“পঞ্চগড় জেলায় জনপ্রিয় হয়ে উঠেছে চা চাষ”
দেশের সর্ব উত্তরের জেলা পঞ্চগড়ে জনপ্রিয় হয়ে উঠেছে চা চাষ। একটি কলির দুটি পাতা স্বপ্ন নিয়ে দিন দিন বেড়ে চলেছে চা চাষ। চায়ের উৎপাদন। জেলার অর্থনীতিতে যোগ হয়েছে নতুন মাত্রা। সরকারী পৃষ্ঠপোষকতা না থাকায় ও কাচা পাতা বিক্রী দাম কম হওয়ায় চাষীরা হতাস। দেশের তৃতীয় চা অঞ্চল হিসেবে পরিচিতি পেয়েছে পঞ্চগড়ের সমতল ভূমিতে চা চাষ। দিন দিন বাড়ছে চা চাষের পরিধি। চা এর মান ভাল হওয়ায় ইতিমধ্যে পঞ্চগড়ের চা আন্তর্জাতিক বাজারেও প্রবেশ করেছে। বাংলাদেশ চা বোর্ডের পঞ্চগড় আঞ্চলিক কার্যালয়ের তথ্য মতে ২০১৭ সালে জেলায় ১২টি কারখানা থেকে ৫৪ লক্ষ ৪৬ হাজার কেজি চা উৎপাদন সম্ভব হয়েছে যা লক্ষ মাত্রায় দ্বিগুণ।
বাংলাদেশ চা বোর্ড, পঞ্চগড় এর প্রকল্প পরিচালক ড: মোহাম্মদ শামীম আল মামুন বলেন, পঞ্চগড়ে ২০০০ সালে চা চাষ শুরু হয়েছিল এখন পঞ্চগড় ও আশে পাশের জেলাগুলোতে ২২ শত ৬৫ হেক্টর জমিতে চা চাষ হচ্ছে পঞ্চগড়ে ৩ থেকে ৪ হাজার চা চাষী রয়েছে। এর মধ্যে বাংলাদেশ চা বোর্ড কর্তৃক ৮১২জন চাষিকে নিবন্ধন দেওয়া হয়েছে। এবং ঐ নিবন্ধন প্রক্রিয়া চলমান রয়েছে। পঞ্চগড় জেলায় বৃহৎ ৯টি বাগান সহ ক্ষুদ্র ও মাঝারি ধরনের প্রায় ৩ হাজার ৫০০ বাগান রয়েছে। পরীক্ষামূলক পর্যায়ে ৯টি বড় বাগান সহ নিবন্ধিত ৮১২টি বাগান থাকলেও বাকি সব বাগান রয়েছে বিন্ধনের বাইরে। পঞ্চগড় জেলার ক্ষুদ্র চা চাষিরা কাচা পাতা বিক্রীতে দাম কম পাওয়ার বিষয়ে মালিকদের সিন্ডিকেট কে দায়ী করেছেন অনেকে।
এ বিষয়ে পঞ্চগড় সদর উপজেলার ফকির পাড়া গ্রামের সফল চা চাষী অমূল্য বাবুর সাথে কথা বললে তিনি বলেন, আমার জমি গুলো আগে পরিত্যক্ত অবস্থায় পড়ে ছিল। ঐ জমিগুলোতে কোন ফসল ভালোভাবে হতো না। চা চাষ করে আজ আমি সাবলম্বী। শহিদ নামে আরেক চাষি বলেন, বর্তমানে লেবার খরচ ও কীটনাশকের দাম বাড়ায় লাভবান হতে পারছেন না চাষীরা ফলে চাষিরা হচ্ছেন আর্থিকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত। এ থেকে পরিত্রাণ পেতে সরকারি নজরদারী ও কারখানা বৃদ্ধি না পেলে সমস্যার সমাধান হবে না বলে মনে করেছেন সংশ্লিষ্টরা।