গোপালগঞ্জের কোটালীপাড়ায় বিদ্যালয়ের সভাপতি ও প্রধান শিক্ষকের বিরুদ্ধে ব্যাপক দূর্ণীতির ও অনিয়মের অভিযোগ
নিজস্ব প্রতিবেদক. গোপালগঞ্জ 4TV :
গোপালগঞ্জ জেলার কোটালীপাড়া উপজেলার ডগলাস মেমোরিয়াল উচ্চ বিদ্যালয়ের ম্যানেজিং কমিটির সভাপতি ন্যান্সী ব্যানার্জি ও প্রধান শিক্ষক ঝুনু জোয়ান্না থেঠার বিরুদ্ধে ব্যাপক অনিয়ম ও দূর্ণীতির অভিযোগ উঠেছে। অবসরে যেয়েও জোর পুর্বক স্বপদে বহাল থাকতে চায় এই দূর্ণীতিবাজ প্রধান শিক্ষক।
অভিযোগ সুত্রে জানা যায়, জন্ম তারিখ অনুযায়ী ৯ জুন ২০১৮ইং তারিখে চাকুরীর মেয়াদ উত্তীর্ণ করে অবসরে যাওয়ার কথা প্রধান শিক্ষকের কিন্তু তিনি সরকারী বিধি মালা লঙ্ঘন করে স্কুলের ম্যানেজিং কমিটির সভাপতি, বিশ্ব মুক্তিবানী সংস্থার খুলনা অঞ্চলের পরিচালক ন্যান্সী ব্যানার্জির সঙ্গে আতাত করে কৌশলে স্থানীয় কিছু নেতৃবর্গের দাপটে জোর পূর্বক স্বপদে বহাল থাকতে পায়তারা চালিয়ে যাচ্ছেন।
ওই বিদ্যালয়ের ১০জন শিক্ষকের লিখিত অভিযোগের আলোকে আরও জানা যায়, এমপিও শিটে ওই প্রধান শিক্ষকের জন্ম তারিখ ১০ জুন ১৯৫৮ইং লেখা থাকলেও তিনি দাবি করেন জন্ম তারিখ ১৬ জুন ১৯৫৮ইং। চাকুরীর মেয়াদ বৃদ্ধি করণের জন্য তিনি সভাপতির মাধ্যমে বিধি বহির্ভুত ভাবে কমিটির সদস্যদের উপর বিভিন্ন চাপ সৃষ্টি ও হুমকি প্রদান করেন। কমিটির অধিকাংশ সদস্যবৃন্দ উহাতে দ্বি-মত পোষন করায় সভাপতি বিদ্যালয়ে মিটিং না করে তার ভাবাপন্ন ২জন সদস্যকে নিয়ে অন্যত্র মিটিং করে প্রধান শিক্ষকের চাকুরীর মেয়াদ সরকারী বিধিমালা লঙ্ঘন করে ১ বৎসর বৃদ্ধি করেন। ম্যানেজিং কমিটির সভাপতি প্রধান শিক্ষক নিয়োগের ক্ষেত্রে সাম্প্রদায়িক মনোভাব পোষন করেন বলে জানা গেছে।
১৯৭৩ ইং সনে বিশ্ব মুক্তিবানী সংস্থার সহযোগিতায় প্রতিষ্ঠিত এ বিদ্যালয়টি ১৯৮৪ইং সনে এমপিও ভুক্ত হলেও সভাপতি ও প্রধান শিক্ষক বিদ্যালয়টি সংস্থার দাবি করে বাধা প্রদানকারী শিক্ষকদের এমপিও বন্ধ করে দেওয়ার হুমকি দেন। বিদ্যালয়ে দপ্তরি, লাইব্রেরিয়ান ও অফিস সহকারী নিয়োগের ক্ষেত্রে সভাপতির সহযোগিতায় অর্থের বিনিময়ে অযোগ্যদের নিয়োগ দেন। কোন রকম নিয়ম-নীতির তোয়াক্কা না করে বিদ্যালয়ের তহবিল থেকে সভাপতি কে লক্ষ লক্ষ টাকা প্রদান, বিদ্যালয়ের কম্পিউটার প্রজেক্টরসহ বিজ্ঞানাগারের গুরুত্বপূর্ণ মালামাল সভাপতিকে প্রদান ও বিদ্যালয়ের তহবিলের টাকা দিয়ে খুলনা অঞ্চলের বিশ্ব মুক্তিবানী সংস্থার নামে জমি ক্রয়সহ বিভিন্ন অভিযোগে অভিযুক্ত প্রধান শিক্ষক ঝুনু জোয়ান্না থেঠা। তার এসব দূর্ণীতি ও অনিয়ম চাপা দিতে তিনি বিদ্যালয়ের অডিট কমিটি দিয়ে খাতা পত্র অডিট না করিয়ে সরকারি আইন পরিপন্থি ভাবে খুলনা অঞ্চলের সংস্থার লোক দিয়ে অডিট করান বলে জানা যায়।
অপর দিকে বিদ্যালয়ের সহকারী প্রধান শিক্ষক সেলিম মোল্লাসহ অন্যান্য শিক্ষকবৃন্দ এ অনিয়ম মেনে নিতে চান না।
এ বিষয়ে প্রধান শিক্ষকের সাথে যোগাযোগ করা হলে তিনি সাংবাদিকদের সাথে বিভিন্ন তালবাহানা দেখিয়ে কথা বলতে গড়িমসি করেন এবং পরে তিনি আর সাংবাদিকদের সাথে কথা বলেন না।