আজ ঐতিহাসিক মাগুরা মুক্ত দিবস
মহসিন মোল্যা চ্যালেন ফোর টিভি মাগুরা জেলা প্রতিনিধি।
আজ ৭ ডিসেম্বর মাগুরা মুক্ত দিবস।১৯৭১ সালের এই দিনে মাগুরা পাকিস্তানি হানাদার বাহিনী মুক্ত হয়।মাগুরা মুক্তির ক্ষেত্রে সর্বদলীয় সংগ্রাম পরিষদ অগ্রগামী ভূমিকা পালন করেন।তৎকালীন সম্পূর্ন মাগুরা মহকুমা মুক্তিবাহিনীর নিয়ন্ত্রনে চলে আসে।জয় বাংলা গ্লোগানে মুখরিত ও স্বাধীন বাংলাদেশের পতাকা উড়তে থাকে সর্বত্র মাগুরায়।
এ সময় মাগুরা আকবর হোসেন মিয়ার নেতৃত্বাধীন শ্রীপুর বাহিনী (আকবর বাহিনী),মহম্মদপুরের ইয়াকুব বাহিনী,ফরিদপুরের মাশরুরুল হক সিদ্দিকী (কমল বাহিনী),মাগুরা শহরের খন্দকার মাজেদ বাহিনী এবং মুজিব বাহিনী পাকিস্তানি হানাদার বাহিনীর সাথে প্রানপণে যুদ্ধ পরিচালনা করেন।কমল বাহিনীর প্রধান মাশরুরুল হক সিদ্দিকী ভাটিয়াপাড়ার সম্মুখ যুদ্ধে তাঁর একটি চোঁখ হারান।
শ্রীপুর বাহিনীর প্রধান আলহাজ্ব আকবর হোসেন মিয়ার একের পর এক অভিযানে পাক হানাদার বাহিনীদের অস্হির করে তোলেন।আকবর হোসেন মিয়ার নেতৃত্বে গড়ে ওঠা বাহিনী মূলত
মাগুরা,ঝিনাইদহ,কুষ্টিয়া,রাজবা
১৯৭১ সালে মুক্তিযুদ্ধের সময় মাগুরা শহরে পিটিআই ভবন,ওয়াবদা ভবন,সরকারী হাইস্কুল ও কলেজে ক্যাম্প করে মানুষ নির্বিচারে হত্যা,ধর্ষন ও বাড়ি-ঘরে আগুন দেওয়ার মত মানবতা বিরোধী কর্মকান্ড চালায় পাক সেনাবাহিনী।৬ ডিসেম্বর স্হল ও আকাশ পথে মিত্র বাহিনী ও আকবর বাহিনী যৌথ হামলা চালায় পাক সেনাদের ক্যাম্পে এ সময় ২৫০ জন শত্রু সেনা নিহত ও ৮৭ জন আহত হয়ে পালিয়ে যায় ফরিদপুরের দিকে।অবশেষে ৭ ডিসেম্বর মুক্তিবাহিনী পাক বাহিনীদের বিভিন্ন ক্যাম্প ও গোলাবারুদ দখল করে শত্রু মুক্ত করে মাগুরাকে।
এ বিষয়ে সাবেক মাগুরা জেলা মুক্তিযোদ্ধা কমান্ডার জনাব নবুয়ত আলী মোল্যা বলেন,৭ ডিসেম্বর মাগুরা মুক্ত দিবস যথাযথ মর্যাদার পালন উপলক্ষ্যে মাগুরা মুক্তিযোদ্ধা সংসদ এবং বিভিন্ন সাংস্কৃতিক সংগঠনের পক্ষ থেকে দিনব্যাপী বিভিন্ন কর্মসূচি গ্রহন করা হয়েছে।কর্মসূচীর মধ্যে রয়েছে সকালে সকল শহীদের স্মৃতির উদ্দ্যেশে শহরের নোমানি ময়দানে স্হাপিত মুক্তিযোদ্ধা স্মৃতিস্তম্ভে পুস্পস্তবক অর্পন,বর্ণাঢ্য র্রালি,সৈয়দ আতর আলী পাঠাগার চত্বরে আলোচনা সভার আয়োজন করা হয়েছে।