যশোর কথিত বন্দুক যুদ্ধে আপন ২ ভাই নিহত
মীর ফারুক যশোর জেলা প্রতিনিধি
যশোর কেশবপুর উপজেলায় ধর্মপুর গ্রামে রাস্তার পাশে মাথায় গুলিবিদ্ধ এক ব্যক্তির লাশ উদ্ধার করেছে কেশবপুর থানা পুলিশ।নিহত ব্যক্তির নাম ফারুক হোসেন,শার্শা কোটায় উদ্ধার হওয়া আজিজুর রহমান ও কেশবপুর থানায় উদ্ধার হওয়া লাশ দুই জন আপন ভাই বলে জানা যায়। দুই ভাই এর লাশ একদিনে দুটি ভিন্ন স্থানে পাওয়া সামটা এলাকায় আতংকিত বিরাজ করছে।
নিহতের বড় ভাই সাইজুল ইসলাম বলেন আজিজুর এর দুই হাত আগে থেকে কাটা ছিলো, সে কিভাবে প্রতিপক্ষের সাথে গুলিবিনিময় করবে প্রশ্ন করেন সাংবাদিকদের,তিনি আরো শনিবার বিকালে দুই ভাই বাজারে গিয়ে আর ফিরে আসেনি। আজ সকালে পুলিশের মাধ্যমে খবর পেয়ে কোটা গিয়ে আজিজুর এর লাশ নিয়ে যশোর মর্গে গেলে সেখানে আমার অপর ভাই ফারুকের লাশ দেখতে পায়।কে বা কারা তাদের হত্যা করেছে কিছু বুঝতে পারছিনা।
রবিবার ভোরে শার্শা ও কেশবপুর উপজেলা কোটা ও ধর্মপুর গ্রামে এই ঘটনা ঘটে বলে জানা যায় । এ দিকে একই পরিবারে দুই ভাই একদিনে খুন হওয়া তাদের পরিবারে শোকে ছায়া নেমে এসেছে।
নিহত দুই ভাই আজিজুর রহমান ও ফারুক হোসেন বাঁগআচড়া জামতলা সামটা গ্রামের জেহের আলীর দুই ছেলে।
বাগআচড়া পুলিশ ফাঁড়ির (ওসি) হুমায়ন কবির বলেন রবিরার ভোরে দিকে খবর পায় কায়বা সামটা গ্রামে দু’দল মাদক ব্যবসায়ীদের গুলোগুলি চলছে।খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে গিয়ে গুলিবিদ্ধ চিহৃিত মাদক ব্যবসায়ী আজিজুর গুলিবিদ্ধ লাশ পড়ে আছে।লাশ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য যশোর মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল মর্গে প্রেরণ করা হয়েছে।তিনি আরো বলেন নিহত ব্যক্তি চিহৃিত মাদক ব্যবসায়ী ছিলো,তার নামে বিভিন্ন থানায় কয়েকটি মাদক মামলা ছিলো।
কেশবপুর থানা ওসি বলেন ভোরে সংবাদ পেয়ে ধর্মপুর গ্রামে গিয়ে একজনের গুলিবিদ্ধ লাশ উদ্ধার করি।প্রাথমিক ভাবে ধারনা করছি প্রতিপক্ষে সাথে বন্দুকযুদ্ধে তিনি নিহত হয়েছে ,তদন্ত শেষে বিস্তারিত বলা যাবে। উদ্ধার হওয়া ব্যক্তি নাম ফারুক হোসেন শার্শা সামটা গ্রামে জেহের আলীর ছেলে বলে তিনি জানান।