সাজা হলে নির্বাচন নয়, হাইকোর্টের আদেশ আপিলে বহাল
দুই বছরের বেশি সাজা হলে নির্বাচন করতে পারবে না হাইকোর্টের দেয়া এ আদেশ বহাল রেখেছে আপিল বিভাগ।
দুর্নীতির অভিযোগে সাজা প্রাপ্ত (কনভিকশন অ্যান্ড সেনটেন্স) স্থগিতে হাইকোর্টের খারিজাদেশের বিরুদ্ধে বিএনপি নেতা ডা. এ জেড এম জাহিদ হোসেনের আবেদনে সাড়া দেয়নি আপিল বিভাগ।
বুধবার প্রধান বিচারপতির নেতৃত্বে আপিল বিভাগের বেঞ্চ সাজা ও দণ্ড স্থগিত চেয়ে জাহিদ হোসেনের করা এ আবেদনের উপর 'নো অর্ডার' আদেশ দিয়েছে।
রাষ্ট্রপক্ষে অ্যাটর্নি জেনারেল মাহবুবে আলম আর দুদকের পক্ষে ছিলেন আইনজীবী মো. খুরশীদ আলম খান এবং
আদালতে আবেদনের পক্ষে ছিলেন ব্যারিস্টার রোকন উদ্দিন মাহমুদ ও খায়রুল আলম চৌধুরী।
পরে দুদক আইনজীবী খুরশীদ আলম খান জানান, আজকের আদেশের ফলে হাইকোর্টের আদেশ বহাল রয়েছে। ফলে সংবিধানের ৬৬ (২) (ঘ) অনুচ্ছেদ অনুসারে দুই বছরের বেশি দণ্ডিতরা নির্বাচনে অংশ নিতে পারছেন না।
গতকাল নিম্ন আদালতে দুই বছরের বেশি সাজা হলে আপিলে বিচারাধীন থাকা অবস্থায় কোনো ব্যক্তি নির্বাচনে অংশ নিতে পারবে না বলে আদেশ দেয় হাইকোর্ট।
এ আদেশের ফলে দুর্নীতির দুই মামলায় ১৭ বছরের কারাদণ্ডে দণ্ডিত বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার নির্বাচনে অংশ নেয়ার পথও আটকে যায়।
বিচারপতি মো. নজরুল ইসলাম তালুকদার ও বিচারপতি কে এম হাফিজুল আলমের হাইকোর্ট বেঞ্চ এ আদেশ দেয়।
বিচারকি আদালতের দেওয়া দণ্ড ও সাজা স্থগিত চেয়ে আমান উল্লাহ আমানসহ বিএনপির পাঁচ নেতার করা আবেদন খারিজ করে। এ আদেশের ফলে তারা আর একাদশ জাতীয় নির্বাচনে অংশগ্রহণ করতে পারবে না।
আদালত পর্যবেক্ষণে জানিয়েছে, সংবিধানের ৬৬ (২) (ঘ) অনুচ্ছেদ অনুযায়ী কারও দুই বছরের বেশি সাজা বা দণ্ড হলে সেই দণ্ড বা সাজার বিরুদ্ধে উচ্চ আদালতে আপিল বিচারাধীন থাকা অবস্থায় তিনি নির্বাচনে অংশ নিতে পারবেন না, যতক্ষণ না আপিল বিভাগ ওই রায় বাতিল বা স্থগিত করে তাকে জামিন দেয়।
দুর্নীতির মামলার রায়ে বিএনপি নেতা আমান উলাহ আমান, ডা. এজেডএম জাহিদ হোসেন, ওয়াদুদ ভূঁইয়া, মো. মশিউর রহমান ও মো. আব্দুল ওহাবের পক্ষে দণ্ড ও সাজা বাতিলের ওই আবেদন করা হয়েছিল।