পরিষ্কার পরিচ্ছন্ন রাখার লক্ষ্য নিয়ে রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাসে বসানো হয়েছে বড় প্রায় ৪৫টি ডাস্টবিন।
পরিষ্কার পরিচ্ছন্ন রাখার লক্ষ্য নিয়ে রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাসে ৮ লাখেরও বেশি টাকা ব্যয়ে বসানো হয়েছে ছোট বড় প্রায় ৪৫টি ডাস্টবিন। তবে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনের এমন উদ্যোগে সাড়া মিলেনি শিক্ষার্থীদের। বিন ব্যবহার না করে এখনও যেখানে সেখানে ময়লা আবর্জনা ফেলছেন শিক্ষার্থীরা।
বিশ্ববিদ্যালয় সূত্রে জানা যায়, ডাস্টবিন প্রতি ৩ হাজার ৫০০ টাকা খরচ করে মোট ৩৫টি স্পটে বসানো হয়েছে স্টিলের ছোট ডাস্টবিন। হিসাব করলে যার ব্যয়ের পরিমাণ দাঁড়ায় ১ লাখ ২২ হাজার ৫শ’ টাকা।
অন্যদিকে বড় আকারের ইটের গাঁথুনির ১০টি ডাস্টবিন বসানো হয়েছে। যার প্রতিটির ব্যয় ৭০ হাজার টাকা করে মোট ৭ লাখ টাকা। এই হিসাবে মোট ৪৫টি ডাস্টবিন বসাতে বিশ্ববিদ্যালয়ের ব্যয় হয়েছে প্রায় ৮ লাখ ২৫ হাজার টাকা।
তবে সরেজমিনে ক্যাম্পাস ঘুরে দেখা যায়, বিশ্ববিদ্যালয় টুকিটাকি চত্বরের কনফেকশনারি দোকানগুলোর পাশে ময়লা আবর্জনার স্তূপ রয়েছে। যদিও মাত্র ১০ হাত দূরেই বসানো রয়েছে ডাস্টবিন।
শুধু টুকিটাকি নয় বিশ্ববিদ্যালয় প্রথম বিজ্ঞান ভবন, দ্বিতীয় বিজ্ঞান ভবনের আশপাশে ছোট বড় মিলিয়ে ৫টি ডাস্টবিন থাকলেও ভবনের গা ঘেঁষেই রাখা হয়েছে ময়লার স্তূপগুলো।
একইভাবে শিরাজি ভবনের সামনে ডাস্টবিন থাকলেও অন্য স্থানে ফেলা হচ্ছে ময়লা আবর্জনা। তৃতীয় বিজ্ঞান ভবনের পূর্ব পাশে রয়েছে বড় একটি বিন। তবে সেখানে ময়লা না ফেলে রাস্তার পাশে ময়লা ফেলতে দেখা গেছে।
বিন বসানো হলেও তা ব্যবহার না করে যেখানে সেখানে ময়লা ফেলার জন্য শিক্ষার্থীদের অসচেতনতাকেই দায়ী করছেন বিশ্ববিদ্যালয় প্রধান প্রকৌশলী সিরাজুম মুনির।
তিনি বলেন, আমরা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী হয়েও বোধদয় না হলে কী করার আছে? আমাদের ক্যাম্পাসটি পরিষ্কার পরিচ্ছন্ন থাকবে সেই উদ্দেশ্যে বিনগুলো বসানো হয়েছিল। সামনে আরও বিন বসানোর পরিকল্পনা রয়েছে। তবে শিক্ষার্থীদের সাড়া না পাওয়া গেলে এটির উদ্দেশ্য সফল হবে না বলে দাবি করেন তিনি।