বাংলাদেশের ক্রিকেটে বিষ ফোড়া হয়ে উঠেছে নারী কেলেঙ্কারির ঘটনা।
ক্রিকেটারদের একের পর এক নারী কেলেঙ্কারীর ঘটনা বাংলাদেশের ক্রিকেটের জন্য অশনি সংকেত। এমনটাই বলছেন বিশ্লেষকরা। নিয়মিতই ক্রিকেটারদের এমন অনৈতিক কর্মকান্ডে বিব্রত বিসিবি। নৈতিক অবক্ষয়ে কারণ হিসেবে দেখছেন মনোবিদরা। তাই এমন বাজে অবস্থার উত্তরণের জন্য বাংলাদেশ ক্রিকেট দলের জন্য ক্রীড়া মনোবিদের নিয়োগের পরামর্শ দিয়েছেন মনোবিদ বিশেষজ্ঞরা।
বাংলাদেশের ক্রিকেটে বিষ ফোড়া হয়ে উঠেছে নারী কেলেঙ্কারির ঘটনা। এ জন্য জাতীয় দলের দুই তারকা ক্রিকেটার রুবেল হোসেন ও আরাফাত সানি জেল খেটেছেন পর্যন্ত। কিন্তু, তাতেও ভয় কিংবা লজ্জায় সচেতন হননি অনেকেই।
এই যেমন টেস্ট দলে সুযোগ পেয়ে আস্থাভাজন হয়ে উঠা মোহাম্মাদ শহীদ ও আল আমিন হোসেন একই কারণে জাতীয় দলের বাইরে। এরপর বেপরোয়া জীবন যাপনে সমালোচনার শিরোমনী হয়ে উঠেন সাব্বির রহমান। অলরাউন্ডার নাসির হোসেনের পর্দার আড়ালের ঘটনাও হয়েছে ফাঁস। ক'দিন হলো এই সমালোচনার মিছিলে মোসাদ্দেক হোসেন সৈকত।
ক্রিকেটারদের এমন অপ্রীতিকর ঘটনা যেন ধারাবাহিক নাটক, থামছেনই না। কিন্তু, কেন? এমন প্রশ্নে বিব্রত ক্রিকেট বোর্ডও।
বিসিবি ক্রিকেট অপারেশন কমিটির চেয়ারম্যান আকরাম খান বলেন, 'বিব্রততো অবশ্যয় হই।'
এদিকে, ক্রিকেটারদের নৈতিক অবক্ষয় অন্যতম কারণ হিসেবে দেখছে মনোবিদরা। তাই এই মনোবিদ বিশেষজ্ঞ ক্রিকেট বোর্ডকে দিলেন পরামর্শ।
মনোবিদ মেজর (অবঃ) আব্দুল ওয়াহাব মিনার বলেন, 'স্পোর্টস সাইক্লোজিক্যাল ব্যাক্তি থাকবেন। তারা যদি মনস্তাত্ত্বিক অবস্থা বেগতিক দেখেন তাহলে কোচ বা কর্তা ব্যক্তিদের কাছে রিপোর্ট করবেন। তাহলে এরকম সমস্যা কমে আসবে।'
ক্রিকেট বিশ্লেষকরা বলছেন, যে কারিগড়দের হাতে গড়ে উঠেন ক্রিকেটাররা তাদেরও হতে হবে সচেতন।
ক্রিকেট বিশেষজ্ঞ নাজমুল আবেদীন ফাহিম বলেন, 'কোচের পক্ষে বোধ হয় সবচেয়ে বেশি ইমপ্যাক্ট রাখা সম্ভব।