পালিয়ে রক্ষা পেল ভারতে পাচার হওয়া দুই কিশোরীর
শহিদুল ইসলাম,বেনাপোল প্রতিনিধি
বাংলাদেশ থেকে অবৈধ পথে ভারতে পাচার হওয়া দুই কিশোরী বেনাপোলে পালিয়ে আসতে সক্ষম হয়েছে। ঐ দুই কিশোরী কলকাতা থেকে দিল্লিতে পাচারের সময় কলকাতা এয়ার পোর্ট থেকে পাচার চক্রের দুই জনসহ আটক হয় পুলিশের হাতে।পরে দমদম থানায় তারা পাঁচ দিন থাকার পর একদিন গভীর রাতে নারী পুলিশের সেন্ট্রি ও দিল্লী থেকে আসা দালাল তাছলিমা ঘুমিয়ে পড়লে সুযোগ বুঝে কৌশলে তারা থানা থেকে পালিয়ে একটি বস্তিতে আশ্রয় নেয়।
নারী পাচার বন্ধ করতে সরকার এবং বিভিন্ন বেসরকারি সংস্থার মাঠ পর্যায়ের কর্মীরা সক্রিয় থাকলেও বন্ধ নেই নারী পাচার। কাঁটা তারের বেড়া টপকিয়ে দু-দেশের সীমান্ত রক্ষিদের চোখ ফাঁকি দিয়ে পাচার হচ্ছে নারী। একটি দালাল চক্র ভালো কাজের প্রলোভন দেখিয়ে বিভিন্ন সীমান্ত দিয়ে পাচার করছে।
কিশোরী দুইজনের বাড়ী হবিগঞ্জ জেলার বানিয়া সুলতানা থানার মারকুলি দৌলতপুর গ্রামে। ঐ দুই কিশোরী নারায়ণগঞ্জের কালপুরী এলাকার একটি বাড়িতে কাজ করত। ঐ বাড়ির নিচ তলার এক ভাড়াটিয়া আছিয়া তাদের ভালো বেতনে কাজের প্রলোভন দেখিয়ে ভারতে পাচার করে।
গত মাসের শেষের দিকে আছিয়া তাদের সাইন বোর্ড মুসলিম পাড়ার ইমতিয়াজের কাছে নিয়ে যায়। ইতিয়াজের বাড়িতে তারা দুদিন ছিল। সেখান থেকে ইমতিয়াজ সোহাগ পরিবহনের একটি বাসে করে তাদের সাতক্ষীরা নিয়ে আসে। সাতক্ষীরার দুই দালাল তাদের গভীর রাতে সীমান্তে পার করে ভারতের দালালের হাতে তুলে দেয়।
ভারতীয় দালাল তাদের গায়ঘাটায় নিয়ে যায় এবং আশিক নামে এক নারী পাচারকারী চক্রের হাতে তুলে দেয়। দুদিন পরে দিল্লি থেকে তাছলিমা নামে এক নারী আসে দমদম এয়ার পোর্টে তাদের দিল্লি নেওয়ার জন্য। বিমানে টিকিটও করা হয়। এয়ার পোর্টে ঢোকার সময় তাদের কাছে থাকা জাল আধার কার্ড দেখে দমদম পুলিশ পাচারকারী নারীসহ তাদের আটক করে।
পাঁচদিন দমদম থানায় থাকার পর এক রাতে পালিয়ে তারা আশ্রয় নেয় বারাসাতের এক বস্তিতে। পরে মন্দিরের এক ব্যক্তির সহযোগিতায় বনগাঁ সীমান্তের এক দালালের হাত ধরে গভীর রাতে তারা বেনাপোল গাতিপাড়ার তের ঘর সীমান্ত পার হয়ে বেনাপোল এসে পৌঁছায়।