গাংনীতে টেপুখালি বধ্যভূমির সিমানা প্রাচির নির্মানের ভিত্তি প্রস্থর স্থাপন অনুষ্ঠিত
এম এ লিংকন,মেহেরপুর
মুক্তিযোদ্ধাদের বিপক্ষের একটি দল বাংলাদেশের উন্নয়নে তাদের গা জ্বালা ধরে। তারা সব সময় দেশের বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্র করছে তাদের এ ষড়যন্ত্র সম্পর্কে সকলকে সজাগ থাকতে হবে। শুক্রবার বেলা ১১ টার দিকে মেহেরপুরের গাংনী উপজেলার সাহারবাটি ইউনিয়নের টেপুখালি বদ্ধভূমির সিমানা প্রাচির নির্মান কাজের ভিত্তি প্রস্থর স্থাপন নির্মান অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে এ কথা বলেন মেহেরপুর-২ গাংনী আসনের সংসদ সদস্য বীর মুক্তিযোদ্ধা ও জেলা আওয়ামী লীগের সাবেক সভাপতি মোঃ মকবুল হোসেন।
তিনি আরো বলেন জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের সুযোগ্য কন্য দেশরতœ বাংলাদেশর সফল প্রধান মন্ত্রী জননেত্রী শেখ হাসিনার অক্লান্ত পরিশ্রমে আমাদের দেশ অনেক উন্নতি সাধন করেছে। জননেত্রী শেখ হাসিনা দেশের প্রতিটি জনগনের জীবন মান উন্নয়নে যে ভুমিকা রেখেছেন তা বলে শেষ করা যাবেনা। তিনি মুক্তিযোদ্ধাদের সামাজিক মর্যাদা বৃদ্ধি করেছেন যা আগের কোন সরকার করতে পারেনি আর কেউ পারবে বলে আমার মনে হয় না।
এমপি মকবুল হোসেন আরো বলেন, আগামীতে যদি জননেত্রী শেখ হাসিনাকে প্রধান মন্ত্রী না করতে পারি তাহলে আমাদের জনগণ সহ মুক্তিযোদ্ধাদের কোন অস্তিত্ব থাকবেনা তাই আবারো জননেত্রী শেখ হাসিনাকে নৌকা মার্কা প্রতীকে ভোট দিয়ে দেশের ক্ষমতায় অধিষ্ঠিত করতে হবে এবং দেশের উন্নয়নের ধারা অব্যাহত রাখতে হবে।
এমপি মকবুল হোসেন আরো বলেন, জননেত্রী শেখ হাসিনা যা করছে সব কিছুই আমাদের কল্যাণের জন্য করছে তাহলে আমরা কেন তাকে নির্বাচিত করবনা। তিনি মুক্তিযোদ্ধা ও উপস্থিৎ সকলের উদ্দেশ্যে বলেন আপনারা সকলের সামনে দেশের উন্নয়নের কথা বলবেন এবং জননেত্রী শেখ হাসিনার জন্য নৌকা মার্কা প্রতীকে ভোট চাইবেন।
উপজেলা নির্বাহি কর্মকর্তা বিষ্ণু পদ পালের সভাপতিত্বে আরো বক্তব্য রাখেন গাংনী থানার অফিসার ইনচার্জ হরেন্দ্র নাথ সরকার, জেলা আইনজীবী সমিতির সভাপতি এড. শফিকুল আলম, জেলা এলজিইডি প্রকৌশলী মোঃ আজিমুদ্দিন সরদার, উপজেলার সাবেক মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান সেলিনা মমতাজ কাকলি। উপজেলা প্রকৌশলী রুহুল আমীনের সঞ্চালনায় আরো বক্তব্য রাখেন, মুক্তিযোদ্ধা মুনতাজ আলি, জেলা মুক্তিযোদ্ধা কমান্ডের সাংগঠনিক সম্পাদক আমিরুল ইসলাম, আওয়ামী লীগ নেতা শহিদুল ইসলাম শাহ, ইয়াছিন রেজা প্রমুখ।
টেপুখালি বদ্ধভূমির সিমানা প্রাচির নির্মান ও এর জন্য ৪৫ শতক জমি এমপি মকবুল হোসেন ব্যাক্তিগত তহবিল থেকে ক্রয় করে দেওয়ায় উপস্থিৎ মুক্তিযোদ্ধারা তাঁকে ধন্যবাদ জানান। মুক্তিযোদ্ধারা তাদের প্রতিক্রিয়া ব্যাক্ত করতে গিয়ে বলেন, এমপি মকবুল হোসেন শুধু একজন সৎ জন প্রতিনিধিই নন তিনি নিজেও আমাদের মুক্তিযোদ্ধাদের নেতা এবং সংগঠক। আমরা তাঁর প্রতি কৃতজ্ঞ কারণ তিনি এই সাহারবাটি টেপুখালি বদ্ধভুমির জন্য তার ব্যাক্তিগত তহবিল থেকে জমি ক্রয় করে দিয়েছেন।