সংসদ নির্বাচনের তফসিল ঘোষণার ঠিক আগমুহূর্তে জোরদার আন্দোলন গড়ে তুলতে চায় বিএনপি
একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের তফসিল ঘোষণার ঠিক আগমুহূর্তে জোরদার আন্দোলন গড়ে তুলতে চায় বিএনপি। এই আন্দোলনেই নির্বাচনকালীন নিরপেক্ষ সরকারের দাবি আদায় করতে চান দলটির শীর্ষনেতারা। তবে বিএনপিকে জনবিচ্ছিন্ন দল হিসেবে অভিহিত করে আওয়ামী লীগের শীর্ষনেতারা বলছেন, নির্বাচন প্রতিহত করার ষড়যন্ত্র হলে দেশের মানুষই সমুচিত জবাব দেবে।
৫ জানুয়ারির জাতীয় নির্বাচনের পর কয়েক দফা আন্দোলনের ডাক দিয়েও সফল হয়নি বিএনপি। উল্টো নানামুখী চাপে রাজনীতির মাঠে কোণঠাসা হয়ে পড়ে দলটি।
গত ৮ ফেব্রুয়ারি দুর্নীতির মামলায় দোষী সাব্যস্ত হয়ে দলের চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়া কারাবন্দি হলে ঘরোয়া রাজনীতির খোলস ভেঙে রাজপথে নামেন বিএনপি'র নেতাকর্মীরা। বেগম জিয়ার মুক্তি ও নিরপেক্ষ সরকারের অধীনে নির্বাচনের দাবিতে চলা এ আন্দোলনও ঝিমিয়ে পড়ে কয়েকদিনের মধ্যেই।
তবে সাম্প্রতিক দুটি ছাত্র বিক্ষোভ থেকে এবার অনুপ্রেরণা খুঁজছেন দলের শীর্ষনেতারা।
বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান মেজর (অব.) হাফিজউদ্দিন আহমেদ বলেন, ‘কিছুটা হতাশ ছিলাম। কিন্তু এই নিরাপদ সড়কের আন্দোলন দেখে মনে হলো যে এদেশের ভবিষ্যত আছে। তরুণরা, কিশোররাই আগামী দিনের ভবিষ্যত। এই নির্বাচনের আগেই জনগণ রাস্তায় নামবে।’
রাজনৈতিকভাবে ব্যর্থ হয়েই বিএনপি অন্যদের আন্দোলনকে পুঁজি করে ফায়দা লোটার চেষ্টা করছে বলে মন্তব্য আওয়ামী লীগের।
আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক খালেদ মাহমুদ চৌধুরী বলেন, ‘তারা এখন নিজেরা ব্যর্থ হয়ে কখনো নিরাপদ সড়কের আন্দোলনে যুক্ত হচ্ছে, কখনো কোটা আন্দোলনে যুক্ত হচ্ছে এবং আঞ্চলিক বিষয়গুলো তারা উসকে দেয়ার চেষ্টা করছে। জনগণকে নিয়ে আন্দোলন করার বিএনপির কোনো অধিকার নেই। কারণ তারা জনগণের প্রতিপক্ষ হিসেবে দাঁড়িয়ে গেছে।’
অক্টোবরে নিজেদের শক্তির জানান দিতে চায় বিএনপি। তবে নির্বাচন নিয়ে ষড়যন্ত্র হলে উপযুক্ত জবাব দিতে প্রস্তুত আওয়ামী লীগ।
বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান মেজর (অব.) হাফিজউদ্দিন আহমেদ বলেন, ‘যুক্তফ্রন্ট গঠন করা, যুক্তফ্রন্টের সঙ্গে ২০ দলীয় ঐক্যজোটের আন্দোলন, সংগ্রাম পরিচালনা করা- তার ভিত গড়তে কিছুটা সময় লাগবে। তারা অক্টোবরে তফসিল ঘোষণা করবে, আমার মনে হয় অক্টোবরেই আন্দোলনটি চূড়ান্ত রূপ লাভ করবে।’
আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক খালেদ মাহমুদ চৌধুরী বলেন, ‘নির্বাচন যদি করতে চায়- আমরা সাধুবাদ জানাই। কিন্তু নির্বচান যদি প্রতিহত করতে চায়, তাহলে বাংলাদেশের মানুষ কিন্তু আর ছাড় দেবে না। এই আন্দোলনের কোনো যৌক্তিকতা নাই। মানুষ মনে করে বাংলাদেশে একটা সাংবিধানিক ধারাবাহিকতা থাকা দরকার।’
এই মুহূর্তে নির্বাচনকালীন সরকার নিয়ে সংলাপের কোনো প্রয়োজনীয়তা নেই বলে মনে করে আওয়ামী লীগ।