বিএনপির কে থাকছে, কে থাকছে না?
নির্বাচনে বেগম খালেদা জিয়ার অংশগ্রহণ অনিশ্চিত হয়ে পড়লেও দলীয় মনোনয়ন জমা দিয়ে ভোটের লড়াইয়ে নামলেন বিএনপি'র হেভিওয়েট প্রার্থীরা। অধিকাংশ আসনে একাধিক প্রার্থী মনোনয়ন দেয়ায় দলে ক্ষোভ দৃশ্যমান না হলেও কয়েকজন প্রভাবশালী নেতার মনোনয়ন জমা না দেয়া নিয়ে রাজনৈতিক অঙ্গনে চলছে গুঞ্জন।
কয়েকদিনের অবিরাম কর্মযজ্ঞে মনোনয়ন প্রক্রিয়া সম্পন্ন করে বিএনপি। দলীয় প্রত্যয়ন নিয়ে বুধবার মনোনয়নপত্র দাখিল করে এখন নির্বাচনের মাঠে সরব সারাদেশের ধানের শীষের প্রার্থীরা।
তবে আদালতের একটি রায়ের পর দুর্নীতির মামলায় কারাবন্দি বেগম খালেদা জিয়ার নির্বাচনে অংশগ্রহণের বিষয়টি অনিশ্চিত।
সঙ্গত কারণে বগুড়া-৬ ও ৭ এবং ফেনী-১ আসনে বেগম জিয়াকে মনোনয়ন দেয়া হলেও তিন আসনেই বিকল্প প্রার্থী দিয়েছে বিএনপি। দলের মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর ঠাকুরগাঁও-১ আসনে মনোনয়ন নিলেও পরবর্তীতে বেগম জিয়ার বিকল্প হিসেবে বগুড়ার দুটি আসনে মনোনয়নপত্র জমা দেন তিনি। ফেনী-১ আসনেও রাখা হয়েছে বিকল্প প্রার্থী।
দলের হেভিওয়েট অন্য প্রার্থীরা নিজ নিজ নির্বাচনী আসনের মনোনয়নপত্র জমা দিয়েছেন। সাবেক মন্ত্রী ও দলের স্থায়ী কমিটির সদস্য ড. খন্দকার মোশাররফ হোসেন এবারও লড়বেন কুমিল্লা-২ আসন থেকে। আর নোয়াখালী-৫ আসনে ব্যারিস্টার মওদুদ আহমদ লড়বেন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদেরে সঙ্গে। দলের স্থায়ী কমিটির অপর সদস্য ড. আব্দুল মঈন খান নরসিংদী-২ আসনে, মির্জা আব্বাস ঢাকা-৮ আসনে, আমির খসরু মাহমুদ চৌধুরী চট্টগ্রাম-১১ আসনে, গয়েশ্বর চন্দ্র রায় ঢাকা-৩ আসনে, দলীয় চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা আমানউল্লাহ আমান ঢাকা-২ আসনে এবং সাদেক হোসেন খোকার ছেলে ইশরাক হোসেন মনোনয়ন জমা দিয়েছেন ঢাকা-২ আসনে।
এছাড়া মেজর হাফিজউদ্দিন আহমেদ ভোলা-৩ আসনে ও খন্দকার মাহবুব হোসেন বরগুনা-২ আসনে নির্বাচন করছেন।
এদিকে, দলীয় মনোনয়নপত্র নিয়েও শেষমেষ জমা দেননি দলের ভাইস চেয়ারম্যান আব্দুল আউয়াল মিন্টু, যুগ্ম-মহাসচিব সৈয়দ মোয়াজ্জেম হোসেন আলাল, হাবিব-উন নবী খান সোহেল। পছন্দমতো আসন না পাওয়ায় তারা মনোনয়নপত্র জমা দেননি বলে খবর ছড়িয়ে পড়ে। তবে মোয়াজ্জেম হোসেন আলাল জানান, বেগম জিয়াকে জেলে রেখে নির্বাচনে প্রার্থী হতে চান না তিনি।
এদিকে, দলীয় সভা-সেমিনার ও আন্দোলন-কর্মসূচিতে সরব উপস্থিতি থাকলেও এই নির্বাচনে মনোনয়নপত্রই সংগ্রহ করেননি দলের স্থায়ী কমিটির সদস্য নজরুল ইসলাম খান ও সিনিয়র যুগ্ম-মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী।