প্রধান শিক্ষকহীন এখন বংকিরা হাই স্কুল, চলছে নিয়োগের বেল্কিবাজী খেলা
নিজস্ব প্রতিবেদেক, ঝিনাইদহঃ
প্রধান শিক্ষক নিয়োগকে কেন্দ্র করে ঝিনাইদহ সদর উপজেলার বংকিরা মাধ্যমিক বিদ্যালয় চরম সংকটে পড়েছে। এই সংকটের মধ্যে ভারপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষক মতিয়ার রহমান রোববার পদত্যাগ করেছেন। এর আগে সহকারী প্রধান শিক্ষক আশাদুল কবির ভারপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষক হিসেবে দায়িত্ব পালন করতে গিয়ে চাপের মুখে তিনিও পদত্যাগ করেন। এদিকে সভাপতি সাক্ষর না করায় স্কুলের শিক্ষক আব্দুল্লাহ মালিথার ছুটি মঞ্জুর ও ব্যাংকের এফডিআর নবায়ন হচ্ছে না। এতে শিক্ষকদের মাঝে চরম হতাশা দেখা দিয়েছে। অতিমাত্রায় দলীয়করণ ও নিয়োগ বানিজ্যের কারণে স্কুলটি এখন গভীর সংকটে পড়েছে। অভিযোগ উঠেছে, ব্যাকডেটে প্রধান শিক্ষক নিয়োগ করার জন্য ক্রমাগত চাপ দেওয়া হচ্ছে। প্রধান শিক্ষকের পদ আগেই বিক্রি হয়েছে ১৮ থেকে ২০ লাখ টাকায়। ছাত্রীকে যৌন নির্যাতনের দায়ে অভিযুক্ত শিক্ষককে প্রধান শিক্ষক পদে নিয়োগ দেওয়া নিয়ে এই অসন্তোষের সৃষ্টি হয়েছে। এদিকে গত ১২ জুন শিক্ষা মন্ত্রনালয়ের সচিব মোঃ সোহরাব হুসাইন, অতিরক্ত সচিব জাবেদ আহম্মেদ ও যুগ্ম সচিব নুসরাত জাবিন বানু সাক্ষরিত ২৬ পৃষ্ঠার একটি নীতিমালা জারী করা হয়। যার স্মারক নং ২৪৫। বেসরকারী শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে জনবল কাঠামো ও এমপিও নীতিমালা ২০১৮ তে স্পষ্টভাবে বলা হয়েছে কোন বেসরকারী হাইস্কুলে প্রধান শিক্ষক নিয়োগ করতে হলে ৩ বছরের সহ-প্রধান শিক্ষকের অভিজ্ঞতাসহ ১২ বছরের অভিজ্ঞতা থাকতে হবে। এই শর্ত পুরণ না করলে কোন প্রার্থী প্রধান শিক্ষক হতে পারবেন না। নীতিমালা জারির পরও বংকিরা স্কুলে ব্যাকডেটে প্রধান শিক্ষক নিয়োগের পায়তারা করা হচ্ছে। জানা গেছে, গত ১৮ এপ্রিল বংকিরা হাই স্কুলের প্রধান শিক্ষক নিয়োগের বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করা হলে ১৪ জন আবেদন করেন। এর মধ্যে বংকিরা স্কুলের সহ-প্রধান শিক্ষক আসাদুল কবীর ও ডেফলবাড়িয়া স্কুলের সহ-প্রধান শিক্ষক খসরুল আলম খোকা ছাড়া সবাই অযোগ্য। মন্ত্রনালয় তেকে নীতিমালা আসার পর একটি বিশেষ মহল ব্যাকডেটে নিয়োগ দেওয়ার জন্য দৌড়ঝাপ শুরু করেছেন। বংকিরা হাই স্কুলের ভারপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষক মতিয়ার রহমান জানান, তিনি শারীরীক অসুস্থতার কারণে রোববার পদত্যাগ করেছেন। তার পদত্যাগ পত্রটি সভাপতির বরাবর পাঠিয়ে দেওয়া দিয়েছেন। ঝিনাইদহ জেলা শিক্ষা অফিসার মকছেদুল আলম জানান, নীতিমালা জারীর পর কোন স্কুলে প্রধান শিক্ষক নিয়োগের প্রশ্নই ওঠে না। তিনি বলেন এ ভাবে অবৈধ পথে যারা নিয়োগ দিবে তারা বিপদে পড়বে। স্কুলের সভাপতি ও সাধুহাটী ইউনিয়নের চেয়ারম্যান কাজী নাজির উদ্দীন জানান, তিনি এখনো কোন পদত্যাগপত্র হাতে পাননি। পেলে ব্যবস্থা নেব।