শিক্ষার্থী ও জনসাধারণের ঝুকিপূর্ণ সাঁকোই একমাত্র ভরসা
ভোলা প্রতিনিধি 4TV
ভোলার লালমোহন উপজেলার রমাগঞ্জ ও ধলিগৌরনগর ইউনিয়নের শত শত মানুষের যাতায়াতের একমাত্র ভরসা একটি ঝুকিপূর্ণ সাঁকো। রমাগঞ্জ ইউনিয়নের পূর্ব চর উমেদ ও ধলিগৌরনগর ইউনিয়নের চর মোল্লাজী এলাকার মধ্যবর্তী বেঁতুয়া নদীর উপরে দীর্ঘ কয়েক যুগ আগে সেচ্ছায় নির্মাণ করা হয় একটি সাঁকো। যা বর্তমানে মরণ ফাঁদে পরিণত হয়েছে।
আর এই মরণ ফাঁদে জীবনের তাগিদে প্রতিনিয়িত প্রাণ হাতে নিয়ে যাতায়াত করছে শত শত মানুষ। ধলিগৌরনগর ইউনিয়নের চর মোল্লাজী এলাকা থেকে প্রতিদিন শিক্ষার্থীসহ শতাধিক মানুষ রমাগঞ্জ ইউনিয়নে আসা যাওয়া করছে। চর মোল্লাজী থেকে প্রতিদিন যাতায়াত করছে ১ নং পূর্ব চর উমেদ সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়, পূর্ব চর উমেদ নিম্ম মাধ্যমিক বিদ্যালয়, পূর্ব চর উমেদ হাফিজিয়া ও এতিমখানা, পূর্ব চর উমেদ কেরাতুল কোরআন মাদ্রাসা, পূর্ব চর উমেদ মাদ্রাসাতুল আবরারের শত শত শিক্ষার্থী ও এলাকার জনসাধারণ। এমনকি ওই এলাকার জনগণের উপজেলা সদরে যাতায়াতের একমাত্র মাধ্যম এই সাঁকোটি।
শিক্ষার্থী আছমা, ফাহিমা ও জান্নাত জানায়, আমাদের স্কুলে যেতে হয় এই সাঁকোটি দিয়ে। সাঁকোর অবস্থা অনেক খারাপ, তাই এখন আমাদের এখান দিয়ে যেতে অনেক ভয় হয়।
চর মোল্লাজী এলাকার শামিম মাষ্টার, মহাসিন মাষ্টার, ফারুক মিয়া ও ইকবাল জানান, আমরা এই সাঁকোটি নিয়ে বিপদে রয়েছি। বর্তমানে সাঁকোটির অবস্থা অত্যান্ত নাজুক। তবুও আমাদের নিত্য দিনের প্রয়োজনে ওপারে রমাগঞ্জ ইউনিয়নের রায়চা^ঁদ, হাফিজ উদ্দিন বাজারসহ বিভিন্ন জায়গায় যেতে হয় এখান দিয়ে। অনেক যাতায়াত করতে গিয়ে অনেকে সাঁকো ভেঙ্গে পানিতে পড়ে যায়। আবার বেশি জোয়ার হলে পানিতে ডুবে যায় এটি। তাই আমাদের দাবী অতি শিগগিরই যেনো এখান দিয়ে একটি ব্রীজ নির্মাণ করা হয়।
পূর্ব চর উমেদ সরকারি প্রাথমিক ও নিম্ম মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক আকতার হোসেন নান্নু ও তরিকুল ইসলাম বলেন, সাঁকোটি দিয়ে ছাত্র/ছাত্রীদের বিদ্যালয়ে আসতে অনেক সমস্যা হচ্ছে। তাই সাঁকোর স্থানে ব্রীজ নির্মাণ খুব জরুরী।
ধলিগৌরনগর ইউপি চেয়ারম্যান হেদায়াতুল ইসলাম মিন্টু ফোন রিসিভ না করায় এবিষয়ে তার বক্তব্য নেওয়া সম্ভব হয়নি।