ধ্বংসের পথে পরিবেশ জীব বৈচিত্র্য’ ‘রোহিঙ্গাদের কারণে
মানবেতর ও দুঃসহ শরণার্থী জীবন থেকে মুক্তি চায় নির্যাতন-নিপীড়নের মুখে মিয়ানমার থেকে পালিয়ে আসা রোহিঙ্গারা। জাতিগত স্বীকৃতি আর নাগরিক অধিকারের মর্যাদা নিয়ে স্বদেশে ফিরতে চান তারা। অন্যদিকে রোহিঙ্গাদের কারণে আর্থসামাজিক, অর্থনৈতিক, আইন-শৃঙ্খলা পরিস্থিতির অবনতিসহ নানাভাবে ক্ষতির সম্মুখীন স্থানীয়রাও চান দ্রুত তাদের ফেরত পাঠানো হোক। অবশ্য ত্রাণ ও শরণার্থী প্রত্যাবাসন কমিশনার জানায়, রোহিঙ্গাদের প্রত্যাবাসনে বাংলাদেশ-মিয়ানমার যৌথভাবে কাজ করছে।রোহিঙ্গা অধ্যুষিত এলাকা এখন কক্সবাজারের উখিয়া-টেকনাফ। দীর্ঘ ২৭ বছর ধরে তালিকাভুক্ত রোহিঙ্গা শরণার্থীরা বসবাস করছে। এদের সংখ্যা ৩৩ হাজার। আর নতুন পুরাতন মিলে রোহিঙ্গার সংখ্যা দাঁড়িয়েছে ১১ লাখের বেশি। যারা এখনো শরণার্থীর মর্যাদা পাইনি। এসব রোহিঙ্গা স্বদেশে ফেরত যেতে মরিয়া। তাদের দাবি, সসম্মানে মিয়ানমার ফেরত পাঠানো হোক। রোহিঙ্গারা বলেন, আমাদের ওপর অনেক অত্যাচার করা হয়েছে। এজন্য বাংলাদেশে আশ্রয় নিয়েছি। আমাদের নিরাপত্তা দিলে আমরা ফিরে যেতে রাজি আছি।
রোহিঙ্গারা স্থানীয়দের জন্য বোঝা হয়ে দাঁড়িয়েছে। এরা সামাজিক, অর্থনৈতিক, পরিবেশ, অপরাধসহ নানা সমস্যার কারণ। তাই এদের মিয়ানমারে ফেরত পাঠানোর কার্যকর উদ্যোগ গ্রহণের দাবি স্থানীয়দের।
তারা বলেন, ‘পরিবেশ জীব বৈচিত্র্য একেবারে ধ্বংসের পথে। সরকারের কাছে দাবি দ্রুত সময়ের মধ্যে রোহিঙ্গাদের ফেরত পাঠানো হোক সরকারের কাছে আমাদের দাবি। মিয়ানমারের ইচ্ছার অভাবের কারণে রোহিঙ্গা প্রত্যাবাসন প্রক্রিয়া দেরি হচ্ছে বলে অভিযোগ রোহিঙ্গা প্রত্যাবাসন সংগ্রাম কমিটির নেতাদের।’
শরণার্থী ত্রাণ ও প্রত্যাবাসন কমিশনার প্রত্যাবাসন প্রক্রিয়া দেরি হওয়ার সত্যতা স্বীকার করে জানালেন, দ্রুত প্রত্যাবাসনে কাজ করছে সরকার। ১৯৭৮ সালে মিয়ানমার থেকে রোহিঙ্গা আসা শুরু হয়। যার মধ্যে ২০০৫ সালে সর্বশেষ প্রত্যাবাসন হলেও তা বন্ধ হয়ে যায়। এরপর দফায় দফায় নতুন রোহিঙ্গা আসা অব্যাহত রয়েছে।