গণফোরামের বিজয়ী দুই প্রার্থীর সংসদে যাওয়ার ইচ্ছা পোষণ একান্তই তাদের ব্যক্তিগত
ঐক্যফ্রন্টের অন্যতম শরিক গণফোরামের বিজয়ী দুই প্রার্থীর সংসদে যাওয়ার ইচ্ছা পোষণ একান্তই তাদের ব্যক্তিগত— এটা দলীয় কোনো সিদ্ধান্ত নয় বলে জানিয়েছেন সংগঠনটির কার্যকরি সভাপতি সুব্রত চৌধুরী।
তিনি বলেন-দল ও ঐক্যফ্রন্টের বাইরে গিয়ে এ ধরনের কোনো সিদ্ধান্ত নেয়ার সুযোগ নেই।
আর সংসদে না যাওয়ার ব্যাপারে ঐক্যফ্রন্ট এখন পর্যন্ত ঐক্যবদ্ধ আছে বলে জানিয়েছেন বিএনপির সিনিয়র যুগ্মমহাসচিব রুহুল কবীর রিজভীও।
তবে-এরপরও শপথ নেয়ার ব্যাপারে ইতিবাচক মত দিয়েছেন দুজন' বিজয়ীর একজন মোকাব্বির খান।
গত ৫ জানুয়ারি রাজধানীতে আয়োজিত বর্ধিত সভায় গণফোরামের বিজয়ী দুই প্রার্থী সুলতান মোহম্মদ মনসুর ও মোকাব্বির খানকে অভিনন্দন জানান ঐক্যফ্রন্টের শীর্ষ নেতা ড. কামাল হোসেন। একই সঙ্গে তাদের সংসদে যাওয়ার ব্যাপারে ইতিবাচক মনোভাবও প্রকাশ করেন।
এরপরই বিষয়টি নিয়ে শুরু হয় তুমুল আলোচনা। এই পরিপ্রেক্ষিতে ৭ জানুয়ারি মতিঝিলে ড. কামাল হোসেনের চেম্বারে ঐক্যফ্রন্টের বৈঠক শেষে নেতারা স্পষ্টতই জানিয়ে দেন- জোটের বিজয়ী কোনো প্রার্থীই শপথ নেবেন না।
তবে ঐক্যফ্রন্টের সিদ্ধান্ত মানতে নারাজ গণফোরামের বিজয়ী দুই নেতা সুলতান মোহাম্মদ মনসুর ও মোকাব্বির খান। তারা দু'জনেই শপথ নিচ্ছেন। এমন খবর এখন গণমাধ্যমে।
ঐক্যফ্রন্ট নেতা, গণফোরামের কার্যকরি সভাপতি সুব্রত চৌধুরী বলেন- সংসদে যাওয়ার ইচ্ছা পোষণ ওই দুই সদস্যের একান্তই ব্যক্তিগত বিষয়। দলীয়ভাবে এ নিয়ে কোনো সিদ্ধান্ত হয়নি।
সোমবার নয়াপল্টনে সংবাদ সম্মেলনে সিনিয়র যুগ্মমহাসচিব রুহুল কবীর রিজভীও জোটের সদস্যদের শপথ নেয়ার বিষয়টি নাকচ করে দেন।
শপথ নেয়ার ব্যাপারটি ইতিবাচকভাবে দেখছেন বিজয়ী দুই প্রার্থীর একজন মোকাব্বির খান।
তবে দলীয় সিদ্ধান্তের পরই বিষয়টি চূড়ান্ত হবে বলে জানিয়েছেন তিনি।
আগামী ৩০ জানুয়ারি একাদশ সংসদের প্রথম অধিবেশন বসবে— অর্থাৎ ৩০ জানুয়ারি থেকে একাদশ সংসদের যাত্রা শুরু হবে।
নিয়ম অনুযায়ী, তার পরের ৯০ দিনের মধ্যে কেউ শপথ নিয়ে অঙ্গীকারনামায় স্বাক্ষর না করলে তার আসন শূন্য ঘোষণা করে সেখানে উপ-নির্বাচন দেয়া হবে।
গত ৩০ ডিসেম্বরের নির্বাচনে সুলতান মনসুর ধানের শীষ প্রতীক নিয়ে নির্বাচন করলেও সিলেট-২ আসনে বিজয়ী মুকাব্বির খান দলীয় প্রতীক উদীয়মান সূর্য নিয়েই ভোট করেন।