বামন্দী পল্লী বিদ্যুতের দালাল চক্রের দৌরাত্মে এখনও আলো পৌছায়নি আকুবপুরে
প্রতিনিধি 4TV
মেহেরপুরের গাংনী উপজেলার বামন্দী জোনাল অফিসের পরিদর্শক আঃ বাতেন ও কয়েকজন দালালের দৌরাত্মে ঐ এলাকার অনেক গ্রাহক দিনের পর দিন হয়রানির শিকার হচ্ছেন বলে অনেকে অভিযোগ করেছেন। জানা গেছে, এ উপজেলার আকুবপুর গ্রামের গোরস্থান পাড়ার ১৩টি বাড়িতে এখনও বিদ্যুতের মিটারতো দুরের কথা দীর্ঘ দিন অফিসে ঘুরার পরও সেখানে বিদ্যুতের একটি পোলও পৌছায়নি। অথচ বর্তমান সরকার ২০১৮ সালের মধ্যে দেশের প্রতিটি ঘরে ঘরে বিদ্যুৎ পৌছে দেওয়ার অঙ্গীকার করেছেন। অথচ অসাধু কিছু কর্মকর্তা কর্মচারি ও এলাকার কিছু দালাল শ্রেনীর লোকের জন্য সরকারের এ অঙ্গীকার ব্যার্থ হচ্ছে। এলাকাবাসি জানান, পরিদর্শক আঃ বাতেন ও তার কিছু লোক আছে যারা এলাকায় দালাল বলে পরিচিত। নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক এলাকার একাধিক ব্যাক্তি জানান, করমদী গ্রামের খবিরুদ্দিনের ছেলে বাবুল, সিন্দুর কোটা গ্রামের মাহিরুল ইসলাম, সহড়াতলা গ্রামের মিরাজুল হকের ছেলে সামিউল্লাহ এরা অফিসের দালাল এদের মাধ্যমে কাজ করলে দ্রæত হয়ে যায়। এদের সাথে পরিদর্শক আঃ বাতেনের যোগসাজসে পল্লী বিদ্যুতের নতুন সংযোগ দেওয়া হয়। এলাকাবাসি সাংবাদিকদের আরো জানান, পরিদর্শক আঃ বাতেন টাকা ছাড়া কোন এলাকায় পরিদর্শনে গেলেও তা এ্যপ্রæভ করেন না। এক্ষেত্রে টাকা দিলে সব পানির মতো সহজ হয়ে যায়। এ বিষয়ে জানতে মোবাইল ফোনে একাধিকবার যোগাযোগ করার চেষ্টা করলে পরিদর্শক আঃ বাতেন ফোন রিসিভ করেননি। এদিকে বামন্দী জোনাল অফিসের এজিএম কম মোঃ মোতাছিম বিল্লাহ’র সাথে জানতে চাওয়া হলে তিনি বলেন এমন অভিযোগের কথা আমার জানা নেই তবে বর্তমান সরকারের অঙ্গীকার অনুযায়ি ২০১৮ সালের মধ্যে প্রতিটি ঘরে ঘরে বিদ্যুৎ পৌছে দিতে হবে। তিনি আরো বলেন আগামী কাল সকালে অফিসে গিয়ে আমি খোঁজ নিব যদি এমন হয় তবে অবশ্যই যথাযথ ব্যাবস্থা নেওয়া হবে এবং বিদ্যুৎ প্রত্যাশীরা অফিসে আসলে আমরা তাদের জন্য দ্রæত ব্যাবস্থা গ্রহন করা হবে বলে জানান। তবে পল্লী বিদ্যুতে কোন দালালের দৌরাত্ম নেই বলেও তিনি সাংবাদিকদের জানান।