প্রধানমন্ত্রীর ভূয়সী প্রশংসা জাপানি গণমাধ্যমে
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে বাংলাদেশ এখন অতীতের যে কোনো সময়ের চেয়ে অর্থনৈতিকভাবে দ্রুত অগ্রসরমান বলে প্রতিবেদন প্রকাশ করেছে জাপানের গণমাধ্যম 'নিক্কেই এশিয়ান রিভিউ'। শান্তিপূর্ণ ভোটের মাধ্যমে আওয়ামী লীগ আবারও ক্ষমতায় এলে উন্নয়নের এ ধারা আরও ত্বরান্বিত হবে বলেও উল্লেখ করেছে তারা। শেখ হাসিনার নেতৃত্বে বাংলাদেশে বেড়েছে মাথাপিছু আয় ও প্রবৃদ্ধি, পাশাপাশি কমেছে দারিদ্র্যের হার। এছাড়া সবক্ষেত্রে ডিজিটাল বাংলাদেশের সুবিধা সাধারণ মানুষ পাচ্ছে বলেও প্রতিবেদনে উল্লেখ করা হয়।
গেলো বছরের আগস্টে মিয়ানমারের রাখাইনে নির্যাতনের জেরে পালিয়ে বাংলাদেশে আশ্রয় নেয় সাড়ে ৭ লাখেরও বেশি রোহিঙ্গা। বিশ্বের সবচেয়ে বড় মানবিক সংকট সমাধানে শুরু থেকেই অগ্রণী ভূমিকা রাখছে বাংলাদেশ। শুধু তাই নয়, বাড়তি জনসংখ্যার চাপ সামলে দেশীয় উন্নয়নেও থেমে নেই বর্তমান সরকার। আর এসবই সম্ভব হয়েছে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে বর্তমান সরকারের কারণে। নির্বাচনের আগে বাংলাদেশের বর্তমান অবস্থান নিয়ে জাপানের গণমাধ্যম 'নিক্কেই এশিয়ান রিভিউ'তে এমনই বিশ্লেষণধর্মী প্রতিবেদন প্রকাশ পেয়েছে।
গণমাধ্যমটির এডিটর অ্যাট লার্জ গোয়েন রবিনসনের লেখা প্রতিবেদনটিতে বলা হয়, অর্থনৈতিক দৃষ্টিকোণ থেকে অনেকেই একমত যে, ক্ষমতাসীন দল বিজয়ী হলে উন্নয়ন আরও ত্বরান্বিত হবে। শান্তিপূর্ণভাবে নির্বাচন হলে এবং ক্ষমতাসীনরা বিজয়ী হলে বাংলাদেশ এক দীর্ঘমেয়াদী আকর্ষণীয় সাফল্যগাঁথা রচনা করবে বলেও এতে উল্লেখ করা হয়।
প্রতিবেদনে গুরুত্ব দিয়ে বলা হয়, এ বছরের শুরুর দিকে বাংলাদেশ স্বল্পোন্নত দেশ থেকে উন্নয়নশীল দেশে উঠে এসেছে। বাংলাদেশের পোশাক শিল্প বিশ্বের দ্বিতীয় স্থানে রয়েছে। খাদ্যে স্বয়ংসম্পূর্ণতা অর্জন করেছে বাংলাদেশ। এছাড়া ২০০৯-এর পর থেকে মাথা পিছু আয় তিন গুণ বেড়ে বর্তমানে ১ হাজার ৭শ' ৫০ মার্কিন ডলারে উন্নীত হয়েছে। দরিদ্রের হার ২১ শতাংশে নেমে এসেছে। 'ডিজিটাল বাংলাদেশ' কার্যক্রমের মাধ্যমে বাংলাদেশের আইটি খাত উদীয়মান খাতে পরিণত হয়েছে। ওষুধ শিল্পেও ঊর্ধ্বমুখী সাফল্য বাংলাদেশের। শুধু তাই নয়, ১০০টি বিশেষায়িত অর্থনৈতিক অঞ্চলের কাজও প্রায় গুছিয়ে এনেছে দেশটি।
এর আগে, গণমাধ্যমটিকে সাক্ষাৎকারে শেখ হাসিনা বলেছিলেন, আগামী পাঁচ বছরে বাংলাদেশ ৯ শতাংশ অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধি অর্জন করবে এবং ২০২১ সাল নাগাদ তা ছুঁবে ১০ শতাংশ।