ঢাকার মোহাম্মদপুরে অনুমোদন না থাকায় ১৪টি হাসপাতাল বন্ধের নির্দেশ দিয়েছেন হাইকোর্ট। মঙ্গলবার (১১ সেপ্টেম্বর) এ সংক্রান্ত একটি রিট আবেদনের শুনানি নিয়ে বিচারপতি শেখ হাসান আরিফ ও বিচারপতি আহমেদ সোহেলের সমন্বয়ে গঠিত হাইকোর্ট বেঞ্চ রুলসহ এ আদেশ দেন। অ্যাডভোকেট মনজিল মোরসেদ আদালতে রিট আবেদনের পক্ষে শুনানি করেন ।
পরে সাংবাদিকদের মনজিল মোরসেদ বলেন, ‘গত এপ্রিলে একটি দৈনিক পত্রিকায় ঢাকার মোহাম্মাদপুরে সোহরাওয়ার্দী হাসপাতালের বিপরীত বাবর রোড ও খিজির রোড সংশ্লিষ্ট এলাকায় অনুমোদন না থাকা হাসপাতালের খবর প্রকাশিত হয়। কিন্ত আইন অনুসারে লাইসেন্স ছাড়া হাসপাতাল পরিচালনা একেবারেই অবৈধ এবং তা পরিচালনা করা শাস্তিযোগ্য। ৯ সেপ্টেম্বর আমরা এ কারণে জনস্বার্থে একটি রিট মামলা করি। এর ওপর আজকে শুনানি হয়েছে। শুনানি নিয়ে আদালত ১৪টি হাসপাতাল দ্রুত বন্ধের নির্দেশ দিয়েছেন। স্বাস্থ্য অধিদফতরের মহাপরিচালক ও র্যাবের নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেটকে এই নির্দেশ দেন।’
এছাড়াও লাইসেন্সহীন হাসপাতাল পরিচালনা কেন বেআইনি ঘোষণা করা হবে না এবং যারা এগুলো পরিচালনা করছে তাদের বিরুদ্ধে আইনত কেন ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে না তা জানতে চেয়ে চার সপ্তাহের রুল জারি করেছেন হাইকোর্ট। স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় সচিব, স্বাস্থ্য অধিদফতরের মহাপরিচালক, পুলিশ কমিশনার, মোহাম্মাদপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা, র্যাবের নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেটকে এ রুলের জবাব দিতে বলা হয়েছে।
হাসপাতালগুলো হল- ক্রিসেন্ট হাসপাতাল অ্যান্ড ডায়াগনস্টিক সেন্টার, বিডিএম হসপিটাল, সেবিকা জেনারেল হসপিটাল, জনসেবা নার্সিংহোম অ্যান্ড ডায়াগনস্টিক সেন্টার, লাইফ কেয়ার নার্সিংহোম, রয়্যাল মাল্টি স্পেশালাইজড হসপিটাল, নবাব সিরাজউদ্দৌলা অ্যান্ড ডায়াগনস্টিক সেন্টার, মনমিতা সেন্ট্রাল হসপিটাল, প্লাজমা মেডিকেল সার্ভিস অ্যান্ড ক্লিনিক, শেফা হাসপাতাল অ্যান্ড ডায়াগনস্টিক সেন্টার, ইসলামিয়া মেন্টাল হসপিটাল, মক্কা মেডিয়ান জেনারেল হাসপাতাল, নিউ ওয়েলফেয়ার হসপিটাল, বাংলাদেশ ট্রমা স্পেশালাইজড হসপিটাল।
উল্লেখ্য, গত ২০ এপ্রিল একটি দৈনিকে ‘রাজধানীতে বেসরকারি স্বাস্থ্যসেবা প্রতিষ্ঠান: ৫০০ মিটারে ২৬টি, ১৪টিই অবৈধ হাসপাতাল’ শিরোনামে প্রতিবেদন প্রকাশিত হয়। পরে হিউম্যান রাইটস অ্যান্ড পিস ফর বাংলাদেশের (এইচআরপিবি) পক্ষে সেই প্রতিবেদনটি যুক্ত করে রিট দায়ের করা হয়। সে রিটের প্রেক্ষিতে আদালত এই আদেশ দেন।