পায়েলকে নদীতে ফেলে হত্যা, আদালতে জবানবন্দি
হানিফ পরিবহনের সুপারভাইজার, চালক ও হেলপারই নর্থ-সাউথ বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী সাইদুর রহমান পায়েলকে (২১) রক্তাত্ত জীবিত অবস্থায় নদীতে ফেলে হত্যা করেছে। লোমহর্ষক এই তথ্য দিয়ে আদালতে ১৬৪ ধারায় জবানবন্দি দিয়েছে হানিফ পরিবহনের সুপারভাইজার জনি (৩৮), চালক জামাল হোসেন (৩৫) ও হেলপার ফয়সাল হোসেন (৩০) বলে জানিয়েছেন মুন্সীগঞ্জের পুলিশ সুপার মোহাম্মদ জায়েদুল আলম পিপিএম।
পুলিশ সুপার আজ বৃহস্পতিবার দুপুর ১টার দিকে তার কার্যালয়ের সভাকক্ষে সাংবাদ সম্মেলন এ তথ্য তুলে ধরেন। এ সময় নিহত পায়েলের সাথে থাকা সহপাঠী দুই বন্ধু মহিউদ্দিন শান্ত ও হাকিমুর রহমান আদর এবং পায়েলের স্বজনরা উপস্থিত ছিলেন।
প্রেস ব্রিফিংকালে এক প্রশ্নের জবাবে পুলিশ সুপার জানান, হানিফ পরিবহনের (ঢাকা মেট্রো-ব-৯৬৮৭) ওই বাসটিকে জব্দ করে আদালতের কাছে সোপর্দ করা হবে। হানিফ পরিবহন একটি নামকরা পরিবহন। এই পরিবহনের চালক, সুপার ভাইজার এবং হেলপার দক্ষ থাকার কথা। তাদের পরিবহনে মানুষ যায় নিরাপত্তার কথা ভেবেই। কিন্তু তারা এত দায়িত্বহীনতা বা যাদের কাছে মানুষের জানমাল রক্ষিত রাখা হয় তারা যেহেতু রক্ষক হয়ে এটাকে খেয়ানত করেছে, শুধু তাই নয় বিবেক বর্জিত অমানুষিক এবং পরিকল্পিতভাবে হত্যাকাণ্ড ঘটিয়েছে। এজন্য ওই পরিবহন কতৃপক্ষকেও তার জবাব চাওয়ার ব্যবস্থা গ্রহণের সুপারিশ করা হবে যথাযথ কতৃপক্ষের মাধ্যমে। এছাড়া সুপারভাইজার, হেলপার এবং ড্রাইভার তিনজনই একজোট হয়ে একটি ছাত্রকে এভাবে মর্মান্তিভাবে হত্যা করেছে এর দৃষ্টান্তমূলক বিচারের ব্যবস্থা সুনিশ্চিত করাই পুলিশের কাজ বলে দাবি করেন পুলিশ সুপার।
এ সময় নিহতের সহপাঠী নর্থ-সাউথ ৫ম বর্ষের ছাত্র হাকিমুর রহমান আদর কান্নাজড়িত কন্ঠে বলেন, আমরা বাকরুদ্ধ। আমাদের সহপাঠীকে এভাবে খুন করা হয়েছে। আমরা বিশ্বাস করতে পারছিলাম না। বাস থেকে নেমে আহত হতেই পারে একজন যাত্রী। কিন্তু তারা একটু সহায়তা করলে আজ এই বন্ধুকে আমরা হারাতাম না। আমরা আমাদের সহপাঠি পায়েল হত্যার দৃষ্টান্তমূলক বিচার দাবি করছি।