পরিবেশ অধিদপ্তরের ছাড়পত্র না নিয়ে একটি অবৈধ ব্যাটারী তৈরি কারখানার বিষাক্ত গন্ধে প্রাথমিক বিদ্যালয় বন্ধের পথে
সদরুল অাইন :
পরিবেশ অধিদপ্তরের ছাড়পত্র না নিয়ে একটি অবৈধ ব্যাটারী তৈরি কারখানার বিষাক্ত ঝাঁঝালো গন্ধের কারনে গাজীপুরের শ্রীপুর উপজেলার কেওয়া পূর্ব খন্ড সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়টি বন্ধ হওয়ার উপক্রম হয়ে পড়েছে।
পরিবেশ অধিদপ্তরসহ প্রশাসনের উচ্চ পর্যায়ে বারবার অভিযোগ করেও কোন প্রতিকার না মেলায় শিক্ষক ছাত্ররা অন্যত্র চলে যেতে বাধ্য হচ্ছে।
সরেজমিন ঘুরে দেখা গেছে, গাজীপুরের শ্রীপুর উপজেলার পূর্ব কেওয়া গ্রামের অাবাসিক একালাকায় জেলি ইন্ডাস্ট্রিয়াল কোম্পানী লি: নামের একটি অবৈধ ব্যাটারী তৈরির কারখানা রয়েছে জনবহুল অাবাসিক এলাকায়। এই কারখানায় ব্যাটারী উৎপাদনে সালফিউরিক এসিড ও সীসা ব্যবহার করা হয়।
এই ফ্যাক্টরীটির ২ শ গজের মধ্যেই রয়েছে কেওয়া পূর্বখন্ড সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়। এই বিদ্যালয়ে রয়েছে ৪৫১ জন কোমলমতি ছাত্র-ছাত্রি।
কিন্তু উক্ত ফ্যাক্টরির সীসা ও সালফিউরিক এসিডের ঝাঁঝালো গন্ধে এখানকার বাতাসে ছড়ানোর ফলে মানুষ বসবাস ও স্কুলটিতে ক্লাস ও ছাত্র শিক্ষকদের অবস্থান করা অসম্ভব হয়ে পড়েছে।
এই এলাকার মানুষসহ শিক্ষার্থিরা প্রতিদিন শ্বাস কষ্ট, চর্ম, কাশি, চোখ জ্বালাপোড়াসহ নানা রোগ ব্যাধিতে অাক্রান্ত হয়ে পড়ছে। তাছাড়া প্রতিদিন সালফিউরিক এসিড ও বাতাসে সীসার গন্ধে কোমলমতি শিক্ষার্থিরা বমি সর্দি কাশিসহ অজ্ঞান হয়ে পড়ছে। এসবের কোন প্রতিকার না মেলায় শিক্ষক শিক্ষার্থিরা বদলি ও স্কুল পরিবর্তন করে অন্যত্র চলে যেতে বাধ্য হচ্ছে।
জানা গেছে, পরিবেশ অধিদপ্তরের ছাড়পত্র নেই এই ফ্যাক্টরিটির। এলাকার প্রভাবশালী লোক এবং স্থানীয় রাজনৈতিক নেতৃত্বকে ম্যানেজ করে অবৈধ এ কারখানাটি দীর্ঘদিন ব্যবসা করে চলেছে।
বিদ্যালয়ের পক্ষ থেকে প্রতিকার চেয়ে ইতিপূর্বে প্রশাসনকে লিখিত অবহিত করলেও কোন এক অজ্ঞাত কারনে প্রতিকার মেলে না।
গত রবিবার প্রতিকার চেয়ে জেলা প্রশাসককে লিখিত অবহিত করা হয়।একই সাথে পরিবেশ অধিদপ্তরকেও জানানো হয়েছে। পরিবেশ অধিদপ্তর থেকে জানানো হয়েছে কারখানাটি অনুমোদিত।তাদের পরিবেশ অধিদপ্তরের ছাড়পত্র নেই।
গাজীপুর জেলা প্রশাসক বলেছেন, এ ব্যাপারে একটি তদন্ত টিম গঠন করা হয়েছে পরিবেশ অধিদপ্তরের সমন্বয়ে। তদন্ত টিমের রিপোর্ট পাওয়ার পর কারখানাটির বিরুদ্ধে প্রয়োজনীয় অাইনগত পদক্ষেপ নেওয়া হবে।
অন্যদিকে এলাকাবাসি অবৈধ এ কারখানাটি অবিলম্বে বন্ধের জন্য জোর দাবি জানিয়েছেন।।