সংবাদ প্রকাশের জের পল্লীবিদ্যুতের তদন্ত শুরু \ সাংবাদিকদের দেখে নেওয়ার হুমকি
নিজস্ব প্রতিবেদক 4TV :
নড়াইলের লোহাগড়ায় পল্লীবিদ্যুতের নতুন সংযোগ প্রদানে মোটা অংকের অর্থ আদায়ের অভিযোগের সংবাদটি গত ৩ জুলাই দৈনিক জনতাসহ বিভিন্ন পত্রিকায় ছাপা হওয়ার পর নড়ে চড়ে বসেছে প্রশাসন।
ইতোমধ্যে, ওই দিন সরেজমিনে তদন্ত সম্পন্ন করেছে বিদ্যুৎ বিভাগের যশোর সমিতি-২ এর ডিজিএম ট্রেকনিক্যাল অরুন কুমার কুন্ড ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছেন। তিনি জানান, তদন্তকালে পত্রিকায় নাম উল্লেখ ব্যাক্তিদের লিখিত বক্তব্য নেওয়া হয়েছে। দপ্তরে জমা দেওয়ার আগে, কিছু বলার নিয়ম নেই। তবে প্রধান অভিযুক্ত বদরুলকে পাওয়া যায়নি। এদিকে, অভিযুক্তদের নিয়ে তদন্তকালে সঠিক কোন তথ্য না পাওয়ার আশংখা করছে ভুক্তভোগি এলাকার জনগণ। ওই গ্রামের সংঘবদ্ধ দালাল চক্রটি অর্থ আতœসাতের বিষয়টি ধামা চাপা দেওয়ার জন্য উঠে পড়ে লেগেছে। বিষয়টি পাশ কাটিয়ে ভিন্ন খাতে প্রবাহিত করা চেষ্টাও চালিয়ে যাচ্ছে। অভিযোগকারীদের বিভিন্ন ধরনের ভয়ভীতি দিয়ে মিথ্যা স্বাক্ষী দিতে বাধ্য করেছে। নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক এলাকাবাসী জানান, সংঙ্গবদ্ধ দালাল চক্রটি সাংবাদিকদের হামলা ও মামলা দিয়ে দেখে নেওয়ার হুমকি দিয়েছে।
উল্লেখ্য, উপজেলার ল²ীপাশা ইউনিয়নের নোয়াপাড়া গ্রামের একটি দালাল চক্র গ্রাহক প্রতি ৪ হাজার ৩শ টাকা থেকে ৫ হাজার ৩শ টাকা হাতিয়ে নিয়েছে। সংঘবদ্ধ চক্রটি হাতিয়ে নেওয়া টাকার কথা অন্য কারো নিকট প্রকাশ না করার জন্য গ্রাহকদের নিষেধ করে দিয়েছে। উৎকোচের বিষয়টি প্রকাশ করলে সংশ্লিষ্ট গ্রাহকের বিদ্যুৎ সংযোগটি কেটে দেওয়া হবে বলে হুমকি দেয়।
নোয়াপাড়া গ্রামের সাখায়াত হোসেন সকুর ছেলে নুর মোহাম্মদ ও মুক্তিযোদ্ধা মনজুর আলমের ছেলে বদরুল শেখ (৪০) নোয়াপাড়া গ্রামের ৭১টি পরিবারের ১২০টি মিটারের মধ্যে ৯৬টি মিটার দিয়ে প্রতিটি মহিলা গ্রাহকের নিকট থেকে ৪ হাজার ৩শ এবং পুরুষ গ্রাহকদের নিকট থেকে ৫ হাজার ৩শ টাকা কৌশলে হাতিয়ে নিয়েছে।