কর্মী সমর্থকদের কান্নায় ভাসিয়ে অবশেষে মনোনয়ন পত্র প্রত্যাহার করলেন মেহেরপুর-২ আসনের এমপি বীর মুক্তিযোদ্ধা মকবুল হোসেন
মেহেরপুর
কর্মী সমর্থকদের কান্নায় ভাসিয়ে অবশেষে মনোনয়ন পত্র প্রত্যাহার করলেন গাংনী আসনের বর্তমান সংসদ সদস্য মোঃ মকবুল হোসেন। মনোনয়ন প্রত্যাহার করা হবে বলে রবিবার দুপুর ১ টার সময় সাংবাদিকদের নিশ্চিত করেন তিনি।
তিনি জানান বিকাল ৪টার মধ্যে মনোনয়ন পত্র প্রত্যাহার করে নেয়া হবে। মনোনয়ন পত্র প্রত্যাহার খবরে তার অনুসারী আওয়ামী লীগের তৃনমুল পর্যায়ের নেতা কর্মী ভক্ত থেকে শুরু একেবারে সাধারন মানুষ বাড়ির সামনে ভিড় করা শুরু করে। এ সময় এক আবেগঘন পরিবেশের সৃষ্টি হয়।
উপস্থিৎ সকলেই এমপি মকবুল হোসেন এর মনোনয়ন প্রত্যাহারের বিষয়টি মেনে নিতে পারছিলেননা। উপস্থিৎ সকলকে এমপি মকবুল হোসেন বলেন দেশ ও দলের বৃহৎ স্বার্থে জননেত্রী শেখ হাসিনার নির্দেশে আমাকে মনোনয়ন প্রত্যাহার করতে হচ্ছে এ নিয়ে কেউ যেন কষ্ট না পান। তিনি বলেন আমাদের নেত্রীর কথা মানতে হবে তিনি দেশের জন্য নিরলস শ্রম দিয়ে যাচ্ছেন, দেশের স্বার্থেই জননেত্রীর শেখ হাসিনার নির্দেশকে আমি উপেক্ষা করতে পারিনা।
কর্মী সমর্থকদের কান্না দেখে এমপি মকবুল হোসেনও আবেগাপ্লুত হয়ে পড়েন। তিনি কর্মী সমর্থকদের জননেত্রী শেখ হাসিনাকে আবারো ক্ষমতায় আনার জন্য যা যা করার দরকার তাই করার পরামর্শ দেন এবং নৌকা মার্কা প্রতীকে ভোট দেওয়ার জন্য আহবান জানান। বর্তমান সংসদ সদস্য মোঃ মকবুল হোসেন মনোনয়নপত্র প্রত্যাহার প্রসঙ্গে আওয়ামীলীগের প্রার্থী মোঃ সাহিদুজ্জামান খোকন বলেন, এমপি মকবুল হোসেন আওয়ামীলীগ ও দলের নেতা কর্মীদের যে উদারতা দেখাচ্ছেন তা নিশ্চয় রাজনীতির জন্য ভালো।
তিনি বর্তমান সংসদ সদস্য মোঃ মকবুল হোসেন কে ধন্যবাদ জানিয়ে তার কাছ থেকে সকল সহযোগীতা কামনা করেন। উল্লেখ্য ; আওয়ামীলীগের মনোনয়ন না পেয়ে তৃতীয় বারের মতো গাংনী আসনে স্বতন্ত্র প্রার্থী হওয়ার জন্য মনোনয়ন পত্র জমা দেন সংসদ সদস্য মোঃ মকবুল হোসেন।
এর আগে ১৯৯৬ এবং ২০১৪ সালে দু’বারই স্বতন্ত্র প্রার্থী হিসেবে জয়লাভ করেছেন মোঃ মকবুল হোসেন। তাছাড়া ২০০৮ সালে নৌকা প্রতীকে ভোট করে সামান্য ভোটে পরাজয় বরণ করেন মোঃ মকবুল হোসেন। মকবুল হোসেন ১৯৯৬ সালে বিদ্রোহী প্রার্থী হয়ে টেলিভিশন প্রতীক নিয়ে জয়লাভ করায় তাকে দলে ফিরিয়ে নেয়া হয়। ২০১৪ সালে আওয়ামী লীগের প্রার্থীকে পরাজিত করে জয়লাভ করেন।