উল্লাপাড়ায় মধু খামারি বেড়েছে লক্ষ্যমাত্রা পুরন না হওয়ার আশংকা
সাহারুল হক সাচ্চু, উত্তরাঞ্চল প্রতিনিধি
সিরাজগঞ্জের উল্লাপাড়ায় এবারে মধু উৎপাদনে খামারি বেড়েছে। বিভিন্ন জেলা থেকে মধু চাষী আসছে। এবারে দেড় হাজার মেট্রিক টন মধু উৎপাদনের লক্ষ্যমাত্রা থাকলেও খামারিরাই তা পুরন না হওয়ার আশংকা করছেন। উল্লাপাড়া অঞ্চল মধু উৎপাদনের জন্য গোটা দেশের মধ্যে নাম করা এলাকা হয়ে পরিচিতি পেয়েছে।
বাক্সে পালিত মৌমাছি থেকে উৎপাদিত মধু দেশের একাধিক নামকরা কোম্পানী পাইকারী কিনে নিয়ে থাকে। সরিষা ফসলের আবাদের শুরু থেকেই খামারীরা উল্লাপাড়া অঞ্চলে আসে। দেশের বিভিন্ন জেলা এলাকা খামারিরা গত মাস খানে সময়ে আসতে শুরু করেছেন। স্থানীয় কৃষি অফিস সুত্রে জানা যায় উল্লাপাড়া কৃষি অফিস থেকে অনেক খামারিকেই মধু চাষের প্রশিক্ষন ও উপকরনাদি দেওয়া হয়েছে।
এরাও খামার গড়েছে। এখন ভরা মৌসুম চলছে। বাস্তবে চিত্র ভিন্ন। এ যাবত দেড়’শর বেশি খামারি এরই মধ্যে এসেছে। এরা উল্লাপাড়ার পূর্ণিমাগাতী, মোহনপুর, কয়ড়া, পাঙ্গাসী, বাঙ্গালা, সলংগা, রামকৃষ্ণপুর, উধুনিয়া ইউনিয়ন এলাকায় মাঠে বাক্সে পালিত মৌমাছি থেকে মধু উৎপাদনে খামার বসিয়েছে।
সিরাজগঞ্জ মৌচাষী সমিতির সভাপতি ও ন্যাশনাল এডিকালচার ফাউন্ডেশনের সহসভাপতি মধু খামারি মোঃ আব্দুর রশিদ জানান এ বছর শুধু উল্লাপাড়া উপজেলাতেই এখন পর্যন্ত দেড়’শর বেশি খামার বসেছে। আগামী সপ্তাহ খানেক সময়ে আরো আসবে। সব মিলে দুই’শর কাছাকাছি হবে। এ বছর উল্লাপাড়া থেকে দেড় হাজার মেট্রিক টন মধু উৎপাদনের লক্ষ্যমাত্রার থাকলেও তা পুরন না হবার আশংকার কথা তিনি জানান। এর কারনে জানান আবহাওয়ায় তাপমাত্রা বেশি থাকায় সরিষার ফুল অসময়ে ঝড়ে যাচ্ছে।