জয়পুরহাটে এই প্রথম নদীতে ভাসমান খাঁচায় মৎস্য চাষ শুরু
জয়পুরহাটের আক্কেলপুর উপজেলায় ইউনিয়ন পর্যায়ে মৎস্যচাষ প্রযুক্তি সেবা সম্প্রসারণ পকল্প(২য় পর্যায়) মৎস্য অধিদপ্ত ঢাকার প্রজেক্টরের উদ্দোগে। জয়পুরহাট জেলায় এই প্রথম আক্কেলপুরের তুলসীগঙ্গা নদীতে মৎস্য অধিদপ্তরের বাস্তবায়িত প্রজেক্ট প্যাকেজের বাস্তবায়িত সমিতি,গনিপুর সোর্নালী মৎস্যজীবী দল কতৃক ২০ জন সদস্যের প্রকল্প বরাদ্দ ২ লক্ষ টাকার,সমিতি কতৃক ব্যয় ১ লক্ষ ৯৯ হাজার ৫০০ টাকা। সর্বমোট ৩ লক্ষ্য ৯৯ হাজার ৫০০ টাকায় চলমান কার্যক্রমে মৎস্যচাষ শুরুর প্রতিটি খাঁচায় ৩৫০ পিচ গর ৬৫ গ্রাম ওজনকৃত। প্রকল্পটি প্রথমত ১০ টি খাঁচায় সর্বমোট ৩৫০০ পিচ মনোসেক্স তেলাপিয়া চাষ হচ্ছে বলে জানিয়েছেন সমিতির সদস্য মোঃ গফুর আলীর পুত্র আলী হাসান সহ আরও বেশ কয়েকজন সদস্যরা।
সরে জমিন ঘুরে দেখা যায় আক্কেলপুরের গনিপুর বাজারের বহুল তুলসীগঙ্গা নদীতে,১০ টি ভাসমান খাঁচা বসানো রয়েছে।যে খাঁচায় ব্যবহার করা হয়েছে জাল, বাঁশ, জি,আই পাইপ ও প্লাস্টিকের ড্রাম দিয়ে খাঁচাগুলি তৈরি করা সৌন্দর্য্য রুপে। যে খাঁচাগুলি তৈরির সকল তথ্যগুলি পাওয়া যায় অফিস সূত্রে, প্রতি একটি খাঁচার দৈর্ঘ্য ২০ ফুট, প্রস্থ ১০ ফুট করে যে খাঁচাগুলিই এক হাজার পোনার চাষ করতেও পারবেন চাষীরা। সূত্র অনুপাতে আরও জানা যায় খাঁচায় পোনা ছাড়ার পর ৪০ দিনের মধ্যে মাছ বাজারে বিক্রির উপযুক্ত হয়। অফিস সূত্রে আরও জানা যায় এই প্রকল্পটি দেশের বিভিন্ন অঞ্চলে শুরু হলেও জয়পুরহাট জেলায় এই প্রথম শুরু করা হয়েছে যাহা প্রচুর লাভজনক, কেননা সম্ভ্যব্য মৎস্য আহরণের সময়সীমা ৪০ দিন সম্ভাব্য আয়,ব্যয় মাছ বিক্রয় হইতে প্রতি:১.৮০ মেট্রিক্টন × পিচ যাহা বিক্রয় ক্রপে ১ লক্ষ্য ৭৫ হাজার টাকা দাঁড়াবে। এমন একটি অসাধারণ প্রকল্পটির বিষয়ে আক্কেলপুর উপজেলা মৎস্য কর্মকর্তা মোঃ মহিদুল ইসলামের সঙ্গে কথা বললে তিনি জানান, জয়পুরহাট জেলায় এই প্রকল্পটি চালু ছিলো না যাহা এই প্রথম আক্কেলপুরের গনিপুরে তুলসীগঙ্গা নদীতে ১০ টি ভাসমান খাঁচা দিয়ে শুরু করা হয়েছে। তিনি আরও জানান,প্রকল্পটি আক্কেলপুর তুলসীগঙ্গা নদীতে চলমান, উক্ত নদীতে প্রতিবছর ডিসেম্বর মাস হতে মার্চ পর্যন্ত জয়পুরহাট সুগারমিল লি: এর অপসারিত বর্জ্য দ্বারা দূষিত হয়ে পরে ফলে উক্ত সময়ে নদীটিতে সর্বধরনের মাছচাষ সহ সর্বাধিক জীববৈচিত্র্য হুমকির মুখে পরে বলে তিনি জানান।