গোপালগঞ্জের ছেলে মাহবুব হাসান বাবর আবৃত্তি ও উপস্থাপনায় স্বর্ন পদক পেলেন
নিজস্ব প্রতিনিধি, গোপালগঞ্জ :
শুক্রবার বেলা ১১টায় রাজধানীর মুক্তি ভবনের মৈত্রী হল মিলনায়তনে মানবাধিকার ও পরিবেশ সাংবাদিক সোসাইটির আয়োজনে পরিবেশ ও বৃক্ষমেলা ২০১৮ উপলক্ষে আয়োজিত "পরিবেশ সুরক্ষায় আমাদের করনীয়" শীর্ষক আলোচনা সভা ও গুনীজন সম্মাননা প্রদান করা হয়।
অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথী ছিলেন বাংলাদেশ প্রেস কাউন্সিলের চেয়ারম্যান বিচারপতি মমতাজ উদ্দিন আহম্মেদ। বিশেষ অতিথী হিসাবের উপস্থিত ছিলেন সাবেক সংসদ সদস্য এম এফ গোফরান, বাংলাদেশ পুলিশের ডিআইজি ভানুলাল দাস, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রফেসর মাসুদা এম রশিদ চৌধুরী, মিডিয়া ব্যাক্তিত্ব মঞ্জুশ্রী বিশ্বাস প্রমূখ। পরিচালনা করেন স্বনাম ধন্য উপস্থাপক জাহিদ হাসান চঞ্চল। আলোচনা সভা শেষে মোট ১৫টি ক্যাটাগরিতে ১৫ জনকে বিশেষ অবদান রাখায় মাদার তেরেসা স্বর্ন পদক দেয়া হয়। উক্ত অনুষ্ঠানে গোপালগঞ্জের ছেলে মাহবুব হাসান বাবর আবৃত্তি ও উপস্থাপনায় স্বর্ন পদক পান।
গোপালগঞ্জের ছেলে মাহবুব হাসান বাবর ছোট বেলা থেকেই থেকেই সাহিত্য ও সাংস্কৃতিক কর্মকান্ডে তাঁর পদচারনা। লিখেছেন অজ¯্র গল্প কবিতা, প্রবন্ধ-নিবন্ধ। সম্পাদনা করেছেন স্বপ্নিল সাহিত্য পত্রিকা। বিভিন্ন সাপ্তাহিক ও পাক্ষিক পত্রিকায় তিনি দীর্ঘ বছর সাহিত্য সম্পাদকের দায়িত্ব পালন করেছেন এবং দৈনিক মানব জমিন পত্রিকায় সাংবাদিকতাও করেছেন বেশ ক'বছর। তার লেখা কবিতা-ছোট গল্প প্রকাশিত হয় দেশের বিভিন্ন জাতীয় দৈনিক ও সাপ্তাহিকে।
২০১৬ সালের একুশে বই মেলায় তার প্রথম প্রকাশিত কাব্য গ্রন্থ জ্যোৎস্নার জলজ বনে বেশ সাড়া জাগায়। এবারের বইমেলায় প্রকাশিত হয়েছে তার গল্পগ্রন্থ গন্তব্য জানা নেই ও কাব্যগ্রন্থ শেষ চিঠি। উপস্থাপক ও আবৃত্তিকার হিসেবে তিনি একজন পরিচিত ব্যাক্তিত্ব। জাতীয় ও স্থানীয় বিভিন্ন অনুষ্ঠানে তিনি আবৃত্তি করে মন কেড়েছেন আবৃত্তি প্রেমীদের। ভেজা মেঘের দিনগুলি নামে একটি ডুয়েট আবৃত্তির এ্যালবামও প্রকাশিত হয় তার। সুললিত কন্ঠের আবৃত্তির জন্য পেয়েছেন পল্লী কবি জসিম উদ্দিন, কাগজ কলম পুরস্কার ও জয় বাংলা সম্মাননা পদক। এছাড়া সাহিত্যে বিশেষ অবদানের জন্য পেয়েছেন মাদার তেরেসা সম্মাননা পদক ও জাতীয় সাহিত্য পদক। গোপালঞ্জের স্বনামধন্য সাংস্কৃতিক সংগঠন বাশরী শিল্পী গোষ্ঠীর সাধারন সম্পাদক এবং জনপ্রিয় লোকজ সংস্কৃতি ভিত্তিক অনুষ্ঠান মেঠো পথের নিয়মিত উপস্থাপক তিনি। এছাড়া সামাজিক প্রতিষ্ঠান বিন্দুর প্রতিষ্ঠাতা সভাপতি। পেশাগত জীবনে তিনি সরকারি মুকসুদপুর কলেজে অধ্যাপনা করছেন।