উত্তেজনা বিরাজ করছে। এ ব্যাপারে আলাউদ্দীর বাদী হয়ে সোমবার কোটচাঁদপুর মডেল থানায় একটি লিখিত অভিযোগ দাখিল করেছে। এ ব্যাপারে কোটচাঁদপুর থানার সেকেন্ড অফিসার ব্রজবল্লভ সাধু বলেন আমরা অভিযোগ পেয়েছি প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেয়া হচ্ছে।